&b-B बछमत्रञ [६कख বেহারা না হইলে লড়াই ফতে হইবার নহে। অনেকক্ষণ উভয়দলে বিবাদ, প্রায় দাঙ্গা উপস্থিত। নীলমণির অনেক টাকা, তিনি মুদ্রাদ্বয় দিয়া রফা করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। আমি দূতের সর্দারের নাম জিজ্ঞাসা করিয়া কহিলাম এই তোমার নাম লিখিলাম ; মেজেষ্টর সাহেবের কাছে লিখি, বলিয়া সঙ্গে সঙ্গে কাগজ কলম লইয়া খস খস করিয়া ইংরেজি টানিতে লাগিলাম, দূত ইংরেজি লেখা দেখিয়াই ভয় পাইয়াছে। কহিল বক্সিস চাই না, টাকা ফেলিয়াই ডাক ঘরে সম্বাদ দিতে দোঁড়িল, আমারাও এদিকে শিবিকা উঠাইয়া দিলাম । আবার চলিতে আরম্ভ করা গেল। এতক্ষণ প্রান্তরে কোথাও শস্তক্ষেত্রের বাধ হইয়া কোথাও নদীর কূলে উচ্চ সেতু হইয়া আমাদের দলবল চলিতেছে । নদীর জল অনেক দূর—চরসমূহে কোথাও কেশে, কুশ, উলু, বেনার শুভ্রদল বাতাসে হেলিতেছে, ঘুরিতেছে তরঙ্গমালার স্বরূপ পুচ্ছবিস্তাব উন্নত বিল্পত হইতেছে। দূবে জলের সহিত মিশিয়া প্রকৃত জলবিস্তার বলিয়াই এইরূপ ভ্রম জন্মাইতেছে যে বিখ্যাত কোন তন্তুবায় চূড়দাস ভায়া সঙ্গে থাকিলে সাতার কাটাতে অবশুই সে বনে লম্বমান হইতেন । যাহা হউক এ দেশে “বান্ধা বাস্তা" নাই, তথাপি আমাদের গমনের এখনও অসুবিধা নাই। কয়েকটি প্রান্তর অতিক্রম করা গেল। আকাশে হিমাগমের শুভ্র রাশি রাশি কাপাসপিঞ্জিত মেঘাকুতি মেঘমালা নিম্নে বিস্তৃত সমতলক্ষেত্রের মধ্যে মধ্যে এক একটি বৃহৎ অশ্বথ বা বটবৃক্ষ কিম্বা কোন স্থানে পদ্মকুসুমে শোভিত জলাশয় ভিন্ন আর কিছু দেখা যায় না । * এই বিস্তৃভক্ষেত্র অতিক্রম করিয়া একটি ক্ষুদ্র খালের ঘাটে উপস্থিত হওয়া গেল ; এইট জেলার এক রাজমণ্ডলের ( পরগণার ) শেষ সীমা—এইটি পার হইলেই সদর রাজ বিভাগ। থালটি অতিক্রম করিয়া একটা বৃহৎ মৃত্তিকা নিৰ্ম্মিত সেতু দৃষ্টি হইল, কেহ কহিয়া উঠিল “ওরে এই নয়া সড়ক।” কিন্তু সড়কে কেহ উঠিল না, তাহার তলে তলেই সকলে চলিল। আমি ভাবিলাম পথ থাকিতে বিপথে কেন গমন ? কিন্তু বাহকেরা তাহা ভাবিল না, সেতুর পদতল হইয়াই আঁকিয়ু বাকিয়া কাদা কাটা, জল ভাঙ্গিয়া হছোট খাইয়া কথা কহিতে কহিতে “কিয়দ রে একটা জনপদে বিশ্রামস্থলে সকলে উপনীত হইলাম। এই চটিটি একটি বৃহৎ ক্রোশাধিক লম্বা দীর্ঘিকাতটে সংবেশিত হইয়াছে কিন্তু তাহার প্রবেশস্থলে দৃঢ় ফটকপার্শ্বে আদা হিন্দি বচনপ্রয়োগী পিয়াদাদ্বয় দণ্ডায়মান রহিয়াছে। আমরা নিকটস্থ হইবা মাত্র কহিল “ওই সরকারি মামুল দিয়া
