পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Was बइदकञि t &छब ব্যক্তিবিশেষে ভৈলের গুণতারতম্য অনেক আছে। নিস্কৃত্রিম তৈল পাওয়া অতি স্থলত। কিন্তু তৈলের এমনি একটি আশ্চৰ্য্য সম্মিলনী শক্তি আছে যে তাছাতে যে উহা অন্ত সকল পদার্থের গুণই আত্মসাৎ করিতে পারে। যাহার বিষ্ঠা আছে তাহার তৈল জামার তৈল অপেক্ষা মূল্যবান । বিচার উপর যাহার বুদ্ধি আছে তাহার আরও মূল্যবান। তাহার উপর যদি ধন থাকে তবে তাহার প্রতি বিন্দুর মূল্য লক্ষ টাকা। কিন্তু তৈল না থাকিলে তাহার বুদ্ধি থাকুক, হাজার বিদ্যা থাকুক, হাজার ধন থাকুক কেহই টের পায় না । ভৈল দিবার প্রবৃত্তি স্বাভাষিক । এ প্রবৃত্তি সকলেরই আছে এবং সুবিধা মতে আপন গৃহে ও আপন দলে সকলেই ইহা প্রয়োগ করিয়া থাকে কিন্তু অনেকে এত অধিক স্বার্থপর যে বাহিরের লোককে তৈল দিতে পারে না । ভৈল দান প্রবৃত্তি স্বাভাবিক হইলেও উহাতে কৃতকাৰ্য্য হওয়া অদৃষ্টসাপেক্ষ । আজ কাল বিজ্ঞান, শিল্প প্রভৃতি শিখাইবার জন্য নানাবিধ চেষ্ট হইতেছে । যাহাতে বঙ্গের লোক প্রাক্টিক্যাল অর্থাৎ কাজের লোক হইতে পারে তজস্ত সকলেই সচেষ্ট কিন্তু কাজের লোক হইতে হইলে তৈলদান সকলের আগে দরকার—অতএব ভৈলদানের একটা স্কুলের নিতান্ত প্রয়োজন । অতএব আমরা প্রস্তাব করি বাছিয়া বাছিয়া কোন রায়বাহাতুর অথবা খাঁ বাহাদুরকে প্রিলিপ্যাল করিয়া শীঘ্র একটা স্নেহনিষেকের কালেজ খোলা হয় । অন্ততঃ উকিলি শিক্ষার নিমিত ল কলেজে একজন ভৈল অধ্যাপক নিযুক্ত করা আবশুক। কালেৰ খুলিতে পারিলে ভালই হয়। কিন্তু এরূপ কালেজ খুলিতে হইলে প্রথমতই গোলযোগ উপস্থিত হয় । তৈল সবাই দিয়া থাকেন—কিন্তু কেহই স্বীকার করেন না যে আমি দিই। সুতরাং এ বিষ্ঠার অধ্যাপক জোটা ভার, এ বিদ্যা শিখিতে হইলে দেখিয়া শুনিয়া শিখিতে হয়। রীতিমত লেকচার পাওয়া যায় না। যদিও কোন রীতিমত কলেজ নাই তথাপি বাহার নিকট চাকরীর বা প্রোমোসনের শুপারিস মিলে তাশ লোকের বাড়ী সদাসৰ্ব্বদা গেলে উত্তমরূপ শিক্ষালাভ করা যাইতে পারে । ৰাজপলির क्ल माहे, क्ङ्गिध नाहे, विछ७ नाहे दूरुिe नाहे । श्छब्रार दाजांनौब्र ५कमांज ভরসা তৈল-বাঙ্গালায় যে কেহ কিছু করিয়াছেন সকলই তৈলের জোরে । ৰাঙ্গালিদিগের তৈলের মূল্য অৰিৰ নয়। এবং কি কৌশলে সেই ভৈল বিধাপুরুষদিগের মুখসেব্য হয়, তাহাও অতি অল্প লোক জানে। বাছার জামের