পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । বিদায়-বেলা এল মেঘের মত ব্যেপে, গ্রন্থি বেঁধে দিতে দু’হাত গেল কেঁপে, সেদিন থেকে থেকে চক্ষুদুটি ছেপে ভরে” ষে এল জলধারা । আজকে বসে অাছি পথের এক পাশে, আমের ঘন বোলে বিভোল মধুমাসে, তুচ্ছ কথাটুকু কেবল মনে আসে । ভ্রমর যেন পথহারা ;– সেই যে বাম হাতে একটি সরু রাণী . অাধেক রাঙা, সোনা আধা, আজো কি আছে সেটি বাধা ? পথ যে কতখানি কিছুই নাহি জানি, মাঠের গেছে কোন শেষে, চৈত্রফসলের দেশে । যখন গেলে চলে তোমার গ্রীবামূলে দীর্ঘ বেণী তব এলিয়ে ছিল খুলে’, মাল্যখনি গাথ সাঝের কোন ফুলে লুটিয়ে পড়েছিল পায়ে । একটুখানি তুমি টাড়িয়ে যদি যেতে ! নতুন ফুলে দেখ কানন ওঠে মেতে, দিতেম ত্বর করে” নবীন মালা গেcথ কনকচাপ-বনছায়ে । মাঠের পথে যেতে তোমার মালাথানি প’ল কি বেণী হ’তে খসে ? অাজকে ভাবি তাই বসে ! নূপুর ছিল ঘরে গিয়েছ পায়ে পরেঃ নিয়েছ হেথা হ’তে তাই, অঙ্কে আর কিছু নাই ।