(Esbo बज्रङ्गश्वञि [ कांड्न রাজা । তোমার বাঘ ত বড় জ্ঞানবান । পিতম। দশনীতি শুনে তার এই জ্ঞান জন্মিয়াছে। ইদানী কোথা হইতে একজন পণ্ডিত এসেছে সে নিত্য দশনীতি ব্যাখ্যা করিয়া বেড়ায়। কখন কখন পশুশালায় গিয়া দশনীতি পাঠ করে । যাহারা পশুশালায় আসে তাহারা তাই শুনে, সঙ্গে সঙ্গে পশুরাও কিছু কিছু শুনে। দশনীতি আপনাদের শিখিতে হয় না, আপনার রাজা আপনাদের নিমিত্ত রাজনীতি, আমরা প্রজা আমাদের নিমিত্ত দশনীতি। বশিষ্ঠদেব যখন রামচন্দ্রের নিমিত্ত রাজনীতি লেখেন সেই সময় পরশুরাম দশনীতি লিখিয়াছিলেন । এত দিন তাহার বড় প্রচার ছিল না, এক্ষণে বাঙ্গালা ভাষায় তাহার ব্যাখ্যা আরম্ভ হইয়াছে। শ্লোকগুলি এক একটি করিয়া সকলকে লিখিয়া দিয়াছে, আমিও দুই একটা পাইয়াছি। রাজা । শ্লোকগুলি কি ? পিতম পাঠ করিল – “মমুন্যের বল মনুস্থ্য, এইজন্য সমাজ । প্রথমে সমাজ অন্ধ এই জন্য রাজা । তার পর কালি পড়িয়াছে।” রাজা । এ কই ত শ্লোক হইল না ? পিতম । না হউক, আর একটা বলি:– “দেশের প্রকৃতিতে সমাজের প্রকৃতি, তদনুসারে সমাজের উন্নতি বা অবনতি ।” রাজা । তোমার কাগজে অঙ্কপাত কিসের ? পিতম। ও আপনাদের ঠিকুজি গণনা করিতেছিলাম । রাজা । জ্যোতিষ শাস্ত্র পড়া আছে তবে । 轉 পিতম । বিলক্ষণ পড়া আছে। 4. রাজা । ভাল, কি গণনা করেছ ? مد পিতম। আপনার সময় বড় মন্দ নয়। গ্রহ আপনার সঙ্গে সঙ্গে বেড়াইতেছে। আপাতত আপনার জলভীতি। এই কথা বলিবামাত্র চূড়ান বাৰু চঞ্চল হইয় প্রখর দৃষ্টিতে পিতমের প্রতি চাহিলেন কিন্তু তৎক্ষণাৎ শাস্তমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া হাসিতে হাসিতে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আর আমার ? আমার কি ভীতি ?” পিতম। আপনার সময় বড় ভাল, ইচ্ছা হয় এই সময় আপনার পোখপুর হই, আমায় পোস্যপুত্ৰ লইবেন ? “পুত্র পিও প্রয়োজন” আমি আপনার খাদ্ধ। করিতে পারিব।
