পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

拳 કરન્ટ ] बांछांलां बéमांकनों जरकांग्न . 63& “এইরূপ চিহ্ন যোগ করিয়া রোমান অক্ষর ব্যবহার করা নেটবদিগের পক্ষে ত সুকর নহেই ; ইউরোপীয়দিগের পক্ষেও বিলক্ষণ কঠিন, কারণ প্রথমে তাহাদের বর্ণপরিচয় গ্রন্থ হইতে সচরাচর য়ে রোমান বর্ণগুলি লিখিত, তাহাদিগকে দূরীভূত করিয়া তাহাদের স্থানে লেপসিয়স বা মোক্ষমূলর প্রদর্শিত পদ্ধতি অনুসারে বর্ণ স্থাপন করিতে হইবে। তাহার পর ভারতবর্ষীয় ভাষা সকল লিখিবার জন্ম ঐ সকল বর্ণপ্রয়োগ শিক্ষা করিতে হইরে। কেবল যথেচ্ছরীপে বর্ণ প্রয়োগ করিলে হইবে না যাহাতে সমুদয় দেশে সকল লোকে অক্লেশে পাঠ করিতে পারে সেইরূপ নিয়মাদির আবিষ্কার করিতে হইবে। এক্ষণে দেখ ২৬টা অক্ষর স্থলে ১৮৯ এতগুলি , অক্ষর শিক্ষা করিতে কোন ইউরোপীয় সহজে সম্মত হইবেন না, তাহার পরে ত অন্ত নিয়ম । ফল বিদেশীয় ভাষা শিক্ষা করিবার নিমিত্ত যাহাদের সময় আছে এবং আগ্রহ আছে তাহাদের পক্ষে সেই সেই ভাষার বর্ণমালা শিক্ষা কিছু কঠিন নয় বর্ণমালা শিক্ষা করিতে অতি অল্পমাত্র সময়ই ব্যয়িত হয় । আর যিনি অল্প সময় ব্যয় করিয়া বর্ণমালা শিক্ষা করিতে অক্ষম তিনি যে ভাষা শিক্ষা করিবেন তাহ কখনই সম্ভব হইতে পারে না।” 途 পরিশেষে রাজেন্দ্র বাবু সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে “বাবেলস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিবার সময় মানবজাতির উপর যে শাপ নিপতিত হয়, তাহা অদ্যাপি আমাদের উপর প্রভূত করিতেছে অতএব এক্ষণে একুরূপ ভাষা বা একরূপ বর্ণমালা প্রচার করিবার প্রয়াস বিফল মাত্র !"