পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3等 প্রাসাদ-সৌধাবলী অৰ্দ্ধচন্দ্রাকারে সজ্জিত। পুষ্পপল্লবের মধ্য হইতে কতকগুলা পাথরের হাতী ইতস্তত দেখা যাইতেছে। এই ঢালু ভূমির উপর দিয়া বলিষ্ঠ অশ্বযুগল বেগভরে অবলীলাক্রমে উঠিতেছে, আমি বেশ অনুভব করিতেছি শীঘ্রই, আমাদের দৃষ্টিক্ষেত্র প্রসাश्ऊि श्हेल । औखझे, cनई श्रद्रमा बनडूमि, cनई নীল সরোবর, সেই-সব ছোট-ছোট দ্বীপ, সেইসব দ্বীপস্থ প্রাসাদ আমার নেত্ৰসমক্ষে প্রসারিত হইল। আমরা যেমন উপরে উঠতেছি —চতুর্দিকের পর্বতপ্রাচীরটিও আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই যেন উঠিতেছে, এইরূপ মনে হইতে লাগিল। উদয়পুরের সব জিনিষেরই পশ্চাতে, এই পৰ্ব্বত-অরণ্যের রহস্যময় চিত্রপটটি চিরবিদ্যমান। এই মহারাজা মেওয়ারদেশের অধিপতি। ইহারই সহিত আজ আমি সাক্ষাৎ করিতে যাইতেছি । রাজস্থানে যত রাজবংশ আছে, তন্মধ্যে ইহারই বংশ সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং মানসন্ত্রমেও ইনি সৰ্ব্বাপেক্ষ উচ্চ। ইনি স্বৰ্য্যবংশীয়। বহু-বহু শতাব্দী পূৰ্ব্বে—যখন যুরোপের প্রাচীনতম রাজবংশাবলীর অস্তিত্বমাত্র ছিল না—তখন ইহার পূর্বপুরুষগণ দিগ বিজয়ার্থ, অথবা বন্দীকৃত রাণীদের উদ্ধারার্থ বিপুল সৈন্ত সংগ্ৰহ করিতেছিলেন । বিষ্ণুর অবতার মহাবীর রাম স্বৰ্য্যবংশীয় রাজাদের আদিপুরুষ—এইরূপ রামায়ণে বর্ণিত হইয়াছে। ইহার দুই পুত্র। জ্যেষ্ঠ লাহোরনগর প্রতিষ্ঠা করেন; কনিষ্ঠের কোন উত্তরপুরুষ একাদশ শতাব্দীতে রাজপুতদিগের উপর আধিপত্য বিস্তার করেন। যাহাই शछन्नध्ॉर्म । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, আষাঢ় । হউক, ৫২৪ খৃষ্টাব্দে, যখন উত্তরদেশীয় বৰ্ব্বরগণ দেশ আক্রমণ করিয়া লুঠপট করে, তখন এই বংশের সমস্ত রাজাই নিহত হন ; কেবল একজন রাণী—যিনি তীর্থযাত্রায় "বহির্গত হইয়াছিলেন--তিনিই রক্ষা পান । , তিনি গর্ভবতী হইয়া একটা গুহার মধ্যে লুকাইয়া ছিলেন। তিনি সেই গুহার মধ্যেই একটি পুত্র প্রসব করিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হন। পুরোহিতেরা এই শিশুটিকে কুড়াইয়া আনে। কিন্তু ইহাকে আগলাইয়া রাখা কঠিন হইল ; উষ্ণ রাজশোণিতের প্রভাবে, শিশুটি পৰ্ব্বতবাসী ভৗলদিগের বর্বর ব্যায়ামক্রিয়ামোদে লিপ্ত হইল। ভীলেরা উহাকেই সর্দাররূপে বরণ করিল। পরে এই সকল ভীলবীরদিগের মধ্যে একজন,—রাজচিহ্লস্বরূপ, নিজের আঙল কাটিয়া সেই রক্তে তাহারললাট চিহ্ণিত করিল। অবশেষে, ৭২৩ খৃষ্টাব্দে, এই গুহাকুমারের বংশধরেরাই এখানকার অধিপতিরূপে প্রতিষ্ঠিত হন। সেই * অবধি এই বাজবংশ অবিচ্ছেদে চলিয়া আসিতেছে । ১৩শত বৎসর পরে এখনো সেই অভিষেক প্রথাটি অক্ষুণ্ণ রহি —প্রত্যেক নুতন রাজার অভিষেকসময়ে,-সেই আদিমঘটনার স্মরণার্থে,— এখনো নবকৃপতির ললাটদেশ ভালহন্তে রক্তের দ্বারা চিহ্ণিত করা হয়। ল্যাণ্ডেী-গাড়ি একটা অন্তঃপ্রাঙ্গণে আসিয়া থামিল। এই প্রাঙ্গণটি তাল ও ঝাউগাছে সুশোভিত। শুভ্রপরিচ্ছদধারী, রাজবাটীর একজন কৰ্ম্মচারী এইখানে আমাকে অভ্যর্থনা করিলেন । g : ভারতের অন্যান্ত রাজাদিগের দ্যায় এই ' * * রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা-আক্রমণ।