পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয় যুগ УУМ. বেহুলা । এন্থলে আমরা সংক্ষেপে বেহুলা সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলিব। বেহুলা রূপে গুণে অতুল্যা ; তথাপি ভাগ্যদোষে বেহুলা বিবাহের রাত্রেই স্বামি হীন হইল। স্বামী রাত্রে ক্ষুধায় অন্ন চাহিয়াছিলেন, সতী নোতের আঁচল চিরিয়া অগ্নি জালিয়া, নারিকেল দ্বারা উনন প্ৰস্তুত করিয়া ভাত রাধিয়াছিল ; একটি একটি করিয়া কৌশলক্রমে তিনটি সাপকে বন্দী করিয়াছিল, কিন্তু বিধিলিপি নিৰ্ম্মম, অখণ্ডনীয়। ঈষৎ নিদ্রাবশে বেহুলার চক্ষুপুট মুদিত হইয়া আসিয়াছে, কালসৰ্প এমন সময় লখীন্দরকে দংশন করিল ; লখীন্দর ডাকিয়া বলিল,— বেহুল বাসর-গৃহে।। “জাগ ওহে বেহুল সায়বেণের ঝি । তোরে পাইল কাল নিদ্রা মোরে খাইল কি ?” CV i বেহুলার কালনিদ্রা ভাঙ্গিয়া গেল, চমকিত হইয়া যখন স্বামিকে খুজিতে হাত বাড়াইল, তখন আর স্বামী জীবিত নাই, শবাস্পর্শে শিহরিত হইয়া বেহুলা কঁাদিয়া উঠিল ; সেই ক্ৰন্দনে শাশুড়ী সনকা ছুটিয়া আসিল ও বেহুলার ক্রোড়ে মৃত পুত্ৰকে দেখিয়া কঁাদিতে কঁাদিতে বেহুলাকে গালি দিয়া বলিল,- “সনকা কাদিয়া দেয়। বেহুলাকে গালি । সিতার সিন্দূরে তোর না পড়িল কালী। পরিধান বস্ত্ৰে তোর না পড়িল মলি । পায়ের আলতা তোর না পড়িল ধূলি ৷ খণ্ড কপালিনী বেহুল চিরুণী দাতী । विड लिन थांछेलि १डि नी (१ांश्itड ब्रांठि !” (*भनन । স্বামীর শব ক্ৰোড়ে বেহুলাসতী কিন্তু বেহুলা সে গালি শুনে নাই ; স্বামী রাত্রে আলিঙ্গন চাহিয়াছিলেন, লজ্জিতা নববধূ লজ্জায় তাহাতে স্বীকৃত হয় নাই; সেই কথা স্মরণ করিয়া তাহার বক্ষঃ বিদীর্ণ ও নবন আশ্রশ্লাবিত হইতেছিল। তারপর আর এক দৃশ্য। বেহুলা কলার মান্দাসে স্বামীর শব ক্ৰোড়ে করিয়া ভাসিতেছে। বেহুলা এই স্থলে নিরুপমা সুন্দরী ! ধ্যে শাশুড়ী গালি দিয়াছিলেন, তিনি সাধিতেছেন RR নিরপরাধিনীর অপরাধ ।