পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বলিয়া এখন উপেক্ষা করিয়া থাকি, তাই তারই ভিতরে চৈতন্তের অধ্যাস করিয়া, বিশ্বসংসারকে সচেতন করিয়া রাথিত। জড়ে ও জীবে তখন এমন একটা মাখামাথি ছিল, এমন একটা আলাপ-আত্মীয়তার আদানপ্রদানের ভাব ছিল, যাহা এখন আমর। কেবল কবি-কল্পনার মাল্পিক সৃষ্টিতেই দেখিতে পাই, দৈনন্দিন জীবনে অনুভব করিতে পারি না । আমরা অার প্রাচীন দেবতাদের দ্বারা নৈসর্গিক বিবর্তনের ব্যাখ্যা করিতে পারি না । আমাদের জড়বিজ্ঞান ও শক্তিবাদ পুরাতন দেবতাদিগকে নিৰ্ব্বাসিত করিয়াছে । আমরা এখন বিশ্ববিবর্তনের অন্তরালে, ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির লীল প্রত্যক্ষ করি না, কিন্তু এক ভীষণ ও বিরাট শক্তিপুঞ্জের লক্ষ্যষ্টীন সংঘর্ষ এবং সংগ্রামই প্রতিষ্ঠিত করি । আর প্রাচীন নেব পাদের নিরসনের সঙ্গে সঙ্গে, আমরা আমাদের পুৰ্ব্বপুরুষগণের পরলোক-বিষয়িণী কোমল শ্রদ্ধাটুকুও হারাইয়াছি । তাহার মৃতদিগের জন্য সুশোভন চন্দ্রলোক, সুর্য্যলোক, দেবলোক, পিতৃলোক, ব্রহ্মলোকাদির প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । এ সকলে বিশ্বাস করিয়া তাহারা শোকে অশেষ সত্ত্বনালাভ করিতেন । আমাদের সে বিশ্বাস নাই । সুতরাং মৃত্যুর नशूशैन रुहेब्र श्रायद्र श्रांछ यउ अशैब्र श्ब्रा পড়ি, মৃত্যু আমাদিগকে যতটা নিঃস্ব করিয়া ফেলিয়া রাখিয়া যায়, প্রাচীনের সেরূপ হইতেন না, কাল ' ৰ্তাহাদিগকে এতট কাপণ্যোপস্থত কয়িতে পারিত না । প্রাচীনের যেমন পরলোক কল্পনা করিতেন, आभब्र cर छाश ¢tरुबारबहे कब्रि न, ७मन७ এষা 8 o'S 蔓 নয় । কিন্তু তাহীদের সে কল্পনার সঙ্গে তাহাঁদের সমসাময়িক সাধনার একটা ঘনিষ্ঠ যোগ ও সঙ্গতি ছিল, আমাদের পরলোককল্পনার মধ্যে সে ধোগ ও সঙ্গতি থাকে না । এই জন্ত অনেক সময় আমাদের শোক লঘু ও সাত্ত্বনা অলীক হইয়া পড়ে। আমাদের দেশের প্রাচীনের মৃতদিগের জন্য আপন মাপন কৰ্ম্মোচিত লোক নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছিলেন। সাধু অসাধু, ভক্তঅভক্ত নিৰ্ব্বিশেষে সকলেই যে ব্ৰহ্মলোক বা বৈকুণ্ঠধাম প্রাপ্ত হইত, এমন অদ্ভূত কল্পনা তাহারা করিতেন না । এইজন্ত, তাহদের পরলোক-রচনা কল্পিত হইলেও, সেই কল্পনার অন্তরালেও একটা সত্য ও সংষম বিদ্যমান ছিল । শ্রদ্ধা যেখানে-সংযম সেখানে আপন হইতেই আইসে । আর ইহলোকের বস্তুর ধারণ যেখানে সহজ ও সরল অথচ দৃঢ় থাকে, সেখানে পরলোকের কল্পনাও নিতান্ত সত্যভ্ৰষ্ট হয় না । আমাদের দৃষ্টেয় ধুতি ধেমন দুৰ্ব্বল, মদৃষ্টের কল্পনাও সেইরূপ অলীক হইয়া পড়ে। আধুনিক কবিদিগের পরলোক-চিত্রে এইজন্ত অনেক সময় বস্তুতন্ত্রভার লেশমাত্র शू छिब्र! श्रृंI७ब्रां श्वाञ्च न । श्रांभब्रl छोबिउ८क তেমন সমগ্র প্রাণ দিয়া অভ্যাকড়াইয়া ধরি না বলিয়াই, তাহীদের প্রজলিত-চিতালোকে দাড়াইয়া, গলা ছাড়িয়া গান করিতে পারি— ধাও রে অনন্তধীমে মোহমীয়া পাসরি. t ঃখ আধার যথা কিছুই নাহি । জয় নাছি, মরণ নাছি, শোক নাহি যে লোকে কেবলি আনন্দস্রোত চলিছে প্রবাহি । বাও রে অনন্তধামে, অমৃত-নিকেতনে, অমুরগণ লইবে তোমা উদার প্রাণে । ’