পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xა თ\ტ বঙ্গভাষা ও সাহিত্য শিক্ষাভিমানীর উপেক্ষার বস্তু ছিল। কিন্তু যে দিন ( ১৫৩৭ শকে ) সংস্কৃতভাষায় অসাধারণ পণ্ডিত, অশীতিপর বৃদ্ধ কৃষ্ণদাস কবিরাজ নয়। বৎসরের চেষ্টায় চৈতন্যচরিতামৃতের ন্যায় অপূৰ্ব্ব দর্শনাত্মক ইতিহাস রচনা করেন, সেই দিন বঙ্গভাষার এক যুগ । আবার যে দিন শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যের পৌত্র রাধামােহন ঠাকুর বাঙ্গালা ‘পদ্মামৃতসমুদ্রের’ সংস্কৃত টীকা প্রণয়ন করেন, বঙ্গভাষার সেই আর-এক যুগ। দেবভাষা বঙ্গভাষার পরিচর্য্যায় নিযুক্ত হইলেন, ইহা হইতে সেই যুগে এভাষার আর অধিক গৌরবের কথা কি হইতে পাবিত ? ২ । প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্যের বিশেষ লক্ষণ । র্যাহারা টেন, ডাউডন পড়িয়া বঙ্গভাষার সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইবেন, তাহারা একটি বিষয় মনে রাখিবেন ; বিলাতী লিলি আর দেশী পদ্মে, জেসিমাইন আর জুইএ একটা | ३ ३tद्रडी ७ बॉयल माश्डि) । | প্ৰভেদ আছে ; ইংরেজী ও বাঙ্গালী চরিত্রে সেইরূপ একটা প্রভেদ আছে, জাতীয় সাহিত্যেও সেই প্রভেদের প্রতিবিম্ব পড়িয়াছে। চৈতন্যপ্রভুকে শাস্ত্রের বচন দ্বারা পরাভূত করিবার আশায়, এই মহাত্মাগণ তন্ত্ররত্নাকরে কতকগুলি শ্লোক যোজনা করিয়া দিয়াছিলেন। তাহাতে আছে। “বটুক ভৈরব একদা ভগবান গণদেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ত্রিপুরাসুর হত হইলে, তাহার আসুর তেজ নষ্ট হইয়াছিল, কি কোনরূপে বিদ্যমান ছিল ?” গণদেব উত্তর করিলেন,- “স এষ ত্রিপুরোদৈত্যে নিহত: শূলপাণিনা। রুসিয়া পরয়াবিষ্ট আত্মানমকক্সোত্ৰিধা শিবধৰ্ম্মবিনাশায় লোকানাং মোহহেতবে । হিংসাৰ্থং শিবভক্তানামুপায়ান সৃজম্বাঞ্ছন। অংশোনাস্তেন গৌরাথ্যঃ শচীগর্ভে বভূব সঃ।। নিত্যানন্দোদ্বিতীয়েন প্ৰাদুরাসীন্মহাবলঃ ॥ অদ্বৈত্যাখ্যসূতীয়েন ভাগেন দনুজাধিপঃ। প্রাপ্ত কলিযুগে গােরে বিজহার মহীতলে । ততো ডুরাত্মা ত্রিপুরা: শরীরৈস্ট্রিভিরাসুরৈঃ। উপপ্লবায় লোকানাং নারীভাবমুপাদিশৎ।” ইহার সারার্থ এই, “ত্রিপুরাসুর মহাদেবের দ্বারা নিহত হইয়া শিবধৰ্ম্মনাশের জন্য গৌরাঙ্গ, নিত্যানন্দ ও অদ্বৈত s তিনরূপে আবিভূতি হইলেন, পরে নারীভাবে ভজনের উপদেশ দিয়া লোকসমূহকে মোহভাবে বশীভুত করিলেন।” ইহার প? এই ভাবের আরও অনেক নিন্দাবাদ আছে।