পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃ& বিস্থিত ভিখারী বলিল “কত টাকার ডিক্রি ?” পেয়াদা বলিল "২৩৯ej৫” । ভিখারী বলিল “সে কি ? আমার যে মৌলভি বলিল মোকদম ডিসমিস হুইয়া গিয়াছে।” পেয়াদা বলিল “কোন মৌলভি ?” ভিখারী মৌলভি সাহেবের সবিস্তার বর্ণন দিল । শুনিয়। পেয়াদা হাসিয়া বলিল "আরে দূর বেকুৰ । দালাল কে পটিমে পড় গেয়ে ?” এতক্ষণে ভিখারী সমস্ত ব্যাপারটা বুঝিতে পারিল । বুঝিয়া, সজলনেত্রে বলিল, “এক্ষণে, উপায় ?” পেয়াদা বলিল “তুমি সত্বর আদালতে গিয়া "সানি তজবিঞ্জে’র দরখাস্ত দাও । पनि 'मानि उछछि' निउास्त्र भक्षुन न श्य, তাহা হইলে একমাসের মধ্যে আদালতে টাকা জমা করিয়া দিলে নিলাম ‘রদ হইবে।” বলা বাহুল্য, পিয়াদী সাহেবকে এই আইনের উপদেশ নিতান্ত বিনামূল্যে দিতে হইল না। এই উপদেশের পরিবর্তে ভিখারীর একটি বহুদিনের যত্ন-পালিত ‘নধর’ খাসি বিনামূল্যে পেয়াদ সাহেবের অমৃগমন করিল। পরদিনই ভিখারী হাতে পারে ধরিয়া হোরিল সহিকে সঙ্গে লইরা আদালতে গিয়া, মোকদমার পুনৰ্ব্বিচারের দরখাস্ত দাখিল করিল ; কিন্তু ফল কিছুই হইল না। পুনৰ্ব্বিচারের দরখাস্ত শুনানির দিন ভিখারী সৰিক্ষ্ময়ে শুনিল যে, সে স্বয়ং আদালতে উপস্থিত হইয়া মোকদমার "কবুল দাবি" ब्रिttछु ! দরখাস্তে তাঙ্কার "জাঙ্গুঠার ছাপ’ ওকালতনামাতেও তাই | উকীল ও আদালতের সম্মুখে স্পষ্টাক্ষরে স্বীকার করিলেন যে, বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৯ ७कांणउनषि गहेबांब्र *नमब्र ऊिनि माझtणग्न প্রকৃত পরিচয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিঃসন্দেহ হইয়াই ওকালতনাম গ্রহণ করিয়াছিলেন। শুনিয়, বেচার ভিখারী সম্পূর্ণ হতবুদ্ধি হইয়া কপালে করাঘাত করিতে করিতে গৃহে ফিরিয়া আসিল ७११ दक्ष् कtहै Glitमग्न भइोजन ड्रशनौ गश्त्र নিকটে বাড়ী বন্ধক রাখিয়া কোন প্রকায়ে মাসিক শতকরা ২ টাকা স্বদে ১ • টাকা ঋ৭ করিয়া ডিক্রির টাকা উৰুল করিল। (t এইরূপে তিনবৎসর কাটিয়া গেল । যথাসময়ে বেগার খাটিয়া, জমিদারের "আবওয়াব’ যোগাইয়l, তহসিলদার সাহেবের ওজনে আপত্তি না করিয়া, পেয়ানা ও পাটোয়ারিদের কোমর খোলাই’ ও ‘মাঙ্গন নিয়মিতভাবে দান করিয়া, মাসে মাসে মহাজনের সুদ মিটাইয়া, ছিন্নবস্ত্রে অৰ্দ্ধাশনে কোন প্রকারে ভিখারী সস্ত্রীক জীবনযাত্র নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিল। কিন্তু এ মুখও তাহার অদৃষ্টে অধিক দিন সহিল না। শ্রাবণ মাস। ধান্তের রোপা ফলিতেছিল । গ্রামের কৃষকপত্নীগণ কলকণ্ঠে ‘রোপাণি’র গীত গাহিতে গাছিতে জলমগ্ন ক্ষেত্রে ধান্ত রোপণ করিতেছিল। কৃষকের দূরে হলসাহায্যে অম্লান্ত “ক্ষেত্রকে” রোপার জন্ত প্রস্তুত করিতেছিল। 尊 অপরাহু হইয়া আসিয়াছিল। পশ্চিমের স্বল্প মেঘ হইতে প্রতিফলিত মধুর আলোক কৃযধারমণীদের স্বস্থ ও সবল দেহে নিপতিত হইয় তাহদের সরল সৌন্দর্ঘ্যকে উদ্ভাসিত করিতেছিল। এই সময়ে এক ক্ষুদ্র ঘোটকরোহী ৰাধু সাহেব মাঠের সংকীর্ণ পথে দেখা