পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 ob' ..আপনাকে রক্ষা করিবার জন্ত তোমার কাছে ক্ৰন্দন করি। কিন্তু হে প্রচও, আমি তোমার কাছে সেই শক্তি প্রার্থনা করি যাহাতে তোমার দয়াকে দুৰ্ব্বলভাবে নিজের আরামের, নিজের ক্ষুদ্রতার উপযোগী করিয়া না কল্পনা করি—তোমাকে অসম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করিয়া নিজেকে না প্রবঞ্চিত করি। কম্পিত হৃৎপিণ্ড লইয়া অশ্রুসিক্ত নেত্রে তোমাকে দয়াময় বলিয়া নিজেকে ভুলাইব না ;–তুমি যে মানুষকে যুগে যুগে অসত্য হইতে সত্যে, অন্ধকার হইতে জ্যোতিতে, মৃত্যু হইতে অমৃতে উদ্ধার করিতেছ—সেই যে উদ্ধারের পথ সে ত আরামের পথ নহে সে যে পরম দুঃখেরই পথু। মানুষের অন্তরাত্মা প্রার্থনা করিতেছে আবিরাবীক্ষ্ম এধি, হে আবিঃ, তুমি আমার নিকট আবিভূর্ত হও—হে প্রকাশ, তুমি আমার কাছে প্রকাশিত হও— এ প্রকাশ ত সহজ নহে ! এ যে প্রাণান্তিক প্রকাশ ! অসত্য যে আপনাকে দগ্ধ করিয়া তবেই সত্যে উজ্জ্বল হইয়া উঠে, অন্ধকার যে আপনাকে বিসর্জন করিয়া তবেই জ্যোতিতে পরিপূর্ণ হইয়া উঠে এবং মৃত্যু যে আপনাকে বিদীর্ণ করিয়া তবেই অমৃতে উদ্ভিন্ন হইয় উঠে। হে আবিঃ, মানুষের জ্ঞানে,মানুষের কৰ্ম্মে, মানুষের সমাজে তোমার আবির্ভাব এইরূপেই । এই কারণে ঋষি তোমাকে করুণাময় বলিয়া ব্যর্থ সম্বোধন করেন नीहे। তোমাকে বলিয়াছেন, রুদ্র, যন্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিতম্–হে রুদ্র, তোমার যে প্রসন্ন মুখ তাহার দ্বারা আমাকে সৰ্ব্বদা -রক্ষা কর। হে রুদ্র, তোমার যে সেই রক্ষা, তাহা ভয়, হইতে রক্ষণ নহে, বিপদ হইতে বঙ্গদর্শন । [ ৭ম-বর্ষ, ফাল্গুন, ১৩১৪ ब्रम नरश्, श्रृङ्क रुद्देश्ड बैंक नई,-डाश জড়তা হইতে রক্ষা, ব্যর্থত হইতে রক্ষ, তোমার অপ্রকাশ হইতে রক্ষা । হে রুদ্র, তোমার প্রসন্নমুখ কখন দেখি, যখন আমরা 'ধনের বিলাসে লালিত, মানের মদে अंड, থ্যাতির অহঙ্কারে আত্মবিস্তৃত, যখন আমরা নিরাপদ অকৰ্ম্মণ্যতার মধ্যে মুখমুণ্ড তখন ? নহে, নহে, কদাচ নহে।—যর্থন আমরা অজ্ঞানের বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াই, যখন আমরা ভয়ে ভাবনায় সত্যকে লেশমাত্ৰ অস্বীকার না করি, যখন আমরা দুরূহ ও অপ্রিয় কৰ্ম্মকেও গ্রহণ করিতে কুষ্ঠিত না হই, যখন আমরা কোনো সুবিধা কোনো শাসনকেই তোমার চেয়ে বড় বলিয়া মান্ত না করি—তখনই বধে বন্ধনে আঘাতে অপমানে দারিদ্র্যে দুর্য্যোগে হ রুদ্র তোমার প্রসন্ন মুখের জ্যোতি জীবনকে মহিমান্বিত করিয়া তুলে। তখন দুঃখ এবং মৃত্যু বিঘ্ন এবং বিপদ প্রবল সংঘাতের দ্বারা তোমার প্রচণ্ড আনন্দভেরী ধবনিত করিয়া আমাদের সমস্ত চিত্তকে জাগরিত করিয়া দেয় । নতুবা স্বথে আমাদের সুখ নাই, ধনে আমাদের মঙ্গল, নাই,আলস্তে আমাদের বিশ্রাম নাই। হে ভয়ঙ্কর, হে প্রলয়ঙ্কর, হে শঙ্কর, হে ময়ঙ্কর, হে পিত, হে বন্ধু, অস্তঃকরণের সমস্ত জাগ্ৰত শক্তির দ্বারা উদ্যত চেষ্টার দ্বারা অপরাজিত চিত্তের দ্বারা তোমাকে ভয়ে দুঃখে মৃত্যুতে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করিব—কিছুতেই কুষ্ঠিত অভিভূত হষ্টব না এই ক্ষমতা আমাদের মধ্যে উত্তরোত্তর বিকাশ লাভ করিতে থাকুক এই আশীৰ্ব্বা কর । জাগাও হে জাগাও--যে ব্যক্তি ও যে জাতি আপন শক্তি ও ধন সম্পদকেই জগতের