পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা লারবাদ গ্রন্থে "কো জ্ঞান সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্ৰেয়ঃ ?” এই প্রশ্নের মীমাংসায় অতি সুন্দর ভাবে বুঝাইয়ু দিয়াছেন যে “আত্মরক্ষাই জীবধৰ্ম্মবিশিষ্ট মানবের সর্বশ্রেষ্ঠ কৰ্ত্তব্য। এবং যে জ্ঞানের দ্বারা এই আত্মরক্ষা সহজসাধ হয়, তাহাই সৰ্ব্বাপেক্ষ আদরণীয়। এই জ্ঞান লাভ করিবার পক্ষে উপযোগিনী যে শিক্ষণ, সেই শিক্ষাই গরীয়সী। বলা বাহুল্য যে আত্মরক্ষা আত্মপ্রতিষ্ঠার সুস্পষ্টতম উদাহরণ । জীবরাজ্যের প্রথম স্তর হইতে শ্যে স্তর পর্য্যন্ত সৰ্ব্বত্রই এই আত্মরক্ষা-নীতির সাৰ্ব্বভৌম প্রভাব । এই আত্মরক্ষারূপ আত্মপ্রতিষ্ঠা তোমাকে স্বার্থীন্ধ জীবমাত্রে পরিণত করিতে পারে, আবার এই আত্মপ্রতিষ্ঠ দেশ ও কালের সীমা অতিক্রম করিয়া তোমাকে অমরত্বের তীরে লইয়৷ যাইতে পারে। জীবজগতের ধারাবাহিক • ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিয়া স্পেন্সার জীবনসংগ্রামের তীব্রত উপলব্ধি করিতে পারিয়াছিলেন, সুতরাং তিনি জীবনের পরিপূর্ণঃ (complete living)cofie gift-TE 538 আদর্শ বলিয়া ধরিয়া লইলেন। সামাজিক আত্মরক্ষা, রাষ্ট্রনৈতিক আত্মরক্ষ, অর্থনৈতিক আত্মরক্ষা—নানা ভাবে পারিপাশ্বিক সৰ্ব্ববিধ অবস্থার মধ্য দিয়া আমরা আত্মাকে পূর্ণতর অবস্থায় লইয়। যাইতে চাহি। এই জন্যই আত্মরক্ষা বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ নীতি। এবং এই জন্যই তংসাধনরূপ জ্ঞানের লম্বীগনই মূানবের লক্ষ্য হইয়াছে। দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য যাহা পারে.মাই, বিজ্ঞান তাহা করিতেছে। বিজ্ঞানের প্রভাবে জীবনীশক্তি বাড়িতেছে, বিজ্ঞানের প্রভাবে শিক্ষা ও আত্মপ্রতিষ্ঠা Ե X সুখের সীমা প্রসারিত হইতেছে, বিজ্ঞানের নূতন নূতন আবিষ্কারে শক্রকে পরাভূত করা সহজ হইয়া উঠিতেছে। কাজেই, আত্মরক্ষা যেখানে মূলমন্ত্র, বিজ্ঞানই সেখানে প্রধান পুরোহিত। বিজ্ঞান আত্মপ্রতিষ্ঠার সহায়, সুতরাং বিজ্ঞান আদরণীয়। আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রাণপোষণের গৌরব এদেশেও যথেষ্ট পরিমাণে স্বীকৃত হইয়াছিল, বলিয়া বোধ হয়। শ্রুতি दलिप्लांtछ्न কমিন্নহমুংক্রান্তে উৎক্রাস্তে ভবিষ্যামি, , কস্মিন বা প্রতিষ্ঠিতে প্রতিষ্ঠাস্তামীতি স প্রাণ মস্থজত । ছান্দোগ্যে ব্যবস্থা আছে । প্রাণে পিতা প্রাণে মাতা প্ৰাণে৷ ভ্রাতা প্রাণঃ স্বসা প্রাণ আচার্য্যঃ প্রাণে। ব্রাহ্মণঃ । কৌষীতকি ব্রাহ্মণোপনিষদে প্রাণ প্রজ্ঞাত্মা বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। এতক্তির “ মাত্মানং সততং রক্ষেৎ" "শরীরমাদ্যং খলু ধৰ্ম্মসাধনং’ ইত্যাদি বহু পদের দ্বারা আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সমর্থিত হইয়াছে। তবে বর্তমান কালে জীবন-সংগ্রাম যেমন ভীষণ হইয়া উঠিয়াছে, পূৰ্ব্বে সেরূপ ছিল না বলিয়া মনে হয়। সেই জন্য আত্মরক্ষা এ দেশের কল্পনার উপর ততটা ভাব বিস্তার করিতে পারে নাই। আত্মরক্ষাতত্বের মধ্যে শিক্ষাপ্রণালীর যে আত্মপ্রতিষ্ঠা-সাধনত দেখিতে পাইতেছি, পাশ্চাত্য জগতে শতদিকে শতভাবে তাহা মূৰ্ত্তি লাভ করিয়াছে। অবশ্য তাহার ফল প্রাণের প্রতীকোপাসনার