& 88 বঙ্গ দশন । [ ৩য় বষ, ফাঙ্কন । উমেশ । মা, এই শাকগুলার সঙ্গে উমেশ । মাছের জোগাড় করিতে পারি । মর্ষে-বাটা খুব চমৎকার হর । , মা, কিন্তু সেট ত মিনি পয়সার হইবার জো কমলা ক্রুদ্ধস্বরে কহিল, “মাচ্ছ, তবে নাই । সর্ষে বাই ।” কমলা পুনরায় শাসনকার্য্যে প্রবৃত্ত এমনি করিয়া উমেশ যাহতে প্রশ্রয় না হইল । তাহার স্বন্দর ছুটি ভ্র কুঞ্চিত করি পায়, কমল৷ সেই সতর্কতা অবলম্বন করিল। বিশেষ গম্ভীরমুখে তাহার শাক, তাছার তরকারি, তাহার বেগুন কুটিয়া রার। চড়াইয়া দিল । হায়, এই গৃহচ্যুত ছেলেটাকে প্রশ্রয় ন৷ দিয়াই বা কমলা থাকে কি করিয়া ? শাকচুরির গুরুত্ব যে কতখানি, তাহা কমলা ঠিক বোঝে না -- কি স্তু নিরাশ্রয় ছেলের নির্ভর লালস যে কত এক স্ত, তাহ] ত সে বোঝে । ঐ যে কমলকে একটুখানি খুসি করিবার জন্য এই লক্ষ্মীছাড়। বালক, কাল হইতে এই করেকটা শাক সংগ্রহের অবসর খুজিয়৷ বেড়াইতেছিল, আর-একটু হইলেই ষ্টীমার হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়াছিল, ইহার করুণা কি কমলাকে স্পশ ন৷ করিয়া থাকিতে পারে ? কমলা কহিল, “উমেশ, তোর জন্তে কালকের সেই দই কিছু বাকি আছে, তোকে আজ আবার দই খাওয়৷হব, কিন্তু খবরদার, এমন কাজ আর কখনো করিস নে ?” উমেশ অত্যস্ত দুঃখিত হইয়া কহিল—“ম, তবে সে দই তুমি কাল থাও নাই ?” কমলা কহিল, “তোর মত দইয়ের উপর আমার অত লোভ নাই । কিন্তু উমেশ, সব ত হইল, মাছের জোগাড় কি হইবে ? মাছ না পাইলে বাবুকে খাইতে দিব कि ?* বার চেষ্টা করিয়া কহিল—“উমেশ, তোর মত নিপোপ আমি ত দেখি নাই ! আমি কি তোকে মিনি পয়সায় জিনিষ সংগ্ৰহ করিতে বলিয়াছি ?” গতকল্য উমেশের মনে কি করিয়৷ একটা ধারণা হইয়া গেছে যে, কমল রমেশের কাছ হইতে টাকা আদায় করাটা সহজ মনে করে না । তা ছাড়া, সব মৃদ্ধ জড়াহয়৷ রমেশকে তাহার ভাল লাগে নাই । এইজন্ত রমেশের অপেক্ষ। ন৷ রাখিয়া, কেবল সে এবং কমলা, এই দুই নিরুপাtয় মিলিয়৷ কি উপায়ে সংসার চালাইতে পারে, তাহার গুটিকতক সহজ কৌশল সে মনে মনে উদ্ভাবন করিতেছিল । শাক-বেগুন-কাচকলা-সম্বন্ধে সে এক প্রকার নিশ্চিন্ত হইয়াছিল, কিন্তু মাছটার বিষরে এখনো সে যুক্তি স্থির করিতে পারে নাই । পৃথিবীতে নিঃস্বাৰ্থ ভক্তির জোরে সামান্ত দই-মাছ পৰ্য্যস্ত এজোটানে। যায় না, পরসা চাই—মুতরাং কমলার এই অকিঞ্চন ভক্ত-বালকটার পক্ষে পৃথিবী সহজ জায়গা নহে । t উমেশ কিছু কাতর হইয় কহিল, “মা, যদি লাবুকে বলিয়। কোনমতে গণ্ডা-পাচেক পয়সা জোগাড় করিতে পার, তবে একটা বড় রুই আনিতে পারি ” - কমলা উদ্বিগ্ন হইয়া কহিল,“না না, তোকে অtর ষ্টীমার হইতে নামিতে দিৰ না, এবার
