পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRR दश्रङांबी ७ गांशिङ| যথার্থক্কাপে প্ৰতিবিম্বিত হয়, কৃত্তিবাসী-মুকুরে বাল্মীকির রামায়ণ সেইরূপ প্ৰতিবিন্বিত হয় নাই ; মূল পাঠ করিলে দেখা যায়, শ্ৰীরামচন্দ্ৰ দেবতা নহেন,-দেবোপম; মানুষী শক্তি ও বীৰ্য্যবিত্ত্বার আতিশয্যে তাহাকে ক্ষণে ক্ষণে দেব বলিয়া ভ্রম হয়, এই মাত্র। কৃত্তিবাসী রামায়ণের রাম ভক্তের আরাধ্য অবতার, তুলসী চন্দনে লিপ্ত বিগ্ৰহ। তিনি কোমল করপল্লবের ইঙ্গিতে সৃষ্টি, স্থিতি, সংহার করিতে পারেন, তিনি বংশীধারীর ভ্রাতা, প্রেমাশ্রপুর্ণ চক্ষু ; ভক্তের চক্ষে জল দেখিলে যোজিত শরটি তুণীরে রাখিয়া কঁাদিয়া ফেলেন। মূলে আছে, কৌশল্যা বনগত পুত্রকে স্মরণ করিয়া সুমন্ত্রের নিকট বলিতেছেন,-“রাম পুষ্পবৎ কোমল উপাধানে শির রক্ষা করিয়া নিদ্রা সুখ উপভোগ করিত এখন স্বীয় বজবৎ কঠিন ভুজে শির রক্ষা করিয়া কিরূপে শয়ন করিবে ?” রামের চিত্ৰ পাছে কঠোর হয়। এই ভয়ে কৃত্তিবাস। বজবৎ कछैिन ভুজের কথা উল্লেখ করেন নাই। কি ভীরু ! প্রকৃতই যদি রামের ভুজ কোমল কিশলয়োপম হাইত, ও “চাপা নাগেশ্বর দিয়া রামের চুড়া বাধা”* থাকিত, তবে কি রাবণবধ হইত, না এখনকার ঐতিহাসিকদিগের মতানুসারে, আৰ্য-ভুজবলে দাক্ষিণাত্য বিজয় হইত। শৌৰ্য্যই পুরুষের সৌন্দৰ্য্য, কমনীয়তা নহে। মূল রামায়ণে রামের ভয়াবহ মূৰ্ত্তি দেখিয়া মারীচ রাক্ষস বলিয়াছিল,-“বৃক্ষে বৃক্ষ আমি করল রামমূৰ্ত্তি দর্শন করি, ধনুষ্পাণি রামমূৰ্ত্তি ছায়ার ন্যায় কাননের সর্বত্র দর্শন করিয়া নির্জনে চমকিত হইত।” যখন গদগদানাদী গোদাবরীতীরে কদম্ব, অশোক, কণিকার বৃক্ষকে শোকরক্তেক্ষণ বিরহী শ্ৰীরামচন্দ্র বাৰ্ত্তা জিজ্ঞাসা করিয়া উত্তর পাইলেন না, পথে রক্তবিন্দু ও রাক্ষসের পদাঙ্ক দর্শন করিয়া রাক্ষস কর্তৃক সীতা বধ আশঙ্কা করিলেন, তখন বিরাট ধনুতে জরা আরোপণ করিয়া জরা, ব্যাধি কি মৃত্যুর ন্যায় করাল-বেশে প্রকৃতিকে সংহার করিতে সমুদ্যুত হইলেন, ত্রিপুরান্তক হরের ন্যায় কিংবা যুগান্তকারী কালের ন্যায় শ্ৰীরামচন্দ্রের সেই চিত্র অতি ভীষণ । সেই অসম্বন্ধ প্রলেপক্তিতে রামের মনোহর । চিত্র ভীষণতাশ্ৰিত অপূৰ্বরূপ গ্ৰহণ করিয়াছে। র্তাহার ক্রোধে ভাবী রাক্ষস-সংহারের ছায়া পড়িয়াছে। কৃত্তিবাসী রামায়ণে এই সকল ছবির যথাযথ প্ৰতিকৃতি উঠে নাই। যে আনন্দে প্রকৃতির মাধুরী মূলে প্ৰতিবিম্বিত, পদ্মসম্পীড়িত পম্পবারি, রাত্ৰিজাগরণ-ক্লান্ত প্ৰভাতকালে শ্লথচরণ রমণীর ন্যায় বর্ষাক্ষয়ে নদীর ধীর মন্থরগতি, শৃঙ্গধারী ককুৰ্দ্ধানের ন্যায় ব্যালেন্দুশীর্ষ মেঘ মণ্ডল হস্তিকর্তৃক পদ্মবনে উপগীত শ্লোক, এবং বিচিত্র প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী কৃত্তিবাসী অনুবাদে প্ৰতিবিম্বিত হয় নাই। কিন্তু রাম ও লক্ষ্মণের “সৌহাৰ্দ্য, কৌশল্যার শোক, সীতার ( ক্ষাত্ৰেয় তেজ, ব্রহ্মচৰ্য্য নহে ) গৃহস্থবধূর ন্যায় ব্রীড়াবনত মাধুরী,-বোধ হয় মূলাপেক্ষা অনুবাদে আরও সুন্দর হইয়াছে; এতদ্ব্যতীত যদি পশ্চিম-বঙ্গ-প্রচলিত রামায়ণের পাঠই ঠিক হইয়া থাকে, তবে একটি অভিনব বস্তু SLAqAAAAAAAAqASALLLSS S SqSL SLSS AAAS S AAA AAAA AAAA S LASLLLL S SLSSTSASS

  • লঙ্কাকাণ্ড, বিদ্যুৎজিহ্বা কর্তৃক মায়ামুণ্ড নিৰ্ম্মাণ দেখ।