পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ষষ্ঠ সংখ্যা । ] ੱਢੇ | • తీవd ঘটির উঠে ন—ৰলটাই আমার পক্ষে সহজ । কিন্তু যাই বল, পাত্রটি আমার পছন্দ হইতেছে না। অক্ষয়। দেখ যোগেন, তুমি নিজের জেদ লইয়া সমস্ত মাটি করিয়ো না ! সকল সুবিধা একত্রে পাওয়া যায় না । যেমন করিয়া হোক, রমেশের চিন্তা হেমনলিনীর মন হইতে না তাড়াইতে পারিলে আমি ত ভাল বুঝি না। তুমি যে গায়ের জোরে সেট। করিয়া উঠিতে পরিবে, তাহা মনেও করিয়ে৷ না। আমার পরামর্শ অনুসারে যদি ঠিকমত চল, তাহা হইলে তোমাদের একটা সদগতি হইতেও পারে ! • যোগেন্দ্র । আসল কথা, নলিনাক্ষ আমার পক্ষে একটু বেশি দুৰ্ব্বোধ। এরকম লোকদের লইয়া কারবার করিতে আমি ভর করি। একটা দায় হইতে উদ্ধার হইতে গিয়া ফের আর-একটা দায়ের মধ্যে জড়াইয়৷ *क्लिब ! ১ অক্ষয় । ভাই, তোমরা নিজের দোষে পুড়িয়াছ—আজকে সিদূরে মেঘ দেখিয়৷ আতঙ্ক লাগিতেছে। রমেশসস্বন্ধে তোমরা গোড়াগুড়ি একেবারে অন্ধ ছিলে । এমন ۹ي_ ছেলে আর হয় না—ছলনা কাহাকে বলে, রমেশ তাহ জানে না—দর্শনশাস্ত্রে রমেশ দ্বিতীয় শঙ্করাচার্ষ্য বলিলেই হয়, আর সাহিত্যে স্বয়ং সরস্বতীর উনুবিংশশতাব্দীর পুরুষসংস্করণ । রমেশকে প্রথম হইতেই আমার ভাল লাগে নাই—ঐরকম অত্যুচ্চ-আদৰ্শওয়াল লোক আমার বয়সে অামি ঢের-টের cनषिब्राहि ! किरू श्रांभाब्र कथांछि कश्विांब्र জো ছিল না-তোমরা জানিতে, আম্বারসতু ”অধোগ্য অভাজন কেবল মাহাত্মা-লোকদের ঈর্ষা করিতেই জানে, আমাদের আন্ধকোনো ক্ষমতা নাই। যা হোকৃ, এতদিন পরে বুঝিস্বাছ, মহাপুরুষদের দূর হইতে ভক্তি করা চলে, কিন্তু তাঁহাদের সঙ্গে নিজের বোনের বিবাহের সম্বন্ধ করা নিরাপদ নহে। কিন্তু 'কণ্টকেনৈব কণ্টকম্ !’ যখন এই একটিমাত্র উপায় আছে, তখন আর এ লইয়া খুংখুৎ করিতে বসিয়ে না ! যোগেন্দ্র । দেখ অক্ষয়, তুমি যে আমাদের সকলের আগে রমেশকে চিনিতে পারিয়াছিলে, এ কথা হাজার বলিলেও আমি বিশ্বাস করিব না । তথন নিতান্ত গায়ের জালায় তুমি রমেশকে দু’চক্ষে দেখিতে পারিতে না—সেটা যে তোমার অসাধারণ বুদ্ধির পরিচর, তাহ৷ আমি মানিৰ না । যাই হোক, কলকৌশলের যদি প্রয়োজন থাকে, তবে তুমি লাগে, আমার দ্বারা হইবে না । মোটের উপরে নলিনাক্ষকে আমার ভালই লাগিতেছে না । যোগেন্দ্র এবং অক্ষয় উভয়ে যখন অন্নদার চা খাইবার ঘরে আসিয়া পৌছিল, দৃেষিল, হেমনলিনী ঘরের অন্তদ্বারদিয়া বাহির হইয়। যাইতেছে। অক্ষয় বুঝিল, হেমনলিনী তাছাদিগকে জান্‌লা দিয়া পথেই দেখিতে পাইক্সছিল। ঈষৎ একটু হাসিয়া সে অন্নদার কাছে আসিয়া ৰসিল। চায়ের পেয়াল ভৰ্ত্তি করিয়া লইয়। কছিল—“নলিনাক্ষবাৰু যাহা বলেন,একেবারে প্রাণের ভিতর হইতে বলেন, সেইজন্ত তাহার কথাগুল এত সহজে প্রাণের মধ্যে গিয়া প্রবেশ করে।” -- অন্নদাৰাবু কছিলেন—“লোকটির ক্ষমতা আছে ।” -