পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

šos . यक्रमणनि । [ ৭ম বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৪ করিতেছেন। আমি মাতৃপদে প্রণাম করিয়াছি, আশীৰ্ব্বাদ করুন।” সেই আত্মদমনের চেষ্টা এবং কথাকহার প্রণালী কতকটা ৰালক রাধাচরণের মত, কতদিন সুরলা কৃষ্ণপ্রিয়াকে ভুলাইয়। রাধাচরণ একাকী গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে বুরিয়া জাসিত এবং শেষে তাহাজের কাছে ঐম্নি করিয়া আত্মদোষক্ষালনের চেষ্টা করিত। অনেকদিন পরে আজ তাহা বুদ্ধার তীক্ষ্ণদৃষ্টি অতিক্রম কবিতে পারিল না। কে যেন সহসা তাহাকে বলিয়া দিল—সেই বটে, সম্মুখে তোমার সেই হারাধন রাধাচরণই বটে ! সামান্ত স্ত্রীলোক হইলে এই প্রতীতিমাত্রেই নারায়ণী দেবী সকলের সমক্ষে মনোভাব ব্যক্ত করিয়া ফেলিতেন এবং কাদিয়াকাটিয়া কুরুক্ষেত্র বাধাইতেন। কিন্তু তিনি তাহার কিছু করিলেন না। কেবল বলিলেন, “তোমার মত অতিথির আগমনে বাড়ী অামার পবিত্ৰ হ’ল। বেলা হয়েচে, স্নানাহ্লিক কর।” ছেলের দলের প্রতি দেহকোমল দৃষ্টিপাত কুরিয়া বলিলেন-“বাবাসকল, সন্ন্যাসিঠাকুরকে বিরিয়া ৰিরক্ত কোরো না । তোমরা সব স্বরে যাও।” এমন সময়ে নিকটে ক্রতগামি-অশ্বপদধ্বনি শোনা গেল। "কৌতুহলী ছেলের দল সঙ্গে সঙ্গে ছুটির বাহির হইয় গেল। একটু পরে কুমার পদাঙ্কনারায়ণ সহঃ भूष बांडांभशैब्र जघूष छैनश्ठि इहेब তাহার পাদস্পর্শ করিতে গেলেন । বৃদ্ধা অল্পায়ী দৌহিত্রের স্পর্শভয়ে স্থই হাত সরিয়া গিয়া বলিলেন—“হয়েচে হয়েছে, রোজ রোজ আবার পেরণাম কি ?” কুমার হাসিয়া কছিলেন, “দিদিম, আমার ছলে না, অপমান কলে, তবে আমি আর দাড়াব না, আবার এখুনি শিকারে যাই।” দিদিমা জানিতেন, মৃগয়াব্যাপারে তার নাতিটির যে কথা সেই কাজ । একটু শঙ্কিত হইয়া অপেক্ষাকৃত মুগ্ধস্বরে বলিলেন, “ছি, ও কথা বলিতে নাই । গোসাই কি ভাবিবেন!” ইহাতে কুমার অপাঙ্গে মাতামহীকে ঠোঁট ফুলাইরা যে সহাস্ত জবাব দিলেন, তার উত্তরে অল্পসময়ে তাহাকে কানমলা খাইতে হইত। কিন্তু এখন কেবল “পাখমারা” ও “খালক” দিদিমার এই প্রিয় গালিভূঁইট লাভ করিয়া “থিদে পেয়েচে, থেতে দেবে এসো” বলিতে বলিতে অন্দরপথে ছুটিয়া চলিলেন - নারায়ণী দেবী তখন দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করির অতিথিকে অন্বরে আহবান করিলেন। র্তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “এটি কৃষ্ণপ্রিয়ার ছেলে! ভগবান ঐটুকু দিয়া তাহাকে চিরকুঃখিনী করিয়াছেন - রাধাচরণ র্তাহার * পশ্চাতে ভিতরবাড়ীতে প্রবেশ করিতেছিলেন, ইফোটা চোখের জল তাহার গও বাহিয়া পড়িল । ক্রমশ ।