পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনও মতেই আমাদের জ্ঞানের মুল ও জ্ঞানের প্রতিষ্ঠ হইতে পারে না। ভিতরের ও বাহিরের, ভাণ্ডের ও ব্ৰহ্মাণ্ডের, বিষী ও বিষয়ের, এই দুই’এর মধ্যে যে অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ রহিয়াছে, তাহার উপরেই জড়বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, , মনোবিজ্ঞান, তত্ত্ববিদ্যা প্রভৃতি যাবতীয় জ্ঞানই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। জড়গদা কখনও কখনও মনে করেন ঘটে যে, তার পিজ্ঞানটী কেবল ব্ৰহ্মাণ্ড লইয়া, ভাণ্ডের সঙ্গে তার বড় একটা সম্বন্ধ নাই, কিন্তু ইহা তার কল্পনামাত্র । কারণ ষে সকল কাৰ্য্যকারণাদি সম্বন্ধের উপরে যাবতীয় জড়বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠ হইয়া থাকে, সে সকল সম্বন্ধ জড়ের মধ্যে প্রকৃত পক্ষে নাই, আমাদের মনেতেই আছে। কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধট। দুইটী বস্তুর উপরে প্রতিষ্ঠিত । একটা ঘটনা পূৰ্ব্বে, ঘটলে, আর তার অব্যবহিত পরে আর একটী ঘটনা এই পূৰ্ব্ববত্তী ঘটনার ক্রিয় ফগরূপে যদি প্রকাশিত হয়, তবেই ইহার একটকে কারণ ও অপরটাকে আমরা কাৰ্য্য বুলি । সুতরাং এই যে কায্যকারণ সম্বন্ধ ইহার মধ্যে একটা পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য যোগ রহিয়াছে। অর্থাং কালকে আশ্রয় করিয়৷ এই সম্বন্ধের প্রতিষ্ঠা হয় । কাল বলিতে আমরা ঘটনাপারস্পৰ্য্য বুঝয়। থাকি । এই ঘটনা-প্রবাহ যতক্ষণ ন৷ থাকে, ততক্ষণ কালের জ্ঞান আমাদের হয় না । গভীর স্বপ্নহীন নিদ্রাবস্থায়, এই জন্ত, আমাদের কালের জ্ঞান একেবারেই লুপ্ত হইয়া যায়। অন্য পথে যখন অনেক ঘন৷ একটার পর আর একটা দ্রুতবেগে ঘটিতে থাকে, আর এ সকল ঘটনাপরম্পর। বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, ফাঙ্কন, ১৩১৯ আমাদের মনের উপরে গভীর দাগ রাখিয়া চলিয়া যায়, তখন অতি সামান্ত কালকেও আমাদের অfংশয় দীর্ঘ বfলয়। বোধ হয় । অন্যদিকে, গভীর ধানে, যখন মন একাগ্রভাবে কোনও একট। বিষয়েতে নিবন্ধ থাকে, তখন অতি দীর্ঘকালও অতি সামান্ত কাল বলিয়া বোধ হয়। অতএব ঘটনা-প্রবাহ অtমাদের মনের উপরে যে সকল দাগ রাখিয়া চলি য়া যায়, তাহারই উপরে কালের প্রতিষ্ঠা হয়। কাল আমাদের মনের ধৰ্ম্ম ; জড়ের ধৰ্ম্ম নহে । যে কালের উপরে জড়ের কাৰ্য্যকারণসম্বন্ধের প্রতিষ্ঠা হয়, তাহার ও অস্তিত্ব জড়ে নহে, মনে ; ব্ৰহ্মাণ্ডে নহে, ভাণ্ডে । জড় কারণও বুঝে না, কাৰ্য্যও জানে না। আমরাই তার কাছে দাড়াইয়া তার ক্রিয়ার পরম্পর্য লক্ষ্য করিয়া, আমদের মনের ভিতরকার ছাচে ঐ বাহিরের ক্রিয়াগুলাকে ফেলিয়া ও ঢাগাই করিয়া, তবে, জড়বিজ্ঞানের বিবিধ বিধানসকলের ফলতঃ জড় ও মন ইগরা যদি একাত্ত ভাবে পরস্পর হইতে স্বতন্ত্র হইয়া থাকিত, তাহা হইলে জড়বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠা একেলারেই অসম্ভব হইত। জড়বিজ্ঞান জড়বস্তু নহে, মানসিক সিদ্ধান্ত মাত্র। জড়ের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করিয়া, তাহদের মধ্যে পূৰ্ব্ব ও পর, কারণ ও কাৰ্য্য, সম ও বিষম ইত্যাদি সম্বন্ধের প্রতিষ্ঠা করিয়া, মন নিজধৰ্ম্মাম্বুমায়ী জড়বিজ্ঞানের স্বষ্টি ,করতেছে। আর ঠিক আমাদের মনের ধৰ্ম্মাতুযায়ী यमि छtछूझ दिकt* ७ दि९®न मा ३ईठ, তাহা হইলে, আমরা কোনও মতেই