বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&送〉の র্তার কোমলচিত্ত তারও অনেক পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। একদিকে যেমন পালিত মহাশয়কে নিরতিশয় কঠোরপ্রকৃতির বলিয়া মনে হয়, অন্যদিকে সময়ে সময়ে তার সেইরূপ অসাধারণ কোমলতারও প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। আপনার বন্ধুবান্ধবদিগের সম্বন্ধেই । যে তিনি নিরতিশয় কোমলচিত্ততার প্রমাণ দিয়াছেন, তাহা নহে ; কখনও কখনও " নিতান্ত নিঃসম্পর্কিত লোকদিগের প্রতি গভীর ও উচ্ছসিত সহানুভূতিতে তার বক্ষে দরবিগলি ও ধারা প্রবাহিত হইতে দেখা গিয়াছে। জাতীয় শিক্ষা-পরিষদের প্রতিষ্ঠার দিনে আমরা স্বচক্ষে ইহার প্রমাণ পাইয়াছিলাম। সেদিন একটী যুবকের করুণ প্রার্থনা শুনিয়া পালিত মহাশয় কাদিয়া ফেলিয়াছিলেন, অথচ আমাদের মধ্যে আর কাহারও চক্ষেই সে জষ্ঠ কিছু পরিমাণও অঞ্জপাত হয় নাই। পালিত মহাশয়ের আপাতঃ কঠোরত ও রুগ্ম স্বতাবের সঙ্গে এই ভাবোচ্ছাসের যতটা অসঙ্গতি আছে বলিয়া মনে হইতে পারে, ফলতঃ ত তট৷ अगत्रखि ७ छू'७द्र भ८५ ७¢क६Itबई गई । দুই ই ভাবুকতার লক্ষণ। যারা অতি সহজে ক্রুদ্ধ হইয়। উঠেন, তারা যে বস্তুতঃই অতিশয় নিৰ্ম্মল প্রকৃতির লোক, তাহ নহে। প্রকৃত নিৰ্ম্মম লোকের লোকের সর্বনাশ করিতে পারে, কিন্তু হঠাৎ কাহারে উপরে চটিয়া নার না। যাদের প্রাণ নিরতিশয় কেমি গুৱাই একদিকে সহজে ক্রোধের বশবৰ্ত্তী হন, আর অন্যদিকে মে মমতার আবেগেও श्रांज्रशंद्र। इइंग्न। पनि ! * বস্তুটা অনেক লোকতিব্ৰত মহাপুরুষের মধ্যেও দেখা নিয়ছে। পুণ্যশ্লোক বিদ্যাসাগর মহাশয়ের pরিত্রে ইহ দেখিয়াছি। বিদ্যাসাগর যেমন সহজে চটিয়া যাইতেন, , সেইরূপ অতি সহজেই আবার গলিয়াও যাইতেন। ফলতঃ কোনও কোনও বিষয়ে পালিত মহাশয় বিদ্যাসাগর চরিত্রকে স্মরণ করাইয়৷ থাকেন । বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, ফাল্গুন,১৩১৯ অবষ্ঠ দুজনার এক নিfক্ততে তেল কর চলে না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দেবত্ব পালিত মহাশয়ের মধ্যে সব দেখা যায় নাই ; কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মামুধী ভাবগুলি । অনেক সময় পালিত মহাশয়ের মধ্যেও দেখা কিয়ছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় অতিশয় স্বাধীনচেত মহাপুরুষ ছিলেন ; পালিত মহাশয়ের স্বাধীনচিত্ত তাও লোকপ্রসিদ্ধ। fবদ। সাগর মহাশয় কাহারও মুখ চাহিয়া কখনও কথা কহিতে পারিতেন না ; পাণিত মহাশয়ও তাহ পারেন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোমল৷চত্ততাও কিয়ং পরিমাণে পালিত মহাশয়ের মধ্যে পাওয়া যায় । তবে ব্রাহ্মণ্যপ্রকৃতিসুলভ যে নিতান্ত নিলোভ ভাব বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এতটা বড় করিয়াছিল, ক্ষাত্র প্রকৃতি ইংরেজের রজতপ্রধান সভ্যতার আদর্শে অভিভূত, ব্যবহারজীবী পালিত মহাশয়ের মধ্যে সে নিলোভ ও সে ত্যাগের প্রমাণ কেহ কখনও অন্বেষণ কমিতে যায়ও নাই, কেহ কখনও পায়ও নাই, আর" শেষ জীবনে পালিত মহাশয় যে ত্যাগের দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহাও বিদ্যাসাগরের জতিনব্যাপী ত্যাগের সম জাতীয় বস্তু নহে। এ ত্যাগেও বিলাতী গন্ধ আঠে, বিদ্যাসাগরের ত্যাগে সাত্ত্বিক তা প্রধান ব্রাহ্মণ্য-অভিাও দেখা যাইত । কিন্তু এই পার্থক্য, সত্বেও, বাংলার আধুনিক শিক্ষার ইতিহাসে উভয়েই অক্ষয় “কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়াছেন। আর পালিত মহাশয় জীবনের সন্ধ্যাকালে এইরূপ ভাবে আপনার যথাসৰ্ব্বস্ব স্বদেশী যুবকগণের শিক্ষার সুব্যবস্থা করিবার জন্য দান করিয়া, প্রথমজীবনে সঞ্চি ন্ত সমুদায় কুযশকে একান্ত ভাবে ক্ষালন করিয়া, বাংলার আধুনিক সমাঞ্জের ইতিহাসে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের একাসনে নহে, কিন্তু একই মন্দির, অক্ষয়কীৰ্ত্তি অর্জন করিয়াছেন। ঐবিপিনচন্দ্র পাল ।