পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

90^है। दछदुनि । [ * ** sts চলিতে থাকে, আবার অন্যদিকে শুধু কাজসারা নহে, হৃদয়কে জানাইয়া দিবারও প্রয়োজন ঘটে ; সেদিন ঘরের লোক ঘরের মঙ্গলকে ও আননাকে সকলের কাছে ঘোষণা নী করিয়া দিয়া থাকিতে পারে না । ঘোষণার উপায় কি ? বঁাশী বাজে, দীপ জ্বলে, ফুলপাতার মালা দিয়া ঘর সাজানো হয় । সুন্দর ধ্বনি, সুন্দর গন্ধ, সুন্দর দৃশ্বের দ্বারা, উজ্জলতার দ্বারা হৃদয় আপনাকে শতধারার ফোয়ারার মত চারিদিকে ছড়াইয়া ফেলিতে থাকে। এমনি করিয়া নানাপ্রকার ইঙ্গিতে আপনার আনন্দকে সে অন্তের মধ্যে জাগাইয়াভুলিয়া সেই আনন্দকে সকলের মধ্যে সত্য করিতে চায় । মা তাহার কোলের শিশুর সেবা না করিয়া থাকিতে পারেন না। কিন্তু শুধু তাই নয়—কেবল কাজ করিয়া নয়, মায়ের দেহ আপনা-আপনি বিনা কারণে আপনাকে বাহিরে ব্যক্ত করিতে চায়। তখন সে কত খেলায়, কত অাদরে, কত ভাষায়, ভিতর হইতে ছাপাইয়া উঠিভে থাকে। তখন সে শিশুকে নানা রঙের সাজে সাজাইয়া, নানা গহনা পরাইয়া নিতান্তই বিনা প্রয়োজনে নিজের প্রাচুর্য্যকে প্রাচুর্য্যদ্বার,মাধুৰ্য্যকে সৌন্দৰ্য্যদ্বারা বাহিরে বিস্তার না করিয়া থাকিতে পারে না। " ইহা হইতে এই বুঝkযাইতেছে যে, আমাদের হৃদয়ের ধৰ্ম্মই এই। সে আপনার আবে'ಡ್ಗ বাহিরের জগতের সঙ্গে মিলাইয়া দিতে চায়। সে নিজের মধ্যে নিজে পুরা নহে। অস্তরের সত্যকে কোনোপ্রকারে বাহিরে সত্য করিয়াঁ তুলিলে তবে সে বাটে । ৰে বাড়ীতে সে থাকে, সে বাড়ীটি তাহার কাছে কেবল ইটকাঠের ব্যাপার হইয়া থাকে না— সে বাড়ীটিকে সে বাস্তু করিয়া তুলিয় তাহাতে হৃদয়ের রং মাখাইয়া দেয়। যে দেশে হৃদয় বাস করে, সে দেশ তাহার কাছে মাটি-জল-আকাশ হইয়া থাকে না –সেই দেশ তাহার কাছে ঈশ্বরের জীবধাত্রীরূপকে জননীভাবে প্রকাশ করিলে তবে সে আনন্দ পায়, নহিলে হৃদয় আপনাকে বাহিরে দেখিতে পায় না। এমন ন ঘটলে, হৃদয় উদাসীন হয় এবং ঔদাসীন্য হৃদয়ের পক্ষে মৃত্যু । সত্যের সঙ্গে হৃদয় এম্নি করিয়া কেবলি রসের সম্পর্ক পাতায় । রসের সম্বন্ধ যেখানে আছে, সেখানে আদানপ্রদান আছে। আমাদের হৃদয়লক্ষ্মী জগত্বের যে কুটুম্ববাড়ী হইতে যেমন সওগাদ পায়,সেখানে তাহার অনুরূপ সওগাদটি না পাঠাইতে পারিলে তাহার গৃহিণীপনায় যেন ঘা লাগে । এইরূপ সওগাদের ডালায় নিজের কুটুম্বিতাকে প্রকাশ করিবার জন্য তাহাকে নানা মালমসল লইয়া, ভাষা লইয়া, স্বর লইয়া,তুলি লইয়া, পাথর লইয়া স্বষ্টি করিতে হয় । ইহার সঙ্গে সঙ্গে যদি তাহার নিজের কোনো প্রয়োজন সারা হইল ত তালই, কিন্তু অনেক সময়ে সে আপনার প্রয়োজন নষ্ট করিয়াও কেবল নিজেকে প্রকাশ করিবার জন্ত ব্যগ্র। সে দেউলে হইয়াও আপনাকে ঘোষণা করিতে চায় । মামুষের প্রকৃতির মধ্যে এই যে প্রকাশের বিভাগ, ইহাই তাহার প্রধান বাজে-খরচের বিভাগ—এইখানেই বুদ্ধি-খাতাঞ্চিকে বারংবার কপালে করাঘাত করিতে হয়। হৃদয় বলে, আমি অস্তরে যতখানি,বাহিরেও उउपनि गअ श्हेब कि कब्जिा। डर्बन