পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ সংখ্যা । ] টানিয়া লইয়া একটানা রাস্তায় ধূল উড়াইয়া চলিয়াছি। বাহক তখনো ৰে লড়ি লইয়া পাজরে ঠেলিতেছিল, এখনো সেই লড়ি ! হাতের কাছে পঞ্জিকা নাই—অম্বুমানে বোধ হইতেছে"আজ ফাৰুনের প্রায় ১.ই কি ১৬ই হইবে-বসস্তলক্ষ্মী আজ ষোড়শী কিশোরী। কিন্তু তবু আজও হণ্ডায় হণ্ডায় षवरब्रब्र कtभंछ वांश्ब्रि रुहेरठ८छ्-*क्लिब्र দেখি, আমাদের কর্তৃপক্ষ আমাদের ছিতের জন্ত আইন তৈরি করিতে সমানই ব্যস্ত এবং অপর পক্ষ তাহারই. তল্পতল্প বিচারে প্রবৃত্ত। বিশ্বজগতে এইগুলাই যে সৰ্ব্বোচ্চ ব্যাপার নয়—বড়লাট-ছোটলাট, সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদকের উৎকট ব্যস্ততাকে কিছুমাত্র গণ্য না করিয়া দক্ষিণসমুদ্রের তরঙ্গোৎসবসত হইতে প্রতিবৎসরের সেই চিরন্তন বার্তাবহ নবজীবনের আনন্দুসমাচার লইয়া ধরাতলে অক্ষয় প্রাণের আশ্বাস নুতন করিয়া প্রচার করিতে বাহির হয়, এটা মামুষের পক্ষে কম কথা নয়, কিন্তু এ সব কথা ভাবিবার জন্য আমাদের ছুটি নাই। সেকালে আমাদের মেঘ ডাকিলে অনধ্যায় ছিল,—বর্ষার সময় প্রবাসীরা বাড়ী ফিরিয়া আসিতেন। বাদুলার দিনে যে পড়া যায় না, বা বর্ষার সময় বিদেশে কাজ করা অসম্ভব, এ কথা বলিতে পারি না— মান্থব স্বাধীন স্বতন্ত্র, মানুষ জড়প্রকৃতির অ’াচলধরা নয়। কিন্তু জোর অাছে বলিয়াই বিপুল প্রকৃতির সঙ্গে ক্রমাগত বিদ্রোহ করিয়াই চলিতে হইবে, এমন কি কথা षt८छ् । theoङ्ग সহিত মানুষ নিজের কুটুদ্বিত স্বীকার করিলে, আকাশে নবনীদাঙ্গন বসন্তুষাপন । ്ജ്. & মেঘোদয়ের খাতিরে পড়া ৰন্ধ ও কাজ বন্ধ করিলে, দক্ষিণে হাওয়ার প্রতি একটুখানি শ্রদ্ধা রক্ষা করিয়া আইনের সমালোচনা বন্ধ রাখিলে মানুষ জগৎচরাচরের মধ্যে একটা বেম্বয়ের মত ৰাজিতে থাকে না । পাজিতে তিথিবিশেষে বেগুন, শিম, কুষ্মাও निसिक श्रांtछ्-श्रांरब्र कङक४णि निप्रुष থাকা দরকার,—কোন ঋতুতে খবরের কাগজ পড়া অবৈধ, কোন ঋতুতে আপিস কামাই না করা মহাপাতক, অরসিকের নিজ বুদ্ধির উপর তাহা নির্ণয় করিবার তার না দিয়া শাস্ত্রকারদের তাহ একেবারে - বাধিয়া দেওয়া উচিত ছিল । বসন্তের দিনে যে বিরহিণীর প্রাণ হাহ করে, এ কথা আমরা প্রাচীন কাব্যেই পড়িয়াছি—এখন এ কথা লিখিতে আমাদের সঙ্কোচ বোধ হয়, পাছে লোকে হাসে । প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মনের সম্পর্ক আমরা এমনি করিয়াই ছেদন করিয়াছি। বসন্তে সমস্ত বনে-উপবনে ফুল ফুটিৰার সময় উপস্থিত হয়—তখন তাহাদের প্রাণের অজস্রতা ; বিকাশেয় উৎসব । তখন আত্মদানের উচ্ছাসে তরুলতা পাগল হইয়া উঠে—তখন তাহদের হিসাবের বোধমাত্র থাকে না, যেখানে দুটা ফল ধরিবে, সেখানে পচিশটা মুকুল ধরাইয়া বসে। মানুষই কি কেবল এই অজস্রতার স্রোত রোধ করিবে ? লে আপনাকে ফুটাইবে না, জুলাইবুে-ন, দান করিতে চাহিবে না, কেবলি কি ঘর নিকা- . ইবে, বাসন মাফুিৰে—ও বাছাদের সে বালাই নাই, তাহার বেলা চারটে পর্য্যম্ভ পশমের গলাবন্ধ বুনিবে ? আমরা কি এতই