পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為>8 বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, আষাঢ় । বেগে ভাসিয়া যাইতেছিল। এই দৃশু দেখিতে অবস্থা অবগত হইয়া আমার প্রতি চিরস্নেহ দেখিতে রামচন্দ্র সীতাকে বলিলেন —“রাজ্যনাশ ও সুহৃদ্ধিরহ আমার দৃষ্টির কোন বাধা জন্মাইতেছে না, আমি এই পাৰ্ব্বত্য দৃশুীবলীর নিৰ্ম্মল আনন্দ সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করিতে পারিতেছি ।” এই কথা শেষ না হইতে হইতে সহসা বিপুল শব্দে নভঃপ্রদেশ আকুলিত হইয়া উঠিল, সৈন্তরেণুতে দিল্পগুল আচ্ছন্ন হইল, তুমুল শব্দে পশুপক্ষী চতুৰ্দ্দিকে পলাইতে লাগিল । রামচন্দ্র, সন্ত্রস্ত হইয়া লক্ষ্মণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “দেখ, কোন রাজা বা রাজপুত্র মৃগয়ার জন্ত এই বন আসিয়াছেন কি ? কিংবা কোন ভীষণ জন্তুর আগমনে এই সৌম্যনিকেতনের শাস্তি এভাবে বিঘ্নিত হইতেছে ?” লক্ষ্মণ দীর্ঘপুষ্পিত সালবৃক্ষের অগ্ৰে উঠিয়া ইতস্তত দৃষ্টিপাত করিয়া পুৰ্ব্বদিকে সৈম্ভশ্রেণী দেখিতে পাইলেন এবং বলিলেন, “অগ্নি নিৰ্ব্বাণ করুন, সীতাকে গুহার মধ্যে লুকাইয়া রাখুন এবং অস্ত্রশস্ত্রাদি লইয়া প্রস্বত হউন ৷” “কাহার সৈন্ত আসিতেছে, কিছু বুঝিতে পারিলে কি ?” এই প্রশ্নের উত্তরে লক্ষ্মণ বলিলেন, “অদূরে ঐ যে বিশাল বিটপী দেখা যাইতেছে, উহার পত্রাস্তরে ভরতের কোবিদারচিহ্রিত রথধ্বজ দেখা যাইতেছে,—অভিষেক প্রাপ্ত হইয়া পুর্ণমনোরথ হয় নাই, নিষ্কণ্টকে রাজ্য ঐ লাভ করিবার জন্ত ভরত আমাদিগের বধসুঙ্কল্পে অগ্রসর হইতেছে, আজ এই সমস্ত অনর্থের মূল ভরতকে আমি বধ করিব।” রামচন্দ্র বলিলেন—“ভরত আমাদিগকে ফিরাইয়া লইয়া যাইতে জাসূিহ্মাছে সকল পরায়ণ, আমার প্রাণ হইতে প্রিয় ভরত স্নেহাত্ৰলন্তহৃদয়ে পিতাকে প্রসন্ন করিয়৷ আমাদিগের উদ্দেশে আসিয়াছে, তুমি তাহার প্রতি অদ্যায় সন্দেহ করিতেছ কেন ? ভরত কখন ত অণমাদিগের কোন অপ্রিয় কাৰ্য্য করে নাই, তুমি তাহার প্রতি কেন ক্র রবাক্য প্রয়োগ করিতেছ? যদি রাজ্যলোভে এরূপ করিয়া থাক, তবে ভরতকে কহিয়া আমি নিশ্চয়ই রাজ্য তোমাকে দেওয়াইব ।” ধৰ্ম্মশীল ভ্রাতার এই কথা শুনিয়া লক্ষ্মণ লজ্জায় অভিভূত্ত্ব হইয়া পড়িলেন । কিছু পরেই ভরত মাসিয়া উপস্থিত হইলেন ; অনশনক্কশ ও শোকের জীবন্তমুষ্টি দেবেীপম ভরত রামকে তুণের উপর উপবিষ্ট দেখিয়া বালকের স্থায় উচ্চকণ্ঠে কাদিতে লাগিলেন – “হেমছত্র যাহার মস্তকের উপর শোভা পাইত, সেই রাঙ্ক শ্ৰী-উজ্জল শিরোদেশে আজ জটাভার কেন ? আমার আগ্রজের দেহ চন্দন ও আ গুরু দ্বারা মার্জিত হইত, আজ সেই অঙ্গরাগবিরহিত কাস্তি ধূলিধূসর । ধিনি সমস্ত বিশ্বের প্রকৃতিপুঞ্জের আরাধনার বস্তু, তিনি বনে বনে ভিখারীর বেশে বেড়াইতেছেন,—আমার জক্টই তুমি এই সকল কষ্ট বহন করিতেছ, এই লোকগৰ্হিত নৃশংস জীবনে ধিকৃ*?” বলিতে বলিতে উচ্চস্বরে কাদিয়া ভরত রামচক্সের পদমূলে নিপতিত হইলেন । এই ছুই ত্যাগী মহাপুরুষের মিলনস্কৃগু বড় করুণ । ভরতের মুখ শুকাইয়। গিয়াছিল, উপহারও মাথার जघ्नायू, ८मरइ ईौबयान, ठिनि झ्थ्*नि