পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ०७ ] পড়িতে কতকটা ধৈৰ্য্য ও ক্ষমা চাই ; আমরা সাহস সহকারে বলিতে পারি, পয়ারচ্ছন্দ ও গণেশ বন্দন উত্তীর্ণ হইয়া যাহারা প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে আলোচনা করিবেন, তঁহাদের পরিশ্রম ব্যর্থ হইবে না ; অন্ততঃ বাঙ্গালী পাঠক তাহাতে বিশেষরূপ উপভোগের সামগ্ৰী পাইবেন, কারণ বাঙ্গালীর মন যে উপাদানে গঠিত, সেই উপাদানে কাব্যগুলিও গঠিত । আমরা এই স্থলে মোক্ষমূলরের এই কয়েকটি বহুমূল্য বাক্য উদ্ধত করিয়া ভূমিকার পরিসমাপ্তি করিতেছি,-“যে দেশের লোকবৃন্দ স্বীয় প্রাচীন ইতিহাস ও প্রাচীন সাহিত্য স্মরণ করিয়া গৌরবান্বিত না হয়, তাহারা জাতীয় চরিত্রের প্রধান অবলম্বন শূন্য হইয়াছে, স্বীকার করিতে হইবে। যখন জাৰ্ম্মেনী রাজ্য রাজনৈতিক অবনতির নিম্নতম গহবরে পতিত হইয়াছিল, তখন তাঁদেশীয় লোকবৃন্দ স্বদেশের প্রাচীন সাহিত্যের আলোচনায় নিযুক্ত হইয়াছিলেন ; এবং প্রাচীন সাহিত্যপাঠে ইহাদের হৃদয়ে ভাবী উন্নতির নূতন আশা সঞ্চারিত হইয়াছিল।” কুমিল্লা, ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৮৯৬ শ্ৰী দীনেশচন্দ্ৰ সেন