পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয় যুগ Sbሥò নিত্যানন্দ চক্ৰবৰ্ত্ত, ” দৈবকীনন্দন কবিবল্লভ, কৃষ্ণনাথ, রামপ্রসাদ, শঙ্করাচাৰ্য্য ও রঘুনাথ দত্ত যে সকল পালা লিখিয়াছিলেন তাহার অনেকগুলি সংগৃহীত হইয়াছে। fofoot | এই সকল পুস্তক ছাড়া অন্যান্য দেবতাদের যে সব পাচালী পাওয়া গিয়াছে, তাহার কোনটী তেমন প্ৰাচীন নহে। তবে তাহারা যে তত্ত্বৎবিষয়ের প্রাচীনতর কবিতা অবলম্বন করিয়া লিখিত হইয়াছিল, তৎসম্বন্ধে সন্দেহ নাই। ১৬৮৭ খৃঃ অঃ নিমতানিবাসী কৃষ্ণরাম “ষষ্ঠ মঙ্গল” রচনা করেন । ইহাতে একটি উপাখ্যান অবলম্বনে যথারীতি ষষ্ঠদেবীর মাহাত্ম্য প্রচারিত করা হইয়াছে। এই পুস্তকের এক স্থানে সপ্তগ্রামের তদানীন্তন প্রভাব সম্বন্ধে এই কয়েকট ছাত্র পাওয়া গিয়াছো ‘রাঢ় গৌড়ে দেখিলাম কলিঙ্গ কপাল। গয়া পৈইরােগ কাশী নিষধ, নেপাল ৷ একে একে ভ্ৰমণ করিলাম দেশ দেশ । দেখিলু দেবীর পূজা অশেষ বিশেষ। সপ্তগ্রাম ধারণীতে নাহি তার তুল। চালে চালে বৈসে লোকে ভাগীরথীর কুল । নিরবধি যজ্ঞদান পুণ্যবান লোক। अकाल भद्र न३ नाश् ि१:२ 6शांक ॥ শত্রুজিৎ রাজার নাম তার অধিকারে। বেভারে এ জাত গুণ কে কহিতে পারে ৷” কমলামঙ্গল বা লক্ষনীচরিত্ৰে । লক্ষ্মীদেবী স্থানবিশেষে গাজলক্ষ্মী নামে পূজিতা । অতি প্ৰাচীনকালের লক্ষ্মীর যে সমস্ত বিগ্ৰহ এবং প্রতিমূৰ্ত্তি প্রস্তরে অঙ্কিত দেখা যায়, তন্মধ্যে দুই পার্থে দুটী হস্তি সমন্বিত হইয়া শুণ্ডধৃত কুন্তজলে

  • নিত্যানন্দ মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত কাশীযোড়ার জমিদার রাজেন্দ্রনারায়ণের সভাসদ ছিলেন। + ইহার বৃদ্ধ প্রপিতামহের নাম পুরুষোত্তম, প্রপিতামহের নাম শ্ৰীচৈতন্য, পিতামহের নাম শ্যাম এবং পিতার নাম গোপাল। ইহার পূর্বপুরুষ প্রথমতঃ বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত হস্তিনা নগরে (হাতিমা), তৎপরে কিছুদিন মান্দারণে এবং অবশেষে বৈস্তুপুরে আসিয়া বাস করেন। দৈবকী নন্দন দেবীর রূপবর্ণনায় লিখিয়াছেন—

“বাম হাতে হেল্যা মুণ্ডু, উলুকবাহন।” এবং ইহা ছাড়া স্মৃষ্টি প্রকরণের তিনি যে বর্ণনা দিয়াছেন তাহার সঙ্গে শূন্ত পুরাণের ব্যাখ্যার নাম প্রকার সাদৃশ্য দৃষ্ট হয়।