পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br?, 0 বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বাতাস। ১৪৮ । আমার মাথার মাণিক ভাসাইয়া দিলি, আমার বুকের মাণিক খড়াইয়া নিলি । পুত হােলগো পুত হোল রাজার রাজ্য আলো হােল। ১৫০ । যা নাই রাজ ভাণ্ডারে—তাই দেখি ধূলার ঘরে। ১৫১ ৷ আগে ছিল যে সমুদ্র ক্ষীরে সরে এখন হল ।সমূদ্র নুন পাথরে। ১৫২ । গঙ্গার জল সিনান করবে। শক্তি দুঃখের গেল দিন। উঠিয়া তুমি ঠেসরে শক্তি সমুদ্রের পুলিন। ১৫৩ ৷ চন্দন দেখিতে সাধু দেখে দরশনে, শ’ অক্ষর লেখা আছে সেহিরে চন্দনে৷ “শ” অক্ষর পড়িয়া সাধু শক্তি নৈল মনে, ওরে সোণার হাতের অথর দেখিয়া সাধু হৈল অচেতনে ॥ ১৫৪ । বন দেবতার ছলা, মায়ের মন খানি উতলা। ১৫০ । বৈল ছেড়েছে আমের গাছে মায়ের আমার তারি তলে বাস। শালের পাতা কুড়ে বঁধিলাম আমি কাঠের বদলে আশ ৷৷ ১৫৬ ৷ চৌদ্দ পালের ঘুণ্টি তুলি নদ উজার নদী উজার। যদি হয়। পথের চুল ভাটি তৈলে সমুদ্রে যায়। ১৫৭ ৷ হার চন্দনের শোভা আরো রত্ব পাটের শাড়ী। বৃক্ষের তলে আলো করে কার বা নব নারী। গায়ে কাটা ( মন্তকে ভাটা। ১৫৯ ৷ এক দিন দেখিলাম বন কুড়ানী পরণে দেখিলাম ছালা, আজ এসেছেন শাড়ীর ঘেরাণ গলায় ঢুলিয়া মালা। ১৬• । বাঁদি দাসী রাণীর রাণী, আমি হৈলাম চৌধুরাণী। ১৬১। দাসী বাদীর ঝাঁক, মৌমাছির চাক। ১৬২ ৷ দ্বাই বুড়ী খুন খুনে। পড়ে থাকে ঘরের কোণে। ১৬৩ ৷ কটা মাথা কার ঘাড়ে, রাজার ঘাটে ডঙ্কা মারে। বেটা বড় মর্দানা, কয়টা ঘাড়ে গৰ্দানা। ১৬৫ ৷ যত বেসাতি আটক দাও, সাধুকে ফাটক দাও । ১৬৬। দিক দিশা ফ্ৰাপিয়া উঠে, গায়ের ঘামে ঝরণা ছুটে । ১৬৭ ৷ রাজার যদি নাই সুখ, সকলেরই তাতে দুঃখ। ১৬৮। গা জুড়ে ঘুম এল, চোখ ভরে জল এলো । ঢোক গেলে, দিক তোলে। ১৭ • । আল ডিঙ্গাইয়া কে খায় খাস, মায়ের কথায় প্রত্যয় চাস। ১৭১ ৷৷ জন্ম হল গহন বনে, আজ বসেছিল সিংহাসনে । ১৭২ ৷ কাকের বাসায় কুলির ছাঁ, জাত স্বভাবে করে বা । ১৭৩। একি কথা একি ভুল, কার মাথায় কটা চুল। ১৭৬। পথে পায় জননী, সে জননীত ডাইনি। ১৭৫। কঁাপিস না ঝাপিস না, দুধ যেন ঠিকূরে না। ১৭৬ । সিঙ্গি মাছের ঝোল চড়ায়। কালে জিরা আর মশলা বেটে খায়। ১৭৭ ৷ হাড়ি ভাঙ্গে স্বরা স্থাঙ্কে, সারা রাত্রি বসে জাগে । ১৭৮ ৷ নীল আছেন সিংহাসনে, কি হয় কে জানে। ১৭৯। না চুল পাঁচড়, না পড়নে ভাল কাপড়। ১৮০ । দেব আছে ধৰ্ম্ম আছে। সত্য সুৰ্য্য সাক্ষী আছে। ১৮১ ৷ পাতাটি পড়ে না, কুটাটুকু নড়ে না। ১৮২ । পুর্ণ চাদের কিনিক জোছনা চাদ পাখীকে পাইল । ১৮২ । সভা হৈ হৈ, ডঙ্কা রৈ রৈ। ১৮৪ । ছিলাম। আমি রাণী gDB DDDDB gO BBS JESS DBDSKB BDK BBB DBDS JJYSS DBD DBDB DBBS DD DDK DBBDB ১৮৭। জল জৌলসের ঘিরে সোণার পাগড়ি শিরে। ১৮৮। সাজ পরণ ছেচড়ে, আপন গা হেঁচড়ে। ১৮৯। নদীর ঘাটে চৌদ্দ তরী চৌদ্দ নিশানে উড়ে। শঙ্খ সাধুর নাম লেখা সোণার আখরে। ১৯• ; চন্দ্ৰমূৰ্য্য যদি সাক্ষী, সাক্ষী যদি বনের পাখী। ১৯১। যে রন্ধন পেয়েছি আমি বার সৎসর আগে । আজ কেন জিভে আমার সেই রন্ধন লাগে। ১৯২ । বার বাটী তের ব্যঞ্জন সেই রন্ধন খাই। বার বার বৎসরেও তো সে রন্ধন ভুলি নাই। ১৯৩। সাধু জল খেতে ভাত খায়। পলকে ভাত ব্যঞ্জন সাপুর স্বপুর ফুরায়। ১৯৪ । যে দাও ব্যঞ্জন যে দাও ভাত, সাধুর ভিটায় যেন দেখেছিলাম। সেই দুই খানি হাত । ১৯৫। সেই কপালে সেই টিপ, সাধুৱ ভিটায় সু্যোণার দ্বীপ। ১৯৬ । এর বাড়ী খান, কচিৎ দু এক কড়ি পান। ১৯৭। কুজের উপরে তেল মাখে, আয়নায় আরণীতে, মুখ দেখে। ১৯৮। বনে বনে বেড়ানী, ছিলাম কাঠুরাণী, হলাম রাজরাণী, । ১৯৯ ৷ দাই কাঠুরাণী মরে গেল। শিয়াল কুকুরে টেনে নিল। ২ • • । গান বাজনা, সাজ সাজন। ২০১। আপন মুখে অন্ন ছোয়ান নাই, তবু বংশ চেয়ে ধন খোয়ান নাই। ২০, ২ । তুল না হয় মূল না হয়। ২০৩। বক্‌ ঠেঙ্গী পায়ে, কুজ সুন্দরী গায়ে । ২০ a । কেশ চলে শক্তির বেশ ঢলে, দিন প্ৰভাতে শক্তির ঘরে মোমবাতি জ্বলে।