বঙ্গদর্শন। মােকাৰি। حدم حسمية هي 3 - تيجة تعيينة وعة مماهير متعصبحي Ge শ্রাস্তির মধ্যে পরের দিন কমলার দিবসারম্ভ হুইল । সেদিন তাহার চক্ষে স্বর্য্যের আলোক ক্লান্ত, নদীর ধারা ক্লাস্ত, তারের তরুগুলি বহুদূরপথের পথিকের মত ক্লান্ত । উমেশ যখন তাহার কাজে সহায়তা করিতে আসিল, কমল। শ্রাস্তকণ্ঠে কহিল, “ যা উম্শে, আমাকে আজ আর বিরক্ত করিস নে !” ” উমেশ অল্পে ক্ষাস্ত হইবার ছেলে লহে । সে কহিল, “বিরক্ত করিব কেন মা, বার্টুন লাটিতে অtসিয়tfছ ।” স কালবেল রমেশ কমলীর চোখমুখের ভাব দেথিয়া জিজ্ঞাসা করিরাছিল “কমলা, তোমার কি অস্থখ করিয়াছে ?” এরূপ প্রশ্ন যে কতখানি অনাবশুক ও মসঙ্গত, কমলা কেবল তাহ একবার প্রবল গ্ৰীবা-আন্দোলনের দ্বারা নিরুত্তরে প্রকাশ করিয়া রান্নাঘরের দিকে চলিয়া গেল । রমেশ বুঝিল, সমস্ত। • ক্রমশ প্রতিদিনই কঠিন হইয়। জালিতেছে । অতিশীঘ্রই ইহার একটা শেষ মীমাংসা হওয়া জাবস্তক । হেমনলিনীয় লঙ্গে একবার স্পষ্ট ৰেtঝাপড়t হইয়া গেলে কৰ্ত্তব্যনিৰ্দ্ধারণ সহজ হইবে, ইহ রমেশ মনে মনে আলোচনা করিয়া দেখিল । কিন্তু রমেশের নিকট এখন তাহাদের বাড়ীর দ্বার রুদ্ধ । সে বাড়ীর প্রবেশদ্বায়ে উদ্ধতস্বভাব যোগেনের সঙ্গে একটা প্রবল বাগবিতণ্ড ও অপমানের সম্ভাবনা মনে পড়িলে রমেশের সমস্ত চিত্ত সঙ্কুচিত হইয় পড়ে । বিশেষত রমেশ কল্পনা করিয়া লইয়াছে, সে বাড়ীতে এখন তাহার স্বপক্ষে কেহই নাই –থাকিবার কথাও নয়—রমেশের ব্যবহারে সন্দেহ না করিবে, এমন আশা শিশুর কাছেও করা যায় না । এমন জtয়গায় সমস্ত বিরোধের মুখে নিজের জোরে অসঙ্কোচে গিয়া দাড়াইবে, রমেশের সেরূপ প্রকৃতিই নয় । তাই সে হেমনলিনীকে যে চিঠি লিখিয়াছিল, সেখান আর একবার পড়িয়া দেখিল । পছন্দ হইল না—ইহার মধ্যে জোর নাই— হতাশের হাল ছাড়িয়া দিবার ভাবেই লেখা । রমেশ যখন নিরপরাধ, তখন হেমনলিনীর তাহাকে বিশ্বাস করিতেই হইবে— ইহার অম্ভথা হইতেই পারে না । এ বিশ্বাস পাইবার যখন তাহার অধিকার অাছে, তখন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৬৮
অবয়ব