পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

واق\& sity of thoughto: Soltz প্রতিষ্ঠিত, না কেবলমাত্র লৌকিক ভায়ের বা formal logicএর একটা অসঙ্গত অনুমানের উপরেই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে — ইহাও তাকাইয়া দেখা অবিশু্যক । ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানবজ্ঞানের মূল প্রকৃতি হইতেই জানা যায় । যেমন দেশ ও কালকে, সেইরূপ কাৰ্য্যকারণসম্বন্ধকেও আশ্রয় করিয়াই আমাদের যাবতীয় জ্ঞানক্রিয়া সম্পাদিত হয়। বিশেষ দেশেতে, বিশেষ কালেতে, কোন ও কার্য্যবিশেষের কারণ বা কারণবিশেষের কার্য্যরূপেই আমরা যাবতীয় বিষয়ের বা বস্তুর জ্ঞানলাভ করিয়া থাকি । এই কাৰ্য্যকারণশ্বস্থলকে ধরিয়াই আমাদের বুদ্ধি পরিণামে অনাদি আদি কায়ণ রূপ ঈশ্বরতত্ত্বে ষাইয়া উপনীত হয়। লৌকিক দ্যায় বা formal logic or of;4&ozè eifss করে। এই কারণ- ব্রহ্মের ষে অবতার কর নী বা হইতে পারে না, জ্ঞানের মূলস্বত্র হইতে এমন কোনও সিদ্ধাস্তের প্রতিষ্ঠা হয় না। অপিচ কারণ মাত্রকেই যখন কাৰ্য্যরূপে পরিণত হইতে দেখা যায়, কারণের আত্মপরিণামকেই যখন আমরা সৰ্ব্বত্র কার্য্য বলিয়া দেথি ও জানি, তখন কারণ-ব্ৰহ্মই যে জগৎ ও জীবের মধ্যে জগৎ ও জীবরূপে পরিণত হইতেছেন ইহ মানিতেই হয় । লৌকিক দ্যায় বা formal logic এই পরিণামবাদেরই প্রতিষ্ঠা করে। এই পরিণামবাদ সত্য হউক, মিথ্য। হউক, জ্ঞানের মুলপ্রকৃতির সঙ্গে ইহার কোনও ঐকান্তিক বিরোধ নাই । আর এই পরিণামবাদের সঙ্গে অবতার-বাদের কোনও पञन्जछि महेि । रुछाप्नअिन [ ১৩শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ যেমন ঈশ্বরের অস্তিত্ব সেইরূপ র্তার স্বরূপও মানবজ্ঞানের মূল প্রকৃতি হইতেই জানা যায় । যাহা বীজে নাই তাহা বৃক্ষেতে ফোটে না। যাহা কারণেতে নাই, কার্য্যেতে তার প্রকাশ হয় না ও হইতেই পারে না । জগতে যখন জ্ঞানের পরিচয় পাইতেছি তখন জগৎ-কারণে অবশুই জ্ঞানক্রিয়া বিদ্যমান আছে । জীবের চেতনাই ঈশ্বরের নিতাচৈতন্তের সাক্ষী দেয় । মানবের জ্ঞানই ঈশ্বরের জ্ঞানস্বরূপের পরিচয় প্রদান করে । ঈশ্বর (ষ জ্ঞানস্বরূপ, অনাদ্যনন্ত, সৰ্ব্বগত ও সৰ্ব্বব্যাপী, আনন্দময়, শিবস্বরূপ,—এ সকলই মানবজ্ঞানের ও মানবপ্রকৃতির সাক্ষ্য হইতে প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষ নিজের প্রকৃতিকে জানিতে গিয়াই এই সকল ঈশ্বরস্বরূপেরও জ্ঞানলাভ করে । ঈশ্বর ষে অন্তৰ্য্যামী, সাক্ষীচৈতষ্ঠ, ইহা অামাদের জ্ঞানেরই সাক্ষ্য । এই অন্তৰ্য্যামী পুরুষ আমাদের ভিতরেই বাস করিতেছেন, তিনিই পরমচৈতষ্ঠরূপে দিব|নিশি আমাদের সঙ্গে বিরাজ করিয়া, আমাদের ইন্দ্রিয়-চেষ্টা ও রসসম্ভোগ সকলই সম্ভব করিতেছেন । অথচ দেহপুরে থাকিয়াও দেহের বিকারের দ্বারা তিনি কদাপি বিকৃত হন না। আমাদের ভুলভ্রান্তির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে মিশিয়া আছেন, অথচ এ সকল পাপ-তাপ-মোহ ও অজ্ঞান . তীtহাকে স্পর্শ করে না । আর আমাদের দেহপুরে পুয়স্বামী হইয়া আছেন বলিয়া যদি তার স্বরূপের কোনও হানি না হয়, তাহা হইলে অবতার অঙ্গীকার করিলেই যে সেই স্বরূপের হানি হইবে, জ্ঞানের মূলপ্রকৃতি হইতে এরূপ কোনও সিদ্ধাস্তের প্রতিষ্ঠা হয় না ।