পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీశ్రీ: বঙ্গদর্শন । [ ৭ম বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩১৪ উখলি উঠিল মরি বসন্তসাগরে স্থনিবার আকুল প্রবাহে । কেহ ং অতীশ্যাম, কমলিনী সুবৰ্ণতপনদীপ্ত দিব্যবিম্বাধরা সুহাসিনী কোনো রাম। আমার পৌরুষ চিত্ত লক্ষফুলশরপাতে কেমনে চেতন ছিল জানেন তা’ স্মরহর । অধীর ধূর্জটি । এমনি মথিত চিত্তে নয়ন রেখেছিন্থ স্থির আপন-আদর্শ-মগ্ন সুনন্দন মনীষার মুখে। শতশত-রমণীবদন-মাঝে পদ্মসরোবর-হৃদে শশিচ্ছবি সে মুখ বিরাজে উথলিয়া সভাতল । পুন তর্ক ভাতিল নুতন শিল্প আর বিজ্ঞানে জড়িত, বিচ্ছুরিয়া অগণন নারীর প্রতিভা, যথা রোন্দ্রে হীরকের জ্যোতিক্ষণ । হেরিস্থ সহসা দুরে আছে বসি বিগতযৌবন স্বলোচনা সমুজ্জলবসনে সজ্জিত, তীব্ৰ-চোখে স্থির চাহি’ মোর মুখে, উদ্ভাসিত বহু দীপালোকে সে সভার প্রাস্তভাগে, শিকারে লক্ষিয়া তীব্রতর মার্জারী যেমতি চেয়ে থাকে । শাস্তস্তৃপ্ত অতঃপর ভাঙিল সে নারীসভা । উদ্যানে ভ্রমণ-আশে উত্তরিয়া হেরি মোরা হেথা-হোথা মনের উল্লাসে ভ্ৰমিছে ভামিনীবৃন্দ। কেহ দীপ্ত-উদ্দীপনা-ভরে “বীরাঙ্গন-কাব্য” হ’তে নারী-উক্তি স্বধা-তীক্ষ্ণ স্বরে আবৃত্তি করিছে আনমনে। কেহ বা পড়িছে ধীর এক হাতে গ্রন্থ ল’য়ে অন্য হাত বুলায়ে শির্থীর গ্রীবাদেশে । কেহ ক্ষুদ্র তরণী আরোহি গাহে গান— *সাধের তরণী মোর কে দিল তরঙ্গে।” হাস্ক প্রাণ কেহ বা প্রকাশে উচ্চহাসে । খেলে লুকোচুরি কেহ পক্ষ কমলার কুঞ্জবনে । সে গুরুনিতম্ব দেহভরে গভীরাপ্ত পদচিহ্ল দেখা যায় ধরণীর বক্ষপরে। কেহ বা কন্দুক ল’য়ে খেলিছে অধীয় ক্ষিপ্র শ্রমে দ্বীপাইয়। উচ্চহাস। বলি খুৰীবলে ৰিংশোৰ্দ্ধবয়সীদল বিশ্রভ-জালাপ-রত মনে