পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీక్షిత ங் করিলে গৌড়পরিদর্শন সম্পূর্ণ হইতে পারে না । বাঙালী স্বাধীনভাবে বাঙালীর इडि/ হাসসঙ্কলনে প্রবৃত্ত হইলে, দেবকোটের পুরাতত্ত্বানুসন্ধানের আয়োজন করিতে হইবে। তখন হয় ত দেবকোট আবার ಕ್ নিকট সুপরিচিত হইয়া উঠিবে। দেবকোটের নিকটবৰ্ত্তী গঙ্গারামপুরের রাজনগর এখন একটি বিজনবনে পরিণত হইয়াছে। ভারতবর্ষে এরূপ ভাগ্যবিবৰ্ত্তনের নিদর্শন জুলণ্ড নহে। কত বীরবিক্রমের লীলাভূমি এইরূপে শ্বাপদনিবাসে পরিণত হইয়াছে ! গঙ্গারামপুরের নাম মৃগয়ালোলুপ ইংরাজরাজ- • পুরুষগণের নিকট সুপরিচিত। বনের মধ্যে এখনও একটি পুরাতন মসজেদের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায় । তাহা অযত্নে-অনাদরে ধীরে ধীরে লোকলোচনের অন্তৰ্হিত হইতেছে । কিন্তু তাহার কথা ঐতিহাসিক সমাজে বিস্তুত হইতে পারে নাই । কারণ, তাহাই এদেশের সৰ্ব্বপ্রাচীন মুসলমানমন্দির, সুলতান কাই কায়ুসের কীৰ্ত্তি বলিয়া ভল্লিখিত। এই সকল কারণে গঙ্গারামপুর এবং দেবকোট ৰাঙালী হিন্দুমুসলমানের নিকট সমভাবে সমাধরলাভের যোগ্য । তাহার সহিত কত জয়পরাজয়ের পুরাকাহিনী সংযুক্ত হইয়া রহিয়াছে। সে কাহিনী গোঁড়কাহিনী,—বৃহৎ এবং স্বন্দর । 劇 মুসলমানগণ এদেশে আসিয়া সহসা গ্রামনগরের সূতন নামকরণে প্রবৃত্ত না হইয়া, অনেকদিন পর্য্যস্ত পুরাতন নামানুসারেই রাজকার্ব পর্য্যালোচনা করিতেন। তজ্জন্ত মুসলমানের ইতিহাসে দেবকোটের নাম পুনঃপুন উল্লিখিত দেখিতে পাওয়া ৰায়। স্থান, बंल्लथfन । . ৭ম বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩১৪ ইতিহাসলেখকগণ বলেন,—বক্তিয়ার খিলিজি লক্ষ্মণাবতী অধিকার করিয়া তথায় বহুসংখ্যক মসজেদ রচনা করিয়াছিলেন । ইহার কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে কি না, তাহাতে নানা সংশয় উপস্থিত হইয়া থাকে। প্রথম সংশয়,—লক্ষ্মণাবতীর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ৰক্তিয়ারনিৰ্ম্মিত কোন পুনৰ্ত্তিন মস্ জেদের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় না । সেরূপ কোন জনশ্রুতিও বর্তমান নাই। মুসলমানগণের দেবমন্দির বিনষ্ট করিয়া মস্জেদ রচনা করিবার প্রমাণপরম্পরার অভাব নাই। মুসলমান ইতিহাসলেখকগণ পুণ্যকীৰ্ত্তির পরিচয়স্থল বলিয়া সগৰ্ব্বে তাহার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু মুসলমানগণ পুরাতন মস্জেদ ভাঙিয়া নূতন মস্জেদ রচনা করিয়াছিলেন বলিয়া প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না। বক্তিয়ার লক্ষ্মণাবতীতে কোন মসজেদ নিৰ্ম্মিত করিয়া থাকিলে, তাহার চিন্তু সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হইত বলিয়া বোধ হয় না। বরং মুসলমানকর্তৃক তাহ সযত্নে স্বরক্ষিত হইত। লোকসমাজ হইতেও তাহার জনশ্রুতি একেবারে বিলুপ্ত হইতে পারিত না। মিনহাজ উদ্দীন লিখিয়া গিয়াছেন,—বক্তিয়ার লক্ষ্মণাবতীতে মস্জেজ নিৰ্ম্মিত করিয়াছিলেন। এ কথার অন্ত কোন প্রমাণ বর্তমান নাই। পরবর্তী ইতিহাসলেখকগণ সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করিয়া গিয়াছেন। মসুজেৰ নিৰ্মাণ করিতে হইলে বেরূপ নিশ্চিস্তভাবে স্লাজধানীতে ৰাস করা আবগুক, বক্তিয়ার একদিনের জন্তও সেন্ধপ নিশ্চিন্তভাবে লক্ষ্মণাবতীতে বাস কল্লিতে পারিয়াছিলেন বলিয়া ৰোধ হয় না । তিনি জাম্বেী লক্ষ্মণাবতীতে বাস করিয়াছিলেন কিল',