পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s२ve ] জটাধারীর রোজমামচ ية ولا প্রীতিকর না হইবে ? বিশেষ চাণক্যের শ্লোক অভ্যাস, শুভঙ্করের অঙ্কপাত, পিতামহের নাম, গাই, গোত্রাদি শিক্ষা হইতে অব্যাহতি পাইলাম। কেই তদ্বিষয়ে প্রশ্ন করিলে “আমরা ইংরেজি পড়ি" কহিলেই প্রকারাস্তরে তাহাকে বিলক্ষণ অপ্রতিভ করা হইত। ক্রমে বাপ পিতামহের নাম না জানা একটা গৌরবের কারণ হইয়া উঠিল! বাপ পিতামহের নাম জিজ্ঞাসা করাও একটী অসভ্যতার লক্ষণ বলিয়া নির্দেশিত হইল ! অধিককন্তু আর আমাদের বাটতে বসিতে হইত না, স্কুল ঘর মেজ চৌকিতে সজ্জিত হইল, বেঞ্চে বসিয়া বাঞ্ছা বৃদ্ধি হইতে লাগিল, সকাল সকাল “স্কুলের ভাত" প্রস্তুত হইতে লাগিল, প্রতিদিন পরিষ্কার বস্ত্রে ও জুড়ার বাহারে বাহিক পরিচ্ছন্ন সাধন হইতে লাগিল। দিনে দিনে বালকগণের বোল, মেজাজ, বাঙ্গালার বায়ু পৰ্য্যন্ত পরিবর্তন হইতে লাগিল। সকলের মুখেই ইংরেজি কথা । বেনেদেব বাজকুমারী “কিংস্ ডটার—” রাঙ্গাঠাকুরুণ “রেড গডেস” খুড়া “অঙ্কল" তরকারী “করি” ইয়া গেল। স্কুলের মালি গোপীনাথ সর্দার জল ছাড়িয়া “ওয়াটব" কহিতে লাগিল ও দুই এক ছিলিম গঞ্জিকায মত্ত হইয়া শুভ্রবর্ণ গোফ যুগল তেলাইযা “ইয়াস” “নো” করিতে আরম্ভ কৰিল, সেই “ইয়াস” নো” ক্রমে বিপুল পুথিবীব্যাপী হইযা উঠিল, ঘরে ঘরে মুখে মুখে বেড়াইয়া সংস্কৃতজ্ঞ BBBBB BBBB KBBB ggg BBB BBBB BBBS BB BB BBBBB মহাশয শুদ্ধাচাবা মেচ্ছবর্ণ ব্যবস্তাব দূরে থাকুক অপরের মুখে শুনিলেও বিমর্শ হইতেন, ও কঠিতেন “শাস্ত্রধৰ্ম্ম দূরে গত মেচ্ছকৃত বিপ্লব কাল আগত ” এদিকে আখঙ্গি সাহেব ও মাষ্ট্রর বাবুর প্রাচুর্ভাবে বিরক্ত । মনে করিতেন “বাদশাহী তক্তের সহিত বাদশাহী যবান ও লোপ হইল।” এক্ষণে মাষ্টরের প্রতি উভয়ের বিরক্তি হেতু পরস্পরের মধ্যে, আমুরক্তির কারণ জন্মিল—মহিষের বঁাক সিং যুদ্ধকালে একা হইযা উঠিল। সনাতন ধৰ্ম্মবাদী তর্কালঙ্কার মহাশয়ও চিরদ্বেষী মোসলেম অনুচৰ আখঞ্চি বাঙ্গাতুব স্বার্থাশয়ে ঐক্য হইলেন ও ইংরেজি পড়া ও ইংরেজি পাঠ গ্রাম হইতে উত্যক্ত কবিবার জন্য একটী গভীর প্রস্তাবনা স্বজন করিলেন । একদিন সন্ধার পর বিন্ধ সায়েরেব উত্তরতীৰে শিবমন্দির সম্মুখে চাদনির সোপানে বসিয়া গঙ্গাধর কয়েকট সমবয়স্ক বালকসত আপন আপন পাঠ্য পুস্তক সম্বন্ধে আলাপ করিতেছিলেন। বঙ্গ ইতিবৃত্ত হইতে কালাপাহাড় কর্তৃক হিন্দুদেবগণের উপর অত্যাচার সকল একটি বালক গল্পচ্ছলে কহিতেছিল এই সময় সম্মুখস্থ গঙ্গাধর মহাদেবের প্রতি আমার দৃষ্টি পড়িল। আমি কহিলাম “দেব দেবীদের যেরূপ নিস্তেজ ব্যবহার পুরাবৃত্তে পড়া যায় তাহাডে বিশ্বাস হওয়া তুষ্কর, সে সকল কথা যদি সত্য হয় তবে এইরূপ অচল দেবতার উপর ভক্তি সচল হইয়া