পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©©bሥ विक्रझ-मि । [ ৩য় বর্ষ, কাঞ্জিক । একটি লোকপ্রসিদ্ধ কথা যে, পরমাত্মা ঘটেঘটে বিরাজমান, এ কথার অর্থও তাই । সাৰ্ব্বাত্মিক ঐক্যস্থত্রে ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডের মৰ্ম্মেমৰ্ম্মে বৃহৎব্রহ্মাও জাগিতেছে বলিলেই বুঝায় যে, ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডের অধিষ্ঠাতা জীবাত্মার অভ্যস্তরে বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডের অধিষ্ঠাতা পরমাত্মা জাগিতেছেন। এখন জিজ্ঞাস্ত এই যে, তাহাই যদি হইল, পরমাত্ম। যদি ঘটে-ঘটে বিরাজমান—তবে সাধন ভজনের প্রয়োজন কি ? পরমণত্মণকে লাভ করিবার জন্তই তো সাধনভজন ; তিনি যদি সাধকের হৃদয়ের অভ্যন্তরে আছেন—তবে তো তিনি সাধকের মুঠার মধ্যেই আছেন ; আবার কেন তবে সাধনভজন ? তুমি যে রত্ন চাহিতেছ, তাহা তোমার অণচলে বাধা রহিয়াছে—তবে কেন তাহার জন্তা এতশত সাধ্যসাধনা ? এ কথার একটা মীমাংসা করার নিতান্তই প্রয়োজন । ইহার মীমাংসা এইরূপ — তুমি যে বলিতেছ, পরমাত্মণকে লাভ করিবার জন্ত সাধ্যসাধনার প্রয়োজন , কি ? “লাভ করা” বলিতেছ কাহাত্মক ? লাভ করা অর্থাৎ পাওয়া । চা ওয়া ব্যতিরেকে “পাওয়া” কথাটার কোনো অর্থ হইতে পারে কি না ? মনে কর যে, ফিনকি-ফিনকি বৃষ্টি পড়িতেছে—আর সেই সময়ে একজন তৃষ্ণাৰ্ত্ত পথিক এক-গওষ জলের জন্ত হাত বাড়াইল ; কিন্তু তাহর অঞ্জলিপুটে এক-ফোট জল পড়িল, আর, ভtহার পরেই বৃষ্টি ধরিয়া গেল। পথিক বলিল--“জল পাইলাম না” ; তাহার কিয়ং পরে মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হইল ; পথিক হাত পাতিবা মাত্রই একগও ষ জল পাইল । তখন পথিক বলিল— “জল পাইয়া প্রাণ পাইলাম।” পূৰ্ব্বে তাহারই হস্তে এক-ফোট জল নিপতিত হইয়াছিল এবং এক্ষণে তাহারই হস্তে এক-গও.ৰ জল নিপতিত হইল। অথচ সেবারে পথিক বলিয়াছিল—“জল পাইলাম না”, এবারে বলিল—“জল পাইয়া প্রাণ পাইলাম” । ছুই বারের দুইরকম কথার তাৎপৰ্য্য কি ? সেবারে পথিক যাহা চাহে নাই, তাহাই তাহার হস্তে পড়িয়াছিল ; এবারে পথিক যাহা চাহে, তাহাই তাহার হস্তে পড়িল ; —এই তাহণয় তাৎপর্য্য । পাওয়ার সঙ্গিত চাওয়ার এইরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ । চাওয়া তিন রূপ — প্রাণের চাওয়া, মনের চা ওয়া এবং বুদ্ধির চাওয়া । প্রাণের চা ওয়া হ’চ্চে ব্যাকুলত, মনের চা ওয়া হ’চ্চে অসুসন্ধান, বুদ্ধির চল ওয়া হ’চ্চে অবধারণ । মনে কর, ত্রিপাস্তর মাঠের মাঝখানে পথিকের প্রাণ জলের জম্ভ ব্যাকুল হইল ; মন জলের অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়া সম্মুখে একটা নদীর মত দুগু দেখিল, কিন্তু তাহা মরীচিকণ ও হইতে পারে, জলও হইতে পারে । মন বলিতেছে, উহা মরীচিকণ কি জল, তাহা আমি জানি ও না, জানিতে চাহিও না ; জলেই আমার প্রয়োজন—মরীচিকায় আমার প্রয়োজন নাই, অতএব উহা জলই । শেক্সপিয়র এক স্থানে বলিয়াছেন “এ তোমার মনের ইচ্ছাছুযায়ী চিস্তা—তোমার wish is father to thy thought, of তোমার চিস্তার জনয়িতা ৷” মন বসিলাকেই সর্থীত্বে বরণ করিয়া সত্যtসত্যের দিকে ফিরিরা ও চাহে না । বুদ্ধি কিন্তু মনের মন-ভুলানিয়া কথায় সন্তোষ মানিতে পারে না। বুদ্ধি বলে, “যাহা দেখা যাইতেছে, তাহ