পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खणक्षं । [ ՀԵր س6%A হাজার টাকা দরকার হইলেই ইংলণ্ড হইতে ছাপা হইয়া আসিত । এখন অষ্ট্রেলিয়ায় মস্ত টাকশাল হইয়াছে, কালিফণিয়া অথবা ইয়ুনাইটেড ষ্টেটে যদিও টাকশাল ছিল মধ্যে দিন কতক সেখানে টাকা ছাপাই তইত না। এখন আবার সোণা রূপার প্রচুর পরিমাণে ছাপা হইতেছে। নিম্নলিখিত হিসাব দৃষ্টি করিলে সোণা কি রূপা মহার্ঘ হইল কতক উপলব্ধি হইবে । প্রথম রূপা ১৮৭১ সাল হইতে ১৮৭৮ পর্য্যন্ত ৪৫ কোট নাবার রৌপ্য খনিতে পাওয়া যায় { ১৮৭৬ পর্য্যস্ত ৩২ কোট জৰ্ম্মণি বিক্রয় করে । ১৮৭৬ হইতে ১৮৭৯ পর্য্যস্ত ২৬ কোট । ইহার মধ্যে শেষোক্ত ২৬ কোটীর মধ্যে ২৫ কোট টাকার রৌপ্য শুদ্ধ ভারতবর্ষে আসিয়াছে। এই পরিমাণে বরাবর ১৮৭১ সাল হইতে ভারতবর্ষে টাকা আসিতেছে । ভারতবর্ষীয় গবর্ণমেণ্ট অনেক দিন অবধি ইংলণ্ডে টাকা ধার করিয়া এ দেশে পবলিক ওয়ার্কস চালাইতেছেন সে টাকার ইংলণ্ড হইতে রূপার চাই আসে। এইরূপে ১৮৭১ হইতে এ পর্য্যস্ত যত নূতন রূপা বাহির হইয়াছে তাহার অনেক ভারতবর্ষে আসিয়াছে । ৪৫ বৎসর হইল একবার ফ্রান্স ও ইতালিতে রেশম হয় না সে বৎসর চীন হইতে সমস্ত রেশম যায় চীনের বিলাতী জিনিষ বড় লয় না । তাহারা রূপ লয়। তাহাতেও এই বাড়তি রূপার কিয়দংশ গিয়াছে। ১৮৭১ সালের পূর্বে যে রূপা প্রতি বৎসর বাহির হইত এখনও তাহা হয় তাহার পরিমাণ অপেক্ষাকৃত অল্প। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ৮.১০ বৎসর ধরিয়া ইংলণ্ডকে প্রায় ৭ কোট টাকার রৌপ্য দিতে হয় । চীনের চা নহিলে বিলাত চলে না। বিলাতী জিনিষ চীনের লইতে চায় না । সুতরাং অনেক টাকার রৌপ্য প্রতিবৎসর দিতে হয় । চীনের সঙ্গে এরূপ বিস্তৃত বাণিজ্য হইবার পূর্বে অর্থাৎ ১৮৭১ সালের পূর্বে এক ভারতবর্ষে রেলওয়ে কোম্পানি সমূহের ৬• কোট টাকা খরচ হয়, ইহার কিয়দংশ সোণায় আসে, কিয়দংশ ভারতবর্ষেও পাওয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশ ইংলণ্ড হইতে রূপার চাই খরিদ হইয়া আসে। সুতরাং বিলাতে রূপ ( কি পুরান কি নুতন ) অধিক নাই প্রতিপন্ন হইল। প্রায় সমস্ত রূপাই ভারতবর্ষ ও চীনে পহুছিয়াছে । সমস্ত রূপা টাকাভাবে নাই। অনেকই কুলগৃহিণীদিগের পইচারূপে পরিণত হুইয়াছে । এক্ষণে সোণার হিসাব। ১৮৫১ সালের পূর্বে পৃথিবীতে ছয় কোটা টাকার সোপা উৎপন্ন হইত। পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে—