পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*षहम नरशां ।] ‘चनि१ ॥ శిషి" বিকল হইয়া গেছে —জীবনের স্বাদ চলিয়৷ গেছে, নব নব উত্তেজনা স্থষ্টি করিয়া নিজেকে জুলাইবার চেষ্টা চলিতেছে। এই অমুখ, এই বিকলতা যে কিসের জন্ত, কিছুই বুঝিবার জো নাই। এই অবসাদ মেয়ে-পুরুষ উভয়কেই পাইয়া বসিয়াছে। . স্বভাব হইতে ক্রমশই অনেক দূরে চলিয়া ষাওয়া ইহার কারণ। কৃত্রিম সুবিধা উত্তরোস্তুর আকাশপ্রমাণ হইয়। জগতের জীবকে জগৎছাড়া করিয়া দিয়াছে। পুথির মধ্যে মন, আস্বাবের মধ্যে শীর প্রচ্ছন্ন হইয়া আত্মার সমস্ত দরজাজানলাগুলাকে অবরুদ্ধ করিয়াছে। যাহা সহজ, যাহা নিত্য, যাহা মূল্যহীন বলিয়াই সৰ্ব্বাপেক্ষা মূল্যবান, তাহার সঙ্গে আনাগোনা বন্ধ হওয়াতে তাঁহা গ্রহণ করিবার ক্ষমতা চলিয়া গেছে। যে সকল জিনিষ উত্তেজনার নব নব তাড়নায় উদ্ভাবিত হইয়া দুইচারিদিন ফ্যাশানের আবর্তে আবিল হইয় উঠে এবং তাহার পরেই অনাদরে আবর্জনার মধ্যে জমা হইয়া সমাজের বাতাসকে দূষিত করে, তাহাই কেবল পুনঃপুন লক্ষ লক্ষ গুণী ও মজুরের চেষ্টাকে সমস্ত সমাজ জুড়িয়া ঘানীর বলদের মত ঘুরাইয়া মারিতেছে। এক বই হইতে আর এক বই উৎপন্ন হইতেছে; এক কাব্যগ্রন্থ,হইতে আর এক কাব্যগ্রন্থের জন্ম ; একজনের মত মুখে-মুখে সহস্ৰলোকের মত হইয়া দাড়াইতেছে ; অনুকরণ হইতে অটুকরণের প্রবাহ চলিয়াছে ; এমনি করিয়া পুঁথি ও কথার অরণ্য মানুষের চারদিকে নিবিড় হইয় উঠতেছে, প্রাকৃতিক জগতের সঙ্গে ইহার সম্বন্ধ ক্রমশই দূরে চলিয়া ৰাইতেছে। মানুষের অনেকগুলি মনের ভাব উৎপন্ন হইতেছে, বাহা কেবল পুথির । স্বষ্টি। এই সকল বাস্তবতাবর্জিত ভাৰগুল ভূতের মত মানুষকে পাইয়া বসে ; তাহার মনের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ; তাহাকে অত্যুক্তি এবং আতিশয্যের দিকে লইয়া যায় ; সকলে মিলিয়া ক্রমাগতই একই ধুয়া ধরিয়া কৃত্রিম উৎসাহের দ্বারা সত্যের পরিমাণ নষ্ট করিয়া বলিতে পারি, প্যাটয়টিজম্নামক পদার্থ। ইহার মধ্যে যেটুকু সত্য ছিল, প্রতিদিন সকলে পড়িয়া সেটাকে তুলা খুনিয়া একটা প্রকাও মিথ্যা করিয়া তুলিয়াছে ; এখন এই তৈরি বুলিটাকে প্রাণপণ চেষ্টার সত্য করিয়া তুলিবার জন্ত কত কৃত্রিম উপায়, কত অলীক উদ্দীপন, কত অন্তায় শিক্ষ, কত গড়িয়া-তোলা বিদ্বেষ, কত কুট যুক্তি, কত ধৰ্ম্মের ভাণ স্বল্প হইতেছে, তাহার সীমাসংখ্যা নাই। এই সকল স্বভাবভ্রষ্ট কুহেলিকার মধ্যে মানুষ বিভ্রান্ত হয়—সরল ও উদার, প্রশান্ত ও সুন্দর হইতে সে কেবল দুরে’ চলিয়া যাইতে থাকে। কিন্তু বুলির মোহ ভাঙানো বড় শক্ত । বস্তুকে আক্রমণ করিয়া ভূমিসাৎ করা যায়, বুলির গায়ে ছুরি বসে না। এইজন্ত বুলি লইয়া মানুষে মানুষে যত ঝগড়া, যত রক্তপাত হইয়াছে, এমন ত বিষয় লইয় হয় নাই। 機 সমাজের সরল অবস্থায় দেখিতে পাই, লোকে যেটুকু জানে, তাহ মানে। সেটুকুর প্রতি তাঁহাদের নিষ্ঠ অটল—তাহাঙ্গ জন্ত ত্যাগস্বীকার, কষ্টস্বীকার তাহদের পক্ষে সহজ। ইহার কতকগুলি কারণ আছে, কিন্তু একটি elक्षन कझ१, खांशेन इङ्गिमम ऋउब्र शत्र