পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS O বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বাঙ্গালা প্রাচীন কাব্যের এখনও ভালরূপ খোজ হয় নাই। আমরা যাহাদিগকে আদি কবির যশোমাল্য দিতেছি, তাহারাই আদি কি না, ঠিক বলা যায় না, ইহা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। প্রত্নতত্ত্ববিৎগণের দ্বারা এই প্রাচীন ক্ষেত্র আবাদ হইলে তঁহাদের চেষ্টা ও গবেষণার হলাগ্রভাগে নূতন কবির কঙ্কাল প্ৰকাশ পাওয়া কিছুমাত্ৰ বিচিত্ৰ হইবে না। বড় নদীতে যে নিয়ম, ক্ষুদ্র জল-রেখায়ও তাহাই ; সৌর-জগতে যে নিয়ম, গৃহশীর্ষস্থ অলাবুলতার চক্রের সেই নিয়ম দৃষ্ট হয় ; কেবল বড় বড় কাব্যগুলিতে নহে, কাব্যের অংশগুলিতেও সেই অনুকরণবৃত্তির পরিচয় লক্ষিত হয়। একটি উৎকৃষ্ট ভাব পাইয়া কবিকে প্রশংসা করার পথ নাই , কোন কবি সেই ভাবের আদি প্রণেতা, সে প্রশ্ন সহজে মীমাংসিত হইবার নহে। আমরা প্ৰতি চণ্ডীকাব্যের ফুল্লারা ও খুল্লনার বারমান্ত” পাইয়াছি। এতদ্ব্যতীত বিজয়গুপ্তের ‘পদ্মপুরাণে” পদ্মাবতীর বারমান্য’, পদকল্পতরুতে বিষ্ণুপ্রিয়ার ‘বারমাস্য’ (১৭৮৩ পদ ), বিদ্যাসুন্দরগুলিতে বিদ্যার ‘বারমাস্তা”, সৈয়দ আলওয়াল কবির পদ্মাবতীতে নাগম তীর বারমাস্তা”, “মুৱারি ওঝার নাতি” শ্ৰীধর প্রণীত রাধাব ‘বারামাস্তা”, সেখ কমরালী বিরচিত রাধার ‘বারমাস্তা, সেক জালাল প্রণীত সখীর “বারমাস্য’ - এইরূপ রাশি রাশি ‘বারমাস্যার’ সঙ্গে প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যের ঘাটে পথে সাক্ষাৎকার লাভ করিয়াছি। যেখানে একটা সুন্দর ভাব পাওয়া গিয়াছে, তৎপরেই উহা উপযুপরি কবিগণের চেষ্টায়। তন্তুসার হইয়াছে। কবিবল্লাভের “না পুড়িও মোর অঙ্গ না ভাসাও জলে। মরিলে রাখিও বঁধি তামালের ডালে৷ কবহু’। সে পিয়া মন্দি আসে বৃন্দাবনে। পরাণ পারব হাম পিয়া দরশনে ৷” এই কবিতার ভাবটি রাধামোহন ঠাকুর,- “এ সপি কর তহু পর উপকার। ইহ বৃন্দাবনে দেহ উপেখিব, মৃত তনু রখেবি হামার। কবহু শ্যাম তনু পরিমল পা ওৰ, তবহু’ মনোরথ পুত্র।” (পদকল্পতরু, ৪৬ পদ ) যদুনন্দন দাস,-“উত্তর কালে এক করিহ সহায়। এই বৃন্দাবনে যেন মোর তনু রায়। তমালের কাধে মোর ভুজ লতা দিয়া । নিশ্চয় করিয| তুমি রাখিও ধধিয়া । কৃষ্ণ কতৃ দেখিলেই পূরিবেক আশী।” ( পদকল্পতরু ১৮৬ পদ ) নরহরি,-“করিাহ উত্তরকালে ক্রিয়া। রাখিহ DKD BkBB BBB BBS SBBD S D DBD DBBBB SS DBBBgg EBDB BBDD BBBBBD S BB BtBDBD BO করে। গাঁথিয়া ফুলের মালা পরাইহ তারে ৷ তোমরা কুশলে সব রৈয়ো । এই বনে বারেক আসিতে তারে কৈয়ো ॥ নরহরি কৈরে এই কাম । সে সময় কাণে শুনাইও তার নাম।” ( সাহিত্যপত্রিকা ৩য় ভাগ, যষ্ঠ সংখ্যা, ১২৯৯ )” কৃষ্ণকমল,-“দেহ দাহন ক’র না দহন দাহেঁ। ভাসা’ওনা তাহা যমুনা প্রবাহে । আমার শ্যামবিরহে পোড়া তনু, আমার শ্ৰীকৃষ্ণ-বিলাসের দেহ-সব সহচরী, দুটি বৰ্হি ধরি, বাধিও তামালের ডালে। যদি এই বৃন্দাবন স্মরণ করি, আসে গো আমার প্ৰাণের হরি, পপুর শ্ৰী অঙ্গসমীর পরশে শরীর জুড়াইব সেই কালে।” কবিশেপুর,-“কহিও কানুরে সই কহিও কানুরে, কাব্যের অংশ রচনায় অনুকরণ-বাহুল্য । • শেষোক্ত তিনটি “বার মাস্তা” বঙ্গসাহিত্যে প্রথিতনাম! শ্ৰীযুক্ত আব্দ ল করিম সাহেবের নিকট সংগৃহীত আছে।