পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত-শাখা ტაd প্রবল ভক্তিবঙ্গায় ধরিত্রী টলমল করিতেছিল, কিন্তু তিনি সর্বদা সে দৃশ্যে উচ্ছসিত হইয়াছেন, এ কথা বলেন নাই। কিন্তু কোন কোন মুহূৰ্ত্তে স্বর্গীয় ভাবে তাহার হৃদয় অভিভূত হইয়া না পড়িয়াছে এমন নহে। অগস্ত্যকুণ্ডতীরে একদিন চৈতন্যপ্রভুর উদামভক্তি দর্শনে গোবিন্দ এই দুইটি ছত্র লিখিয়াছেন- “প্রভুর মুখেতে নাম শুনিয়াছি কত। আজি কিন্তু দেহ মোর হৈল পুলকিত।” নিত্য দেবীলীলা দেখিতে দেখিতে তিনি লীলারসের নিত্য নূতন আস্বাদ ভুলিয়া গিয়াছিলেন, কিন্তু তজ্জন্য র্তাহার অন্তর্নিহিত প্রকৃত ভক্তির হ্রাস হয় নাই, যেমন গঙ্গাতীরবাসী লোক মফঃস্বলের লোকের ন্যায় BDBBBD DD BBYS DBLL BBDB DS DBDD K DDBD DBDBS BzuB DBDBBD KBD DD দুইদিনের জন্য প্ৰভুসঙ্গবিচু্যত হওয়ার আক্ষেপে গোবিন্দ “মোর চক্ষে শত ধারা বহিতে লাগিল।”-এইরূপ কাতরতা দেখাইয়াছেন। গোবিন্দের নৈতিক জীবনটি বড় নিৰ্ম্মল ও বিশুদ্ধ ছিল, তাহ বাক্যপল্লব পরম্পরায় তিনি নিজে কীৰ্ত্তন করেন নাই, কিন্তু সহসা দুই একটি বাক্য র্তাহার সমগ্র চরিত্রের উপর এক পবিত্ৰ মধুর আলোকপাত করিয়া দিয়াছে।। চৈতন্যদেব দাসু্য তস্কর প্রভৃতির নিকট BBDDDSDDBDS DBB BBBBD DDDDBB KYt DBBDS চৈতন্য প্রভুর কোন অভিপ্ৰায়ে তিনি ইঙ্গিতেও বাধা দেন নাই, কিন্তু যেদিন প্ৰভু মুরারী বেশুদিগের নিকট যাইতে উদ্যত, সেদিন গোবিন্দ একটু আপত্তি করিয়াছিলেন :-"মুহ বলি সে স্থানেতে গিয়া কাজ নাই। না শুনিল মোর বাণী চৈতন্য গোঁসাই ।” এই একমাত্র আপত্তি তাহার নৈতিক সাবধানতার বিশেষরূপ অভিব্যক্তি বলিয়া গ্ৰহণ করা যায় । গোবিন্দ যে স্থলে চৈতন্যদেবের রূপের বর্ণনা করিতে গিয়াছেন, সেস্থলে তঁাহার হৃদয়েয় গাঢ় ভক্তিপ্রণোদিত কবিত্ব উদ্রাক্ত হইয়াছে :-“যদ্যপি দাঁড়ায় প্ৰভু অন্ধকার ঘরে।” শরীরের প্রভায় অধ্যায় নাশ করে।” এ সব কথায় একটু কল্পনা না আছে এমন নহে-ইহা স্বাভাবিক ; কিন্তু দৈনন্দিন ঘটনা তিনি কিছুমাত্র অতিরঞ্জিত করেন নাই, সেরূপ অতিরঞ্জন সত্যনিষ্ঠ, বিষয়স্পৃহ ভক্তির অবতার চৈতন্যদেবের অনুচরের অনুপযুক্ত হইত। মহারাষ্ট্র ও তন্নিকটবৰ্ত্তী অপরাপর দেশীয় লোকের কথা গোবিন্দ বুঝিতে পারেন নাই। বগুলাবনে"একজন লোক আসি কাইমাই করি। কি বলিল আমি সব বুঝিতে না পারি। তার বাক্য বুলি সব প্ৰভু সমবিয়া । কাইমাই বলি তারে দিলেন বুঝাইয়া।” এস্থলে পাঠকের মনে হইতে পারে চৈতন্যপ্ৰভু স্বৰ্গীয় শক্তিপ্রভাবে পৃথিবীর যাবতীয় ভাষা বুঝিতে পারিতেন, কিন্তু গোবিন্দ সেরূপ অলৌকিক কল্পনা করিবার আদৌ সুবিধা দেন নাই, কিছু পরেই লিখিয়াছেন :-"এই দেশে ভ্ৰমি দীর্ঘকাল। সকলের ভাষা বুঝে শচীর দুলাল।” চৈতন্য প্রভুর স্বৰ্গীয় ভক্তিপ্রভাবের আশ্চৰ্য্য মোহিনীশক্তিতে দসু্যু, তস্কর, বেঙা উদ্ধার পাই उंशांद्र ठेनड्रिक देि७६छ । ऊँश भडथिझूठ ।