পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] এমসিন । \రి$d: সমানেই কেবল প্রকৃত চেনাশোনা হইয়া থাকে, আর দেবতার কৃপা ভিন্ন প্রাকৃতজনের পক্ষে অলৌকিক প্রতিভার সঙ্গে কোনও বিষয়ে সমতা লাভ করা সম্ভব হয় না । মানবের সর্বজনীন অভিজ্ঞতার ভূমিতে, দৈবক্রমে গুরুশিষ্যের সাক্ষাৎকার হইলেই কেবল, সেই অভিজ্ঞতার উপরে দাড়াইয়া, অকৃতী শিষ্য, মহাজন গুরুর তত্ত্বোপদেশের মৰ্ম্মগ্রহণে সমর্থ হয়। . এমাসনের সঙ্গে ও এই ভূমিতেই আমার প্রথম সাক্ষাৎকার হইয়াছিল । ” মৃতু্যচ্ছায়ায় বসিয়া একদিন সহসা বহুকালোপেক্ষিত এমাসনের গ্রন্থাবলী খুলিলাম । ‘ক্ষতিপূরণ’শীর্ষক প্রবন্ধের উপরেই প্রথমে দৃষ্টি পড়িল । তাহার শেষভাগে দেখিলাম লেখা আছে— Such also is the natural history of calamity. The changes that break up at short intervals the prosperity of men arc advertiscments of a nature whose law is growth—#57tfit অর্থাৎ গুর্ঘটনার প্রাকৃত ইতিহাস ও এইরূপই । যে সকল অবস্থাবিপর্য্যয়ে মধ্যে মধ্যে লোকের মুখসৌভাগ্য ভাঙিয়া দেয়, তাহা দ্বারা মানবপ্রকৃতিনিহিত অনস্ত উন্নতির বিধানই বিজ্ঞাপিত হইয়া থাকে । এই প্রবন্ধ যে এই প্রথম পড়িলাম, তাহ। নহে। কিন্তু যে অভিজ্ঞতার ভূমিতে দাড়া.ইয়া এমার্সন এ সকল কথা লিখিয়াছিলেন, আমার তখনও সে অভিজ্ঞত হয় নাই । বন্ধ্যা কি কথন মাতৃস্নেহ সত্যভাবে জানিতে পারে বা পুত্ৰশোকের মৰ্ম্মযাতনা কোনক্রমে অনুভব করিতে সমর্থ হয় ? এমার্সন এখানে শোকাৰ্ত্তের অস্তজীবনচরিত বিবৃত করিতেছেন ; শোকাহত ব্যক্তিই কেবল ইহার গভীর মৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে পরিবে, অপরে তাহ কল্পনা করিতে পারে, ধারণা করিবে কিরূপে ? অার শেণকাৰ্বমাত্রেই যে বুঝিবে, এমনও নহে | ঋষিবাক্যের মৰ্ম্মগ্রহণ করা সৰ্ব্বথাই দেবামুগ্ৰহ সাপেক্ষ । এই ক্ষতিপূরণ প্রবন্ধে এমার্সন শেষভাগে শোকার্তের কথা কহিয়াছেন । কিন্তু এমন করিয়া শোকীর্তকে কেহ সাত্তনা দিতে পারে, পূৰ্ব্বে জানিতাম না । সংসারে শোকার্তের অভাব নাই ; সহৃদয় লোকেও সততই শোকীৰ্ত্তকে সাম্বনাদান করিতে প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া থাকেন । ইহার ফল কি হয়, তাহাও অনেকেই জানি। এই সকল সাত্বনাবাক্যের নির্বাক্ বেদন শোকপূৰ্বমাত্রেই স্বল্পাধিক ভোগ করিয়া থাকেন । 象 অসারে সার-বুদ্ধি, অনিত্যে নিত্য-ধারণ হইতেই শোকের উৎপত্তি হয় সত্য ; কিন্তু যে আত্মহারা হইয়া অসারকেই বুকে ধরিয়৷ কাদিতেছে, তাহার নিকটে অসারের অসারত্বের অলীক বর্ণনায় শোকের সাত্বনা হয় না, কেবল প্রীতিরই অবমাননা হইয়া থাকে ॥• অথচ অজ্ঞ অরসিক লোকে সৰ্ব্বদাই শোকাতুরকে সাম্বন দিতে যাইয়া এইরূপ অৰ্ব্বাচীনভাবে তাহার স্ত্রীতির অবমাননা করে । অনিত্যের অনিত্যতা দেখিয়া যে সেই অনিত্যেরই জন্ত কঁাদিতেছে, তাহাকে জাবার