পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०b ছয়েরই প্রবল আঘাতে তুমি তাহাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করিতে থাক ও প্রাণের প্রবাহকে অপ্রত্যাশিতের উত্তেজনায় ক্রমাগত তরঙ্গিত করিয়া শক্তির নব নব লীলা ও স্বষ্টির নব নব মূৰ্ত্তি প্রকাশ করিয়া তোল। পাগল, তোমার এই রুদ্র আনন্দে ৰোগ দিতে আমার ভীত হৃদয় যেন পরাম্মুখ না হয় ! সংহারের রক্তআকাশের মাঝখানে তোমার রবিকরোদ্দীপ্ত তৃতীয়নেত্ৰ ধেন ধ্রুবজ্যোত্তিতে আমার অস্তরের অন্তরকে উদ্ভাসিত করিয়া তোলে ! নৃত্য কর, হে উন্মাদ, নৃত্য কর । তাহারই ঘুর্ণবেগে আকাশের লক্ষকোটিযোজনৰ্যাপী উজ্জ্বলিত নীহারিকা যখন ভ্ৰাম্যমাণ হইতে থাকিবে—তখন আমার বক্ষের মধ্যে ভয়ের আক্ষেপে যেন এই রুদ্রসঙ্গীতের তাল কাটিয়া नो शांइ ! ८श्। भृङ्गाअन्त्र, आँझोप्क्व्र जबख ভাল এবং সমস্ত মঙ্গের মধ্যে তোমারই खङ्ग ख्रिङ् । আমাদের এই ক্ষ্যাপাদেবতার আবির্ভাব যে ক্ষণে ক্ষণে, তাহা নহে—স্বষ্টির মধ্যে ইহার পাগলামি অহরহ লাগিয়াই আছে—আমরা ক্ষণে ক্ষণে তাহার পরিচয় পাই মাত্ৰ। অহ রহই জীবনকে মৃত্যু নবীন করিতেছে, ভালকে মন্দ উজ্জল করিতেছে, তুচ্ছকে অভাবনীয়মূল্যৰান্‌ করিতেছে। যখন পরিচয় পাই, তখনি রূপের মধ্যে অপরূপ, বন্ধনের মধ্যে মুক্তির প্রকাশ জামাদের কাছে জাগিয়া উঠে । 参 আজিকার এই মেঘে যুক্ত আলোকের মধ্যে আমার কাছে সেই অপরূপের মূৰ্ত্তি জাগিয়াছে। সম্মুখের ঐ রাস্ত, ঐ খোড়েচাল-দেওয়া মুনীর দোকান, ঐ ভাঙা ভিট, বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, শ্রাবণ । ঐ সরু গলি, ঐ গাছপালাগুলিকে প্রতিদিনের পরিচয়ের মধ্যে অত্যন্ত তুচ্ছ করিয়া দেখি+ ছিলাম। এইজন্য উহার আমাকে বদ্ধ করিয়া ফেলিয়াছিল—য়োজ এই কটা জিনিয়ের মধ্যেই নজরবন্দী করিয়া রাখিয়াছিল । আজ হঠাৎ তুচ্ছতা একেবারে চলিয়া গেছে । আজ দেখিতেছি, চির-অপরিচিতকে এতদিন পরিচিত বলিয়া দেখিতেছিলাম, ভাল করিয়া দেখিতেছিলামই না। আজ এই ধাছী-কিছু, সমস্তকেই দেখিয়া শেষ করিতে পাঞ্জিতেছি না। আজ সেই সমস্তই আমার চারিদিকে আছে, অথচ তাহারা আমাকে আটক করিয়া রাখে নাই—তাহারা প্রত্যেকেই জামাকে পথ ছাড়িয়া দিয়াছে। আমার পাগল এইথানেই ছিলেন,—সেই অপূৰ্ব্ব, অপরিচিত, অপরূপ, এই মুদির দোকানের খোড়েচালেয় শ্রেণীকে অবজ্ঞা করেন নাই-- কেবল, যে আলোকে তাহাকে দেখা যায়, সে আলোক আমার চোখের উপরে ছিল না ।. আজ আশ্চর্য এই যে, ঐ সম্মুখের দৃপ্ত, ঐ কাছের জিনিষ আমার কাছে একটি বহুস্বদুরের মহিমা লাভ করিয়াছে । উহার সঙ্গে গৌরীশঙ্করের তুষারবেষ্টিত দুর্গমত, মহাসমুদ্রের তরঙ্গচঞ্চল দুস্তরতা আপনাদের সজাতিত্ব জ্ঞাপন করিতেছে । এমুনি করির হঠাৎ একদিন জানিতে পাৱা যা, যাহার সঙ্গে অত্যন্ত ধরকর পাতjইয়া বসিয়াছিলাম, সে আমার ঘরকন্নার বাহিরে। আমি যাহাকে প্রতিমুহূর্তের বাধা-ৰরাদ ৰলিয়া নিতান্ত নিশ্চিন্ত হইয়৷ हिगाम,*ठारीब्र बर्फ झगड ईब्रॉइड थिनिष কিছুই নাই । আমি ধাৰার্কে ভালরূপ জানি