৯ম সংখ্যা | বিদিত মৰ্ম্মের সঙ্গে, “যাহা বেদবিহিত তাহাই ধৰ্ম্ম”— মনুর এই উক্তির সঙ্গতিসাধন সম্ভব হয় না । অতএব স্রষ্টার অন্তরের যে আদর্শকে আশ্রয় করিয়া এই নিখিল ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি হইয়াছে, উৎপন্ন হইয়া এই নিখিল ব্রহ্মাণ্ড সাহাতে স্থিতি করিতেছে, এই নিখিল জগতের গতি যাহাকে লক্ষ্য করিয়া, যাহার মধ্যে আপনার চরম পরিণতি অন্বেষণ করিতেছে,–ণহারট নাম লেদ । অন্যদিকে যাগ হইতে এই নিখিল ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি হইয়াছে, উৎপন্ন হইয়া এই নিখিল ব্রহ্মাণ্ড যাতাতে স্থিতি করিতেছে, এই নিখিল জগতের গতি যাহাঁকে লক্ষ্য করিয়া, যাহার মধ্যে আপনার চরম পরিণতি প্ৰাপ্ত হয়, তাহীরই নাম ব্ৰহ্ম । “যতে বা ইমানি ভূতানি”—ইত্যাদি শ্রুতি, ব্রহ্মবস্তুরই এই এ ই লক্ষণ। নির্দেশ করিয়াছেন। “যাহা হইতে এই ভূত সকল জন্মিতেছে ; জন্মিয় যাহাতে এই ভূতসকল জীবিত রহিতেছে ; প্রলয়কালে যাহার প্রতি এই ভূতসকল গমন করে ও যাহাতে প্রবেশ করে”—তাহjকে বিশেষভাবে জানিতে ইচ্ছা কর । তাহাই ব্রহ্ম । অতএব বেদ আর ব্রহ্ম একই বস্তু। গী তাfদ শাস্ত্রও নানাস্থলে ব্রহ্ম শব্দের দ্বারা বেদকে নির্দেশ করিয়াছেন। যথা—“কৰ্ম্ম ব্রহ্মসমূদ্ভবং ” & এখন প্রশ্ন এই—বেদকে শাস্ত্রে ব্রহ্ম বলা হইল কেন ? যেমন লোকবিশস্থকে আমরা ইরিদাস বা নবীনচন্দ্র ইত্যাদি নামে ডাকি, এ সকল নামে কেবল তাহ বেদের কথা QやQ দিগকে নির্দেশ করে মাত্র, ইহাদের অন্য কোনও বিশেষ গুণবাচক অর্থ থাকে না ; সেইরূপই কি আমাদের প্রাচীন শাস্ত্ৰকৰ্ত্তী গণ এরূপ স্থলে বেদের নামান্তররূপেই কেপল এই ব্রহ্ম শব্দের ব্যবহার করিয়াছেন, ন। এই নামের কোনও নিগূঢ় মৰ্ম্ম, কোনও বিশেষ সার্থকতাও আছে ? বেদের যে কয়ট প্রতিশব্দ দেখিতে পাওয়া যায়। সকল গুলিরই একটা না একটা বিশেষ অর্থ আছে । বেদ নিজেও অর্থশূন্ত নাম মাএ নহে! বিদ ধাতুর অর্থ জানা । ধাত্বর্থের অনুসরণ করিলে, যাহাতে সকল জ্ঞানের প্রতিষ্ঠা তাঁহাকেই বেদ বলা যায় । বেদের ইহাই মৌলিক অর্থ। এই অর্থেই বেদের বেদ-নাম সার্থক হইয়াছে। বেদের আর এক নাম শ্রী ত । প্রাচীন কালে শিষ্যগণ গুরুমুখে শুনিয়াই বেদশিক্ষা করতেন, আজিকালিকার মত গ্রন্থ পড়িয়া বেদাধ্যয়ন করিতেন না, আর এই জন্যই বেদকে শ্রুতি বলা হইত। এখনও শ্রুতি সেই স্মৃতিকেই জগাইয়৷ রাখিয়াছে । বেদের আর এক3নাম আয়ায় । অ{য়ায় শব্দের ধাস্বর্থ-যাহা কথিত বা উপদিষ্ট হয়। আর বেদের এই আয়ায় নামের সার্থকতাও অতি সুস্পষ্টই রহিয়াছে। বেদের আর যে কয়টা নাম আছে, সকল গুলিরই একটা না একটা বিশেষ সার্থকতা দেখিতে পাই । আর বেদকে যে ব্রহ্ম বলে, ইহারই কি কেবল কোনও সার্থকতা নাই ? এরূপ কল্পনা করাও অসম্ভব। বেদের আর এক নাম শব্দ । আর এই
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৭০
অবয়ব