দ্বাদশ সংখ্য । ] সম্বন্ধে খুড়ো-মশায়ের পক্ষপাত আছে, সেটা বেশ দেখা গেল।” রমেশের এই কথায় বৃদ্ধ উৎসাহিত হইয়। বলিয়া উঠিলেন—“ঠিক বলিরাছেন রমেশবাবু! আমার পক্ষপাত আছে—আছে বটে ! ভগবান আমাদের মুখে হাসি দিয়া যে একট। মস্ত ভুলু করিয়াছেন, গোফ চাপ দিয়া ঢাকিবার চেষ্টায় সেট। তিনি নিজেই এক প্রকার স্বীকার করিয়াছেন । ” রমেশ কহিল—“খুড়ে।. আপনিই না হয় আমাদের গৃমাস্থানটা ঠিক কয়িয় দিন না । জাহাজের বঁাশাটার চেয়ে আপনার পরামর্শ পাক হইবে ।” চক্ৰবৰ্ত্তী কহিলেন—“এষ্ট দেখুন, আপনার বিবেচনাশক্তি এরি মধ্যে উন্নতিলা ভ করিয়াছে—অথচ অল্পক্ষণের পরিচয় ! তবে আনুন গাজিপুরে আস্থল ৷ মা. সেখানে গেtলাপের ক্ষেত আছে, আর সেখানে তোম:য় এই বুদ্ধ ভক্তটা ও থাকে । যাবে মা গাজিপুরে ?” রমেশ ও কমলার মুখের দিকে চাহিল । কমলা তৎক্ষণাৎ ঘাঁড় নাড়িয়া সম্মতি জানাহল । চক্ৰবৰ্ত্তী কহিলেন “দেখেছেন রমেশ বাৰু আর উপায় নাই ! भाङ्गेप्ञश् জালে সাটুক। পড়িয়াছে ! এখন আমি যদি বলি মামার বt gী মক্কায়, মাকে মক্কায় টানিয়nপইয়। যাইতে পারি, তা সেখানে গোলাপের ক্ষেত থাকিলে গু হয়, ন৷ থাকিলেও হয় ! কেমন, ঠিক কথা কি না ?”. ৰূদ্ধের উৎসাহে কমল হাসিতে লাগিল। _Rళే রমেশের গ। টিপিয় আস্তে আস্তে কানে কানে কছিলেন---“দেখিবেন রমেশ নৌকাডুবি । «ዓል » বাবু, লক্ষ্য করিয়া দেখিবেন, বেীমা অামার হাসিতেছেন—একেবারে কোহিনুর—এ আমি আপনাকে লিখিয়া-পড়িয়া দিতে পারি।” কমলার এই অজস্র মাধুর্য্যে রমেশ যে অন্ধ ছিল, তাহ লহে—কিন্তু পরের কাছে তাছার স্তব শুনিয়া এই মাধুর্য্যের দুৰ্ম্ম ল্যতা রমেশের মলেীযেtগকে আজ যেন আরো বেশি করিয়া টানিয়াছে ! কমলার সরল হাসিটুকু যে সুন্দর, তাহ রমেশ পূৰ্ব্বেই অনেক বার দেখিয়াছে ; তাহীকে কোনো ছুতীয় হাসাষ্টতে সে ভাল ও বাসে, কিন্তু এই বুদ্ধ স্তাবকের চোখ দিয়া এই হাসিকে সে যেন আজ দ্বি গুণ করিয়! দেখিয়া লইল । চক্ৰবৰ্ত্তী কহিলেন—“ম, এই দরজাটার কাছে দাড়াইয়া মনে মনে কি ভাবিতেছেন, তাহ। আমি নিশ্চয় বলিতে পারি। বলিব ? মার নিতান্ত ইচ্ছা, এই ছুপুর-বেলাটায় আমি কে লইয়। ঘরের মধ্যে বসেন— - অামাকে লহয়। একটু হাসেন, একটু গল্প করেন । তোমার ও ঘা ভুনাড়া আমি বিশ্বাস করি না । যদি বল, আমি কেমন করিয়া মনের কথা জানিতে পারিলাম আমারো মন যে ঐ কথাটাই বলিতেছে । তোমরা হাতে একটু সময় পাইলেই একটা কাহাকেও প্রশ্রয় দিয়া মাটি না করিয়া থাকিতে পার না । ছোট ছেলে যদি নিতান্ত কোলের কাছে না থাকে, তবে আমার বয়সের এক-আধটা অৰ্ব্বাচীন থাকিলেও উপস্থিতের মত কাজ চলিয়া যায় । রমেশবাবু, একটু মাপ করিবেন—আপনাকে এতক্ষণ অনেক স্ববুদ্ধি ও সৎপরামর্শ দিয়াছি —এখন আমি ছুটি লইব—ম উত্তরোত্তর অধৈর্য্য হইল্প পড়িতেছেন । কিন্তু মা, পান
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৭৪
অবয়ব