કરrt ] 線》 এক্সচেঞ্জ * (dé. হইত সন্দেহ নাই কিন্তু যে টাকা দিয়া কিনিতে হইত তাহার সুদ দিত কে ? এখন অনেক অনুসন্ধানের পর জানা গিয়াছে যে সোণ মহার্ঘ হইয়াছে । পূর্বেই বলিয়াছি যাহারা তলাইয়া না বুঝে তাহাদের কাছে রূপ সস্ত হওয়াও সোণা মহার্ঘ হওয়া তুইয়েরই এক প্রকার ফল সুতরাং তাহারা ঠিক করিয়া উঠিতে পারে না সোণা মহার্ঘ হইল কি রূপা সস্ত হইল। বৰ্ত্তমান উদাহরণে র্তাহারা ঠিক উল্টাটি বুঝিয়াছেন। যদি বল সোণ মহার্ঘ হইল কিরূপে জানা গেল। আজি কালি ইংলণ্ডে বাণিজ্যে বড় গোলযোগ, অনেক হাউস ফেল হইতেছে লাভ কম হইতেছে, ব্যবসায়ে মন্দা পড়িয়া গিয়াছে। ইহার কারণ অমুসন্ধান করায় প্রকাশ পায় যে ইংলণ্ডে ৫ বৎসর আগে যখন ব্যবসায় বড়ই ভাল ছিল তখন যে জিনিস যত আমদানী ও রপ্তানী হইত এখন তাহা অপেক্ষ জিনিস পত্র বেশী আমদানী রপ্তানী হইতেছে কিন্তু যখন দাম ধবিযা দেখা যায় তখন প্রমাণ হয় যে পুৰ্ব্বাপেক্ষা অল্প দামের জিনিস আমদানী বগুানী হইতেছে। আর বাজার দৃষ্টান্ত দেখিলেও সকল জিনিসেরই দাম কমিয়াছে যেমন রূপার দাম শতকরা ২২ করিয়া কমিয়াছে তেমনি সকল জিনিসেরই দাম শতকরা ২২ করিয়া কমিয়াছে । সুতরাং সোনার দাম শতকরা ২২ করিয়া বাড়িয়াছে। অর্থাৎ পূৰ্ব্বে যদি ৩০ মণ জিনিস রপ্তানী হইত তাহার দাম হইত ১৫০ পৌণ্ড এখন হয়ত: ৩৫মণ রপ্তানী হইতেছে, কিন্তু দাম হয়ত ১৪৫ পৌণ্ড বই নয়। এরূপ যদি একটা আধটা জিনিসের দাম কম হয় তবে জানা যায় যে অধিক উৎপন্ন হওয়ার দরুণ না হয় সেই জিনিষটাই সস্ত হইয়াছে, কিন্তু যখন সুকল জিনিসেই এই রকম তখন তাহাতে কি বুঝায় ? যে, যে বস্তু দ্বারা দাম নির্ণয় হয় তাহার মূল্য অধিক হইয়াছে, এই না ! ইংলণ্ডে সোণ দ্বারা দাম নির্ণয় হয় সুতরাং সোণার মূল্য অধিক হইয়াছে । এখনকার চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রেই অবগত আছেন যে সোণ মহার্ঘ হওয়ার জন্য এক্সচেঞ্জ গোলমাল উপস্থিত হইয়াছে। কিন্তু কথা এই সোণ মহার্ঘ হয় কেন ? অষ্ট্রেলিয়া কালিফোর্শিয়ায় এত সোণা আবিষ্কার হইল, সোণা কোথায় সস্তাই হুইবার কথা তাহা না হইয়া উপরন্তু মহাৰ্থ হইয়া গেল ! এ কেমন করিয়া হইবে উত্তর এই যে ১৮৫১ সালের পূর্বে ইংলণ্ডে স্বাধীন বাণিজ্য প্ৰবৰ্ত্তিত হয় অর্থাৎ ইংলণ্ড স্থির করে যে, যে জিনিষ যেখানে সস্তা পাইৰ সেই জিনিষ সেইখানে কিনিব ও যেখানে যে জিনিষ মহাৰ্থ দেখিব সেইখানে সেই জিনিষ বেচিৰ এই সিদ্ধাস্তামুযায়ী কাৰ্য্য করার দরুণ ইংলণ্ডের শীজ শীজ খনোন্নতি হইতে লাগিল ।
