পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sgbo बछmश्रfत्र । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, পৌষ। মন্দিরচুড়ার অগ্রবিন্দুতে শেষ গোলাপী জাভাটুকু এখনো রহিয়াছে ; ইহাই পুজার সময় ; মন্দির জনকোলাহলে ও বাষ্ঠনিনাদে পূর্ণ হইল। উভয়ই মিশ্রভাবে আমার কানে আসিয়া পৌছিল। ঐ গুপ্তস্থানের অভ্যন্তরপ্রদেশে না জানি কি কাণ্ড হইতেছে । না জানি কোন প্রতিমা (অবশুষ্ট খুব ভীষণ । এক্ষণে সান্ধ্যপূজ গ্রহণ করিতেছে । মন্দিরেরই মত লোকদিগের যে আত্মা আমার নিকট কুরধিগম্য, সেই আত্মা হইতে না জানি কিরূপ আকারে প্রার্থনা উত্থিত হইতেছে।. সে যাই হোকৃ,—একটা বানর, ভ্রমণে পরায়ুখ হইয়া, নিয়ে লেজ বুলাষ্টয়া, বহিলোকের দিকে পিঠ ফিরাইয়া, মন্দির প্রকারের শিখরদেশে একাকী বসিয়া আছে ; এবং ঐ উদ্ধে মন্দিরচুড়ার উপরে দিবসের মুমূর্ষ দশা বিষন্নভাবে নিরীক্ষণ করিতেছে । যে সকল পায়রা ও কাক আকাশে ঘোরপাক্ দিতেছিল, এক্ষণে উছারা ঘুমাইবার জন্য মন্দিরচুড়ায় আশ্রয় লইয়াছে। ঐ প্রকা গু চুড়াটার সমস্ত শিরাজাল, সমস্ত খোচ গাচ এক্ষণে ঐ সকল পক্ষীর সমাগমে কালো হইয়া গিয়াছে ; পাখীরা এখনো পাখার ঝাপট। দিতেছে । শুধু ছায়ারেখা ছাড়া বানরটার জার-কিছুই এখন আমি দেখিতে পাইতেছি না। . তাহাঙ্গ পৃষ্ঠদেশ ও য় মানুষেরষ্ট মত, তাহার ক্ষুদ্র মস্তক চিন্তামগ্ন ; প্রকাও মন্দিরচুড়ার ঈষৎ-গোলাপী-মিশ্রিত পাণ্ডুবৰ্ণ জমি’র উপর, বানরের পৃথক "ইটা কান পরিস্ফুটভাবে প্রকাশ পাইতেছে। এ জাবার যেন সেই নিঃশব্দ পাখীর বাতাস আমি অঙ্গভব করিলাম : বাদুড়ট যে কক্ষ পথে ঘুরিতেছিল, তাহার কোন পরিবর্তন না করিছ। এখনো সেই পথে যাতায়াত করিতেছে । - বানরটা বৃহৎ মন্দিরচুড়া দেখিতেছে ; আমি বানরটাকে দেখিতেছি ; সেই ছোট মেয়েগুলি আমাকে দেখিতেছে, এবং আমাদের সকলেরই মধ্যে দুৰ্ব্বোধ্যতার একটা বিশাল থাত প্রসারিত রহিয়াছে।... এক্ষণে নমি মন্দিরের মুথ্য প্রবেশদ্বারের নিকটস্থ সেই সৈকতভূমিতে আসিয়াছি, যেখানে জগন্নাথপুরীর সর্বাপেক্ষ লম্ব রাস্তাটা আসিয়া মিলিত হইয়াছে। তীর্থযাত্রীরা আসিতেছে -বলিয়া খবর হইয়াছে, তাহারা প্রায় নজরে আসিয়াছে । তাহাদের সহিত মিলিত হইবার জন্ত, প্রতি মিনিটেই জনতার বৃদ্ধি হইতেছে। সেই 'পবিত্র গাম্ভীবৃন্দও এইখানে রহিয়াছে,-উহারা জনতার মধ্যে বিচরণ করিতেছে। উহাদের মধ্যে একটা গরু, যাহাকে শিশুরা খুব আদর করিতেছে--সেই গরুট। প্রকাণ্ডকায়, একেবারে ধবধবে শাদা, ও খুব বৃদ্ধা । একটা ছোট কালে গরু, তাহার পাচটা পা ; একটা ধূসর রং-এর গরু, তাহার ছয়ট পা ; এই অতিরিক্ত পাগুলা এত ছোট যে, উহা মাট পৰ্য্যন্ত পৌঁছে না—অসাড় মৃত অঙ্গের মত গরুর গায়ের উপর ঝুলিয়া রহিয়াছে। , ঐ হোথা রাস্তার শেষ প্রান্তে, তীখৰাস্ত্রীদিগকে দেখা যাইতেছে। সংখ্যার ইতিন শত হইবে। উহার রং-করা বাখারির বড়বড় চ্যাপ টা ছাত ধরিয়া আছে ; এই ভরপুর সন্ধ্যার সময় এইরূপ ছাতা খুলির রহিয়াছে ।