পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা। ] চোখের বালি । লইয়া যাইতে । আমি তোমার মুখের’ সাম্নে স্পষ্ট করিয়া বলিতেছি, তুমি আশাকে ভাল বাসিয়াছ !” অত্যন্ত বেদনার স্থানে দুই প দিয়৷ মাড়াইয় দিলে, আহত ব্যক্তি মুহূৰ্ত্তকাল fধ6ার না করিয়া আtঘাতকাল্পীকে ধেমন সবলে ধাক্কা দিয়া ফেলিতে চেষ্টা করে--- র স্ব কণ্ঠ বিহার তেমনি পা শুমুখে তাঙ্গর টোকি হঠাত উঠিয় মহেন্দ্রে র দিকে ধাবিত হহ’লে -ইটা ২ থামিয় বড় কঃে স্বর বাহির করিয়; কহল “ঈশ্বর তোমাকে ক্ষম; করুন, আtiম বি#iয় হয় !".-ব fলয়া টলিন্তে টলিতে । مم- همی و هر - می حتی *図もをなす リ হইয় গেল । পাশের ঘর হইতে বিনোদিনী ছুটয়া আসিয়া ডাকিল “বিহারি-ঠাকুরপে। " বিহারী দেয়ালে ভর করিয়া একটুখানি স্থ{{সবার চে& কfরশ্ন কহিল--"কি বিনোদখোঠf"ণ !” - বিনোদিনী কহিল - “ঠাকুরপো, চোখের পালির সঙ্গে আ{{ম ও কাশীতে যাইব ।” বিহায়া কহিল-ন, ন, বেঠিাণ, সে হইবে না, সে কিছুতেই হইবে ন : তোমাকে মিনতি কfরতেছি - অামার কথায় কিছুহ করিয়ে না ! আমি এথানকার কেহ ন, আমি এখানকার কিছুতেই হস্তক্ষেপ করতে চাহি না, তাহাতে ভাল হইবে না ! তুমি দেবী, তুমি যাহা ভাল বোধ কর, তাহাই করিয়ো ! আমি চলিলাম !” বলিয়া বিহারী বিনোগিনীকে বিনম্র নমস্কার কম্বিয়া চলিল। বিনোদিনী কহিল— "अनिं cनशैौ महे ?ाडूबtन, उनिब्र যাও !-তুমি চলিয়া গেঙ্গে কাহায়ে ভাল হইবে না ! ইহার পরে জামাকে দোষ।

  • f.

দিয়ে না ।” বিহারী চলিয়া গেল। মহেন্দ্র স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া ছিল। বিনোদিনী তাহার প্রতি জলপ্ত বজ্রের মত একটা কঠোর কটাক্ষ বিক্ষেপ করিয়া পাশের ঘরে চলিয়া গেল । সে ঘরে আশি একান্ত লজ্জার সঙ্কোচে মরিয়! যাইতেছিল । বিহারী তাঁহাকে ভfলবাসে, এ কথা মৃঙ্কেন্দ্রের মুখে শুনিয়া সে আর মুখ তুলিতে পারিতেছিল না। কিন্তু তাহার উপর বিনোদিনীর আর দয়া হষ্টল না । আশ! যদি তখন চোখ তুলিয়া চাহিত, তাহা হইলে সে ভয় পাইত । সমস্ত সংসারের উপর বিনোদিনীর যেন খুন চাপিয়া গেছে ! মিথ্যা কথা বটে ! বিমোদিনীকে কেহই ভালবাসে না বটে ! সকলেই ভালবাসে এই লজ্জাবতী ননীস্থ । পুতুলটিকে ! - মহেন্দ্র সেই যে আবেগের মুখে বিহারীকে বলিয়াছিল “আমি পাষগু”-—তাহার পর আবেগশাস্তির পর হইতে সেই হঠাৎ আত্মপ্রকাশের জন্য সে বিহারীর কাছে কুষ্ঠিত হইয়া ছিল । সে মনে করিতেছিল, তাহার সব কথাই যেন ব্যক্ত হইয়া গেছে । সে বিনোদিনীকে ভালবাসে না, অর্থচ বিহারী জানিয়াছে যে, সে ভালবাসে, ইহাতে বিহারীর উপরে তাহার বড় একটা বিরক্তি জন্মিতেছিল । বিশেষত তাহার পর হইত্ত্বে । যতবার বিহারী তাহার সম্মুখে আসিতেছিল, তাহার মনে হইতেছিল, যেন বিহারী সকৌতুহলে তাহার একটা ভিতরকার কথা খুজিয়া বেড়াইতেছে। সেই সমস্ত বিরক্তি $