6शोऍौद्म भूर्भ R@ (& “ፍ፡ পূর্ববঙ্গে “দৌড়িয়ে যাওয়া”-পশ্চিম বঙ্গে “ছুটে যাওয়া” পূর্ববঙ্গে যেখানে বলুবে “ওকে ডাক”, “ওকে ছাড়” “ওটা ফেল” পশ্চিমবঙ্গ বলিবে “ওকে ডেকে দাও” “ওকে ছেড়ে দাও” “ওটা ফেলে দাও।” মোটের মাথায় পশ্চিমবঙ্গে ক্রিয়ার প্রায়ই একটা পুচ্ছ দেওয়ার রীতি আছে যাহা, পূর্ববঙ্গে আদৌ নাই। বিশেষ বিশেষ কথার রীতি এই দুই প্রদেশে প্রচলিত আছে—যথা পুৰ্ব্ব বঙ্গে “মেলা কল্প” স্থলে পশ্চিমবঙ্গ বলিবে “রওনা হ’ল।” অপভ্রংশ কি ? ) পশ্চিমবঙ্গের হেঁসেল (রান্নাঘর ) পূর্ববঙ্গের ছিটাল (অপবিত্র স্থান ) পূর্ববঙ্গের বেজকন্যা (বৈদ্য ও ব্রাহ্মণ কন্যা, বেজ শব্দ অর্থ বৈদ্য), পূর্ববঙ্গের আহিন্তিনী (অভাগিনী ) পূর্ববঙ্গে অনেক স্থলে নাম শব্দের উত্তরে বহুবচনের চিহ্ন ‘আ’কার দৃষ্ট হয় যথা 'বুক' (বক্ষ, লাউ প্রভৃতি ফলের সম্বন্ধে ব্যবহৃত ), কাগা (কাক ) রাতা (রক্ত ), মুখা (মুখ-কুমারেরা যে মুখের ছাচি তৈরী করে তাহাকে ‘মুখা’ বলে। ) চান্দা- চাঁদ) রাঙ্গা (লাল)। চণ্ডীদাসের ভণিতা-যুক্ত রাধা ও কৃষ্ণের লীলাবর্ণনার কয়েক ছত্র আমরা প্রাচীন হস্তলিখিত বহির স্কুপ হইতে পাইয়াছিলাম। দুর্ভাগ্যবশতঃ দুই দিন পরেই তাহা হারাইয়া যায়। “কৃষ্ণকীৰ্ত্তন’ নামক যে পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছে, ঐ দুই পত্র সম্ভবতঃ তাহারই অংশ। এই অধ্যায়ের রচনা পয়ারের নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করিতে যাওয়া বিড়ম্বন । DBBBJSTlEB DBBD gDD D DBD DBBt S S DBDuSS LBD SDBB BD DD DD S DBDD O পার্থের ধরিল দুই করে সাপটিয়া” (শ্ৰীকরণ নদীর অশ্বমেধ )। এইরূপ পদ অনেক স্থলেই পাইয়াছি। চণ্ডীদাসের রচনার অনেক স্থলেই ব্ৰজবুলির মিশ্রণ দৃষ্ট হয়। এই ‘ব্রজবুলি’ পবিত্র ব্রজভূমির * ভাষা নহে। এ সম্বন্ধে এখনও অনেকের ভুল ধারণা আছে। ব্রিজবুলি সম্ভবতঃ প্ৰাচীন মাগধী প্ৰাকৃত কবিতার অনুকরণ। চণ্ডীদাসের রচনার ‘ব্রজবুলির অনুকরণে শব্দসম্প্রসারণক্রিয়া অনেক স্থলে লক্ষিত হয়, যথা—ধরম করম, পরকার, পরসঙ্গ, सऊgद्र, *ब्रडों* gब्रtभ, निनांन, वस्त्र, 'नब्रवन। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের রমণীগণের পরিচ্ছেদ একরূপ ছিল বলিয়া বোধ হয় না। শ্ৰীকৃষ্ণবিজয়ে কণ্ঠে সুবর্ণের হার, কৰ্ণে কুণ্ডল, নাসায় গজমতি, হস্তে বলয়, কঙ্কণ, কটিতট ক্ষুদ্ৰঘণ্টী, পদে মঞ্জীর প্রভৃতি কতক পরিমাণে পরিচিত অলস্কারে উল্লেখ দেখিতে পাই। চণ্ডীদাস মল্পতাড়ল (খোট্টা রমণীরা এখনও পদে পরিয়া থাকেন ) একরূপ ভূষণের নাম করিয়াছেন। পূর্ববঙ্গের লেখক বিজয় গুপ্ত, হস্তে সুবর্ণ বাউট, সুবর্ণ ঘাগরা ও শিলমণি কাচ, কণ্ঠে হাসলী, কৰ্ণে সোণার মদন কড়ি, পিতংলর খাড়ু ও লোটন খোপা পয়ারের ব্যতিক্রম। ব্ৰজবুলি । রমণীগণের পরিচ্ছদাদি ।
