পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত-শাখা Red cभथिएङ (पशि(ङ शङ्ग, তনু মন চুরি করে না চিনিয়ে কালা কিম্বা গোরা। প্রথম পদটি পদকল্পলতিকায় বড় সুন্দরভাবে নিবিষ্ট হইয়াছে। রাধিক শ্ৰীকৃষ্ণের পীতবস্ত্ৰ পরিয়া বঁাশী হস্তে দাড়াইয়াছেন, চণ্ডীদাস রাধিকার গৌরবরণের কথাই বলিয়াছেন ; কিন্তু প্ৰথম कीउिद्भ-"क्षं शशेब cकांन দেশে?” ও দ্বিতীয় গীতির-“না চিনিয়ে কালা কিম্বা গোরা”-এই দুইটি ছত্ৰ পড়িয়া স্বপ্নের কথার গ্র্যায় একটা অলীক ভাব মনে হইয়াছিল,-যেন, ভাবী ঘটনা যেরূপ সম্মুখে ছায়াপাত করে, পরম সুন্দর চৈতন্য-দেবও তেমনি তঁাহার রূপের ছায়া প্ৰায় শতাব্দী পূর্বে প্রেমিক-কবির মনে প্ৰক্ষেপ করিয়াছিলেন। সেই রূপের পূর্বাভাষ পাইয়া আহ্নলাদে চণ্ডীদাস উষার প্রাক্কালে পক্ষীর ন্যায় অস্পষ্ট কাকলি দ্বারা তাহার আগমনী গান করিয়াছিলেন । এরূপ হইবে কোন দেশে ?”-প্ৰেম পৃথিবীতে একবার মাত্র রূপ গ্ৰহণ করিয়াছিল, তাহা ; বঙ্গদেশে তখন চণ্ডীদাস জীবিত ছিলেন না। চণ্ডীদাস আর বিদ্যাপতির মিলন হইয়াছিল, চৈতন্য-প্ৰভু আর রামানন্দরায়ের মিলন হইয়াছিল, কিন্তু চণ্ডীদাস আর চৈতন্য-প্রভুর মিলন হইলে তাহা তদপেক্ষা অপূর্ব হইত। গীতির প্রেমোন্মাদ ও জীবনের প্রেমোন্মাদ-গোলাপের সুস্রাণ ও পদ্মের সুস্ৰাণ মিশিয়া যাইত। চণ্ডীদাসের বর্ণিত পুর্বরাগ, রাধিকার ব্যাকুল বিরহ, মধুর প্রেম ও দিব্যোন্মাদ—গৌরহরি স্বজীবনে দেখাইয়াছেন ; যদি গৌরহরি না জন্মিতেন, তবে শ্ৰীৱাধার-"জলদ নেহারি নয়নে ঝর লোর", কৃষ্ণ-অঙ্গভ্ৰমে কুসুমলতা আলিঙ্গন, একদৃষ্টি ময়ুর ময়ুবীর কণ্ঠ নিরীক্ষণ ও নব পরিচয়ের সুমধুর ভাবাবেশ কবির কল্পনা হইয়া যাইত। ভাবের উচ্ছােসজাত এই ভ্ৰমময় আত্ম-বিস্মৃতি আজ শুস্কযুগে কবিকল্পনা বলিয়া উপেক্ষিত হইত। কিন্তু গৌরহরি শ্ৰীমদ্ভাগবত ও বৈষ্ণব-গীতি সমূহের সত্যতা প্রমাণিত করিয়াছেন,- দেখাইয়াছেন, এই বিরাট শাস্ত্ৰ ভক্তির ভিত্তিতে, নয়নের অশ্রুতে, চিত্তের প্রীতিতে দণ্ডায়মান। এই শাস্ত্রের শোভা-স্বরূপ পূৰ্ব্বারাগ, বিরহ, সস্তোগ, মিলন ইত্যাদি যে সব লীলারসের ধারা ছুটিয়াছে, তাহা কল্পিত নহে, আস্বাদযোগ্য ও আস্বাদিত হইয়াছে ; প্রেমের আশ্চৰ্য্য স্মৃত্তিতে শ্ৰীগৌরের দেহ কদম্ব প্রায় হইয়াছে, সমুদ্র ঢেউ যমুনা-লহরী হইয়াছে, চটক পৰ্ব্বত গোবৰ্দ্ধন হইয়াছে ও পৃথিবী কৃষ্ণময় হইয়াছে। এই অপূৰ্ব ভক্তি ও প্রেমের উপকরণ দিয়া শ্ৰীমতী রাধিকাসুন্দরী সৃষ্ট - তিনি “আয়েসা’ কি “কুন্দনন্দিনী’ নহেন, তাহার বিরহের এক কণিকা কষ্ট বহন করিতে পারে, তঁহার সুখের এক লহরী ধারণা করিতে পারে, এরূপ নারীচিত্র পৃথিবীর কাব্যোদ্ধানে नाई । প্রেমের অবতার চৈতন্য ।