পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] দেশ" বা "বাঙ্গালা” নামে পরিচিত ছিল না, —“লক্ষ্মণাবতী-দেবকোট” নামেই পরিচিত চিল । সুতরাং দেবকোটষ্ট এ দেশের সর্বপ্রথম মুসলমানরাজধানী। দেবকোটের পুরাতন কাহিনী বিলুপ্ত হইয়া গিয়াড়ে। কিন্তু লক্তিয়ার থিলিজির সমসামদিক উমৈক কাচিনী এখনও সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত ইষ্টতে পারে নাই। বতিয়াব পিলিঙ্গিব লিজয়লাভের কাহিনী নানাভাবে ভারতলাপ চষ্টয়া পড়িয়াছিল। তাহীর তলীয়-অক্ষরঙ্গ অনেকেষ্ট নবরাজ্যে আগমন করিতে আকন্তু কবিয়াড়িলেন । অল্পদিনেব মধো দেবকোটের মুসলমানসেনানিবাস সহস্ৰ সঙ্গত্র সেন ৪ সেনানায়কে পূর্ণ হইয়া উঠিয়াড়িল । দেবকোটপ্রদেশে এষ্টরূপে সে সামরিক শক্তি সঞ্চিল চষ্টয়া উঠিয়াছিল, তাল রাজালিস্টারে নিযুক্ত চলতে বিলম্ব ঘটিল না । একদল মঙ্গৰ্ম্মদ শেরানের অধীনে উৎকলাভিমুখে ধাবিত হইল ; আর এক দল—দশসহস্ৰ অশ্বাবোহী – বক্তিয়ারের অধীনে পূৰ্ব্বোস্তুরে বিজয়য়াল করিল । পশ্চিমে মহানন্দা, পূৰ্ব্বে করতোয়,-ইঙ্গাই ববেক্রমণ্ডলের সুপরিচিত সীমা । তাঁহার বাহিরে,—পশ্চিমে মিথিলী, পূৰ্ব্বে কামরূপ । এই সীমাভূক্ত ভূভাগ বিবিধ শস্যসম্পদে পরিপূর্ণ ছিল ; অস্থাপি তাহ “বহশস্তপূর্ণ” বলিয়া পরিচিত আছে। এখনকার স্তায় সেকালেও বরেন্দ্রমণ্ডলের অধিবাসিবর্গ শিক্ষিত-অশিক্ষিত স্থই ভাগে বিভক্ত ছিল। এখনকার স্তীয় তখনও শিক্ষিত অপেক্ষ অশিক্ষিতের সংখ্যাই অধিক ছিল । অশিক্ষিতগণ কোচ, মেচ, পলিয়া, পুওৱীক প্রভৃতি বিবিধ নামে আপনাদিগের । গোঁড়কাহিনী । ৩২৩ পরিচয় প্রদান করিত। তাহারাই সৰ্ব্বপ্রথমে মুসলমানধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিল । মেচজাতীয় একজন প্রধানপুরুষ এইরূপে মুসলমানধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া লুক্তিয়াব ৰিলিজির রাজ্যবিস্তাবের পথপ্রদর্শক তুষ্টুয়াছিল। বক্তিয়ার তাঁতীকে মুসলমানপর্ক্সে দীক্ষিত করাষ্টয়া তাহার নাম যুগয়াছিলেন–জালি সে মুসলমান হষ্টয়ালু, ইতিহাসে আলি নামে পবিচিত হইতে পারে নাই ;-আলি মেচ নামে পরিচিত হইয় রতিয়াছে । তালিমেচেব প্ররোচনায় বক্রিয়াব খিলিজি • দশসহস্ৰ অশ্বাবোহী সমভিলাহারে যে বিজয় যাত্রায় বতির্গত চষ্টয়াছিলেন, তাঁহাই তাহার শেষ রিজয়যাত্র । জেনেফোনেব ত্যায় ইতিষ্ঠাসলেখক ছিলেন ললিয়া, গ্ৰীকজাতির “দশসহস্তের প্রতাগলর্তন"কাহিনী সভাসমাজে চিরস্মরণীয় হষ্টয়া রহিয়াছে । সেরূপ কোন ঠতিহাসলেখক ছিল না বলিয়াই, বক্তিয়াব থিলিজির “দশসহস্ত্রের প্রত্যাবর্তন”কাহিনী বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে ! প্রসঙ্গক্রমে মিনঙ্গজ উদ্দীন যাহাকিছু লিপিবদ্ধ কবিয়া গিয়াছেন, তাহাতেই দেপিতে পাওযা যায়,— দশসহস্ত্রের মধ্যে একসহস্রও প্রত্যাবৰ্ত্তন কবিতে পারে নাই,— অল্পসংখাক অশ্ববোঙ্গী লষ্টয়া বক্তিয়ার খিলিক্তি কোনরূপে দেবকোটে উপনীত হইয়াছিলেন । কিরূপে এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হইয়াছিল, তাহ পাঠ করিলে, বিস্ময়ে অভিভূত হইতে হয়। আলিমেচ পথপ্রদর্শক হইয়া বক্রিয়ার খিলিজিকে করতোয়াতটে আনয়ন করিলে, বক্তিয়ার দেখিতে পাইলেন—করতোয় বড় খরস্রোতা । সেকালের করতোয় একালের தும்