পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা । ] তীর্থদর্শন। 6.0% উঠিয়াই কেহ দরজায় চাবি লাগাইতেছেন ; কেহ পোটুলাপুটলি চারিদিকে ছড়াইয়া সমস্ত জায়গা অধিকার করিয়া লইতেছেন,- যেন গাড়িখানি তাহার পৈতৃক মেীরুসী সম্পত্তি ; কেহ প। ছড়াইয়া বসিয়া প্রবেশদ্বার আটক করিয়া বিশ্বস্তরমূৰ্ত্তিতে বসিয়া আছেন,—কাহার সাধ্য, বীর হনুমানের লাস্কুলের স্থায় সেই চরণযুগল ঠেলিয়া সরায়-নড়ায় ? আবার কেহ বা পেটরা বাক্স গাদা করিয়া কৃত্রিম barricadeএর সৃষ্টিতে রণচাতুৰ্য্যের বাহাদুরি লইতেছেন, আর কেহ বা রীতিমত সম্মুখযুদ্ধ করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হইয়া প্রবেশদ্বার আগুলিয়া দাড়াইয়া আছেন, অন্ত লোকে প্রবেশ করিতে গেলেই যমদ্বারের প্রহরী সারমেয়ের হ্যায় বিকট হুঙ্কার করিয়া উঠিতেছেন। সোঙ্গ কথায় বুলিতে গেলে, আজকালকার লোক স্বার্থপর, স্বাতন্ত্রাপ্রিয় ও সঙ্কীর্ণহৃদয়, পাচজনের সঙ্গে মিলিয়া-মিশিয়া থাকিতে চাহে না ; সকলেই আত্মস্থতৎপর, আপন-আপন সুবিধা খুজিয়া বেড়ায়, পরকে ফাকি দিয়া নিজে মুখী হইব, ইহাই অহাদের ধ্যানজ্ঞান। হায়, ইহারাই আবার পুণ্যাজর্জনের জন্ত তীর্থযাত্রা করিয়াছে ! যাহারা ধৰ্ম্মের প্রথমস্থত্র বিশ্বপ্রেম শেখে নাই, তাহারাই আবার বিশ্বনাথের মস্তকম্পর্শ করিয়া কৈবল্যলাভ করিবে ? " কি তুরাশা ! পরকে আপদে-বিপদে সাহায্য করা দূরে থাকুক, যদি কোন সরলপ্রকৃতির যাত্রী কাহারও cলিকট রেলসংক্রান্ত একটা সংবাদ চাহে, তবে সকলেই সেই নিরীহ ব্যক্তিটিকে অবজ্ঞামিশ্রিত কুপার চক্ষে দেখেন। কেন না, তাহারা সকলেই চার-চার পরসা খরচ করিয়া একএক খানি time-table কিনিয়াছেন, ছিল্লীদিল্লীর খবর র্তাহীদের করতলন্তান্ত-অমিলকমৎ } র্তাহারা কাহারও নিকট কোন খবর চাহেনও ন, কাহাকে কোন খবর দিতেও প্রস্তুত নছেন ; ছিপি-র্তাটা কপূরের শিশির মত বসিয়া আছেন, পাছে বুদ্ধিগুদ্ধি উবিয়া যায়। 球员 嶺 举 嶺 এই ত গেল পথের মুখ । এখন ধানভানা, ছাড়িয়া শিবের গীত ধরা যাউক । তীর্থক্ষেত্রে প্রবেশমাত্র যমদূতের দ্যায় পাণ্ডাগণের আক্রমণ,—কেবল পয়সার জন্ত থিটিমিট। এই অর্থগৃধ্ৰ, শকুনিগৃঞ্জের দল আবার দেবালয়ের সেবায়ত ! এই পাপিষ্ঠগণের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডায় হৃদয়মন কলুষিত হয়, ইহাতে কোথায় বা থাকে ধৰ্ম্মভাব, কোথায় বা থাকে চিত্তশুদ্ধি ! শুনিয়াছিলাম, দেবদেব বিশ্বেশ্বরের আরতি দেখিলে হৃদয়ে উদাত্তভাবের উদয় হয়, পাষণ্ডের মনও গলিয়া যায়। সেখানে গিয়া কি দেখিলাম? প্রাণ ভরিয়.দেবদর্শন করিতে চাও, তবে ঘুষ বা ঘুষি চাই। তীর্থযাত্রাকালে রেলগাড়িতেও তাই, তীর্থভ্রমণকালে দেবালয়েও তাই। ভিড় ঠেলিয়া শ্বাস রুদ্ধ করিয়া ঘুষ বা ঘুষির সাহায্যে স্থান করিয়া লওয়া যায় বটে, কিন্তু তাহাতে ভক্তিরসের আবির্ভাব হইবার ত কথা নয়। তবে যিনি “সৰ্ব্বাবস্থtং গতোহপি বা ভক্তিবিভোর হইয়া থাকেন, তিনি অবশু সেই ঠেলাঠেলি ধাক্কাধান্ধিতে মহাকালের ত্রিশূলাস্ফালনের ছায়া দেখিয়া রোমাঞ্চিত হইয়া ज्छन। पिशब झुन সৰ্ব্বদাই ভক্তিসে আর্ন্ত, র্তাহার পক্ষে সকল স্থলেই সাত্ত্বিকভাবের । উদয় হওয়া স্বাভাবিক। সেরূপ সুিদ্ধপুরুষের