পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এণ্ডশ্বই মধ্যে যেমন পার্থী থাকে--অর্ণমার শরীরের মধ্যে তেমনি আত্মা আছেন।” কিন্তু সে কথা হইতে পারে না - এইজন্ত—যেহেতু ভিতরবাছির দুর-নিকট প্রভৃতি কোনোপ্রকার আকাশঘটিত সম্বন্ধ নিরাকার আত্মাকে ম্পর্শ করিতে পারে না ; আত্মাকে নাগালই পায় না--স্পর্শণ করিবে কেমন করিয়া ? অীকণশঘটিত কোনোপ্রকার সম্বন্ধ আত্মাকে স্পর্শ করিতে না পারুকু, তথাপি তোমার সহিত আমি যখন বাক্যালাপ করিতেছি তখন কাজের গতিকে আমাকে অগত্যা স্বীকার করিতে হইতেছে যে, তোমার আত্মা আমার ডাহিনেও নহে---বামে ও নহে —উপরেও নহে—নীচেও নছে—পরন্তু সম্মুখে বর্তমান ; কেন না, তোমার সহিত বাক্যণলাপের সময় তোমার আত্ম। তোমার মুখচক্ষুর অভ্যন্তর হইতে উকি দিতেছে, এই ভাবে অামি তোমার আত্মাকে উপলব্ধি করি । এক-তো আত্মা অনাকাশে অবস্থিতি করেন, আর, সেইজন্ত ভিতর-বাহুির - দুরনিকট প্রভৃতি আকাশঘটিত সম্বন্ধ আত্মাতে সংলগ্নই হয় না ; তাহাতে আবার, যদি-বা পাচজনের মতে মত দিয়া মোটামুটি মানিয়া লওয়া যায় যে, আত্মা শরীরের ভিতরে জানে, তাহা হইলে আর-এক দিকে গোল . বাধে এই যে, আত্মা তো মঙ্গুষ্যের সর্বশরীর ব্যাপিয় অবস্থিতি করিতেছেন ; আমরা , তবে মঙ্গুষ্যের প্রতি প্রণিধান করিবার সমর মঙ্গুষ্যের মুখমণ্ডলেরই প্রতি লক্ষ্য করি কেন ? পদাঙ্গুলির প্রতি লক্ষ্য করি না কেন ? উপরে যtহ ইঙ্গিত করা হইল, তাহাতে সহজ-বুদ্ধিতে সহজেই এইরূপ প্রতীয়মান রঙ্গদর্শন ! . [ ৩য় বর্ম, অগ্রহায়ণ । হইতে পারে যে, যে-কারণে লোকে মন্থয্যের প্রতি প্রণিধান করিবার সময় মন্থষ্যের মুখমণ্ডলের প্রতি দৃষ্টিপ্রেরণ করে, সেই কারণে ঈশ্বরের প্রতি প্রণিধান করিবার সময় উদ্ধ আকাশে দৃষ্টিপ্রেরণ করে । এখন জিজ্ঞাস্ত এই ঘে, সে কারণ কি ? ব্ৰহ্মাণ্ডের ব্যবস্থা । " সে কারণ যে কি, তাহার সন্ধান পাইতে হইলে চারিটি বিষয় আহুপুৰ্ব্বিক বুঝির দেখা অবিশ্রাক-— ( ১ ) ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডের ব্যবস্থা । ( ) বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ডের ব্যবস্থা । ( ৩ ) দুয়ের সোসাদৃশু । ( ৪ ) সমস্তের সাৰ্ব্বাত্মিক ঐক্য । আপাতত মনে হইতে পারে যে, মনুধ্যশরীরে রক্তবাহিনী নাড়ির নদী-নালা, বায়ু বাহিনী নাড়ির ডালপালা, তৈজসতত্ত্বর মাকড়সার জাল, অস্থি’র ইষ্টক-গাথুনি, মাংসপেশীর কবজা-বন্ধন, মেদের প্রলেপ এবং মাংসের ছাউনি, এই সকল নানাবিধ উপকরণের একটা পরিপাটি-রকমের ব্যবস্থা আছে; সেই ব্যবস্থার পশ্চাৎ ধরিয়া প্রাণ-মন-বুদ্ধি অনাহুতভাবে একে একে শরীরের মধ্যে আসিয়া জোটে ; পক্ষাস্তরে, যহির্জগতে সকলই এলোমেলে কাও - সেখানে প্রাণ-মন-বুদ্ধির বাসের উপযোগী না আছে বসিবার আসন, না আছে শোৰায় বিছান, না আছে ব্যবহার্য্য-স্ত্রব্যাদির আয়োজন ঃসেখানে কেহ কহাকেও চেনে ন-কেহ কাহারে খোজ লয় না-কেবল একএকটা বিশাল বিশাল কাও (সমুদ্ৰ—পৰ্ব্বতমরুভূমি—অরণ্য-ইত্যাকার বৃহৎ -স্বৰs