পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাচীন সাহিত্যের লক্ষণ SSO) পল্পী-গীতিকাগুলির মধ্যে ‘শুরামরায়’, ‘আঁধাবধু” ও “বোপাের পাঠ’ ত্ৰয়োদশ-চতুর্দশ শতাব্দীতে বিরচিত হইয়াছিল, বলিয়া অনুমান হয়। কাজলরেখা, কাঞ্চনমালা ও মালঞ্চমালা তাহারও অনেক পূর্বের রচনা। এই সকল সুপ্রাচীন পল্লীগাথায় ९४९शूद्र आक्ष* १७श शाश । नाशिकনায়িকার পূর্বরাগ, তাহাদের স্বৰ্গীয় ত্যাগ স্বীকার, সমাজের স্বাধীনতা ও উদার-বৃত্তি এবং নায়কদের দেশ-বিদেশে পৰ্য্যটন, অদম্য সাহস ও বিপদকে অবাধে বরণ করিয়া লওয়া-বাণিজ্যের জন্য সমুদ্র-পথে নিঃশঙ্কভাবে যাতায়াত ও তান্ত্রিক অনুষ্ঠান-এ সমস্তই গুপ্তযুগকে স্মরণ করাইয়া দেয়। এই সাহিত্যে ব্ৰাহ্মণ্য প্রভাব ও জাতি-ভেদের কড়াকড়ি নিয়ম আদৌ নাই, আছে-আত্মনির্ভর ও কৰ্ম্মশীলতা ; অনেকটা বৌদ্ধ-ভাব এই সাহিত্যে দৃষ্ট হয়। পরবত্তী ব্ৰাহ্মণ্যপ্রভাবান্বিত সাহিত্যের মূলনীতি হইল—আচার ও ব্রাহ্মণ্যজয় ঘোষণা। ইহাতে রামায়ণ, মহাভারতকে নূতন ছাচে ঢালিয়া লওয়া হইল,—কালিদাসের কবিত্ব আড়ালে পড়িল এবং মনু ও যাজ্ঞবল্ককে নূতন টীকার সাহায্যে দাড় করাইয়া সমাজ সংগঠন করিতে কালুকভট্ট ও রঘুনন্দন উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়া গেলেন। সুতরাং এ যুগের সাহিত্য ব্ৰাহ্মণ্য অনুশাসনে কতকটা কবিত্বসম্পদ হারাইয়া ফেলিল। এই শাসনের অতল জল হইতে মনুষ্যত্বের প্রকৃত দাবী উদ্ধার করিবার জন্য বৈষ্ণবেরা যে “বেদবিধি-বহির্ভূত" ধৰ্ম্মপ্রচার করিলেন—তাহা লুপ্ত গৌরব যুগটিকে পুনরায় উজ্জ্বল করিয়া দেখাইল। S