পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პა 8\ტ বঙ্গভাষা ও সাহিত্য মারা পাগড়ি মাথায় ঠিক খোট্টার ছবিটি জাগিয়া উঠিতেছে। ‘লম্বোদর’, ‘নাভি সুগভীর’ প্ৰভৃতি বর্ণনায় বোধ হয় খোট্টাদের মত বাঙ্গালীরাও উন্মুক্ত উদর ও নাভি দেখাইয়া প্ৰশংসিত হইতেন। এইরূপ বস্ত্ৰপাবিহিত স্বামীর পাশ্বে কঁাচলি আঁটা রমণীই শোভা পায়, প্ৰত্যুত বাঙ্গালী নারীর পরিচ্ছদও খোট্টাব দোকানে ক্রীত।—স্ত্রীলোকের কঁচুলি পরার রীতি কৃত্তিবাস, গুণরাজ খাঁ, বিজয়গুপ্ত ও বৃন্দাবন দাস হইতে আরম্ভ করিয়া কবিকঙ্কণ প্ৰভৃতি অনেক কবিই বর্ণনা করিয়াছেন। কৃষ্ণচন্দ্ৰ মহারাজার সময়ও এই রীতি একেবারে পরিত্যক্ত হয় নাই ;-“রাজ্ঞী ও রাজবধু এবং রাজকন্যারা কার্পাস বা কৌষেয়শাটী পরিতেন, কিন্তু প্ৰায় মস্তক শুভ কৰ্ম্মোপলক্ষে পশ্চিমোত্তর দেশীয় সম্রান্ত মহিলাগণের স্থায় कॅंब्रि, ঘাগরা ও ওড়না পরিধান করিতেন।” (ক্ষিতীশবংশাবলীচরিত ৩৫ পৃ: ) । আমরা বৈষ্ণব কবির পদেও পাই য়াছি “নীল ওড়নার মাঝে মুখ শোভা করে। সোণার কমল বলি দংশিবে ভ্ৰমরে ॥” (পঃ ক, ত, ১৩৭৭ পদ ) । qउदJऊँी ड শ্ৰীকৃষ্ণ-বিজয়ে,-“কটিতট ক্ষুদ্র ঘণ্টিক ভাল সাজে। রতন মঞ্জরী রাঙ্গা চরণেতে রাজে৷” নীবিবন্ধের উল্লেখও অনেক প্ৰাচীন কাব্যেই পাওয়া যায় । এই সব নরনারীগণ যে দু’একটী হিন্দী শব্দ ব্যবহার করিবেন কিম্বা ব্ৰজবুলির ন্যায় অদ্ভুত পদার্থের সৃষ্টি করিয়া পদ্য লিখিবেন, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি আছে ? A. উড়িষ্যা মান্দ্ৰাজ এবং উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কোন কোন দেশের অধিবাসীর ন্যায় বাঙ্গালী পুরুষগণও পূর্বে দীর্ঘকেশ রক্ষা করিতেন। তাহারা দীর্ঘ কেশ বাধিয়া রাখিতেন, এবং কখনও তদ্বারা বেণী গ্রথিত করিতেন ; রাধার সখীগণ শু্যামচাদকে বলিতেছেন ;- “আজি কেন পিঠে দোলে বেণী।” ( চণ্ডীদাস)। শ্ৰীচৈতন্যদেবের কেশমুণ্ডনের সময় শিষ্যগণ বিলাপ করিতেছে,-”কেহ বলে না দেখিয়া সে কেশ বন্ধন। কিমতে রহিবে এই পাপিষ্ঠ জীবন। কেহ বলে সে সুন্দর কেশে আরবার। আমলকী দিয়া কিবা করিব সংস্কার ॥” (চৈ, ভা, মধ্যখণ্ড )। “পলায় রামের সৈন্য নাহি বান্ধে কেশ।।” ( কৃত্তিবাস)। "পরম সুন্দর লখাইর দীর্ঘ মাথার চুল। জ্ঞাতিগণ ধরি নিল গাঙ্গুড়ির কুল ৷” (বিজয় ९४९ठं ) ।। শুধু ভাষা ও পরিচ্ছদ দিতে न८श्, छ्त्रशिद्ध तJश्रद्ध७ সেই নিকট-সম্বন্ধ “পতীয়মান হইবে। ভারতচন্দ্ৰ মহাদেবের মুখে প্রচার করিয়াছেন,-“দুধ কুসুম্ভায় আজি হয়েছে বাসনা।” বঙ্গবাসীর সংস্করণের বিস্তৃত টীকায় এই “কুসুম্ভা’র অর্থ লেখা হইয়াছে, “একরূপ সামগ্ৰী’ । এখন বাঙ্গালীর ‘কুসুস্তা” অর্থ জ্ঞাত হওয়ার সুবিধা নাই, কিন্তু রাজপুতনা এবং তন্নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশ সমূহে এই ‘কুসুস্তা” ভক্ষণ এখনও একটি বিশেষ উপাদেয় ব্যাপার ; উহা অহিফেনের দ্বারা প্ৰস্তত হয় এবং কুসুস্তাভক্ষণের জন্য নিমন্ত্রণ একটি উৎসবরূপে গণ্য হইয়া থাকে। এইরূপ প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্যের নানা দিকৃ হইতে উত্তরপশ্চিমদেশবাসীদিগের সঙ্গে আমাদের ठाश्IC3 दjवश्cद्र थैकj ।