পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লৌকিক-ধৰ্ম্মশাখা \ტხ-ა এদিকে গোসাপরূপিণী চণ্ডী পরম সুন্দরী যুবতী হইয়া কুটীরের পার্থে দাড়াইয়াছেন, তাহার DtBDB BBDSDBD DD DBDBB DBD KDDS SBDBuD KBDBBB KDBDS মণ্ডল।” বিস্মিতা ফুল্লারা প্ৰণাম করিয়া তাহার আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করিল। চণ্ডী বলিলেন, তিনি সতিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব করিয়া আসিয়াছেন ; সেই ব্যাধ কুটীরেই তিনি থাকা স্থির করিয়াছেন। ফুল্লারা সেই ভাঙ্গা কুটীরে স্বামীর প্রেমের গর্ব করিয়া সুখী ছিল ; তাহার উপবাস, দারিদ্র্য সকলই সহ্য হইয়াছিল, কিন্তু অদ্য চণ্ডীর রূপ দেখিয়া আশঙ্কায় মুখ শুকাইয়া গেল ; -“পেট বিষ, মুখে মধু, জিজ্ঞাসে ফুল্লিরা। ক্ষুধা তৃষ্ণ দূরে গেল রন্ধনের ত্বরা।” যতবার জিজ্ঞাসা করিল, ততবারই এক উত্তর, চণ্ডী সেই স্থানেই থাকিবেন । তখন মনের আশঙ্কা প্ৰচ্ছন্ন রাখিয়া, ফুল্লারা সুন্দরী, সীতা, সাবিত্রী, প্রভৃতি নানা পৌরাণিক রমণীর দৃষ্টান্ত দেখাইয়া বলিতে লাগিল—“স্বামী ছাড়িয়া স্ত্রীলোকের এক দণ্ডও পরগৃহে থাকা উচিত নয়, আপনার এস্থান ত্যাগ করাই শ্ৰেয়ঃ।” সে কত নৈতিক বক্তৃতা দ্বারা চণ্ডীদেবীকে. প্ৰবোধ দিতে চেষ্টা করিল-“সতিনী কোন্দল করে, দ্বিগুণ বলিবে তারে, অভিমানে ঘর ছাড়বে কেনি ৷ এ বিরহজ্বরে, যদি স্বামী মরে, কোন ঘাটে খাবে পানী ৷” কিন্তু দেবীর নিঃশব্দ রহস্য প্রিয়তা একটি অটল অভিসন্ধির ভাণ ধবিয়া উপায়হীন ফুল্লারার সমস্ত অনুনয়-বিনয় ব্যর্থ কবিয়া দিল। ফুল্লারা নীতিবাক্যে ফিরাইতে না পারিয়া দারিদ্র্যের ভয় দেখাইতে লাগিল-“বসিয়া চণ্ডীর পাশে কহে দুখবাণী। ভাঙ্গা কুড়ে ঘর তালপাতের छठनि ॥ ८७द्र७द्ध थीभ डाब्र अछि DB DDBDSS SsBBD DBKDK DBBBD DD BD ৷”-প্ৰভৃতি বর্ণনা পড়িলে ७श् রহস্যের অভিনয়ের মধ্যেও BBDDBB BDBD KSS DBDS qS uBB D DDB DBDBD gBBDB S SzB guD DDD খাইতে না পারি। দেখিতে দেখিতে চিলে করে আধসারি।” শ্রাবণে,-“কত শত খায় জোক, নাহি খায় ফণী” দুঃখ করা অবধান। বৃষ্টি হৈলে কুড়ায় ভাসিয়া যায় বানি।” “মাংসের পসরা লয়ে ফিরি ঘরে ঘরে। আচ্ছাদন নাহি অঙ্গে স্নান বৃষ্টি-নীরে ॥”আশ্বিন মাসে,-উত্তম বসনে বেশ করয়ে বনিতা। অভাগী ফুল্লারা করে উদরের চিন্তা। কেহ না আদরে মাংস কেহ না আদরে। দেবীর প্রসাদমাংস সবাকার ঘরে।” কাৰ্ত্তিক মাসে,-“নিযুক্ত করিলা বিধি সবার কাপড়। অভাগী ফুল্লির পরে হরিণের ছড়।” ফুল্পরার আছে কত কৰ্ম্মের বিপাক। মাঘমাসে কাননে তুলিতে নাহি শাক ৷” “মধুমাসে মলয় মারুত মন্দ মন্দ। মালতী এ মধুকর পিয়ে মকরন্দ। বনিতা পুরুষ দোহে পীড়িত মদনে। ফুল্লারার অঙ্গ পোডে উদর-দহনে। এই বর্ণনাগুলির মধ্যে স্থলে স্থলে চণ্ডীদেবীকে ভয় দেখাইবার প্রকাশ্য চেষ্টা আছে, “কোন মুখে ইচ্ছলে হইতে ব্যাধের নামী কাঙ্গালিনীর এই দৈনিক কষ্টসহ মূৰ্ত্তিখানি বঙ্গীয় কুটীরে কিরূপ সুন্দর দেখাইতেছে! ফুল্লারা নিজের ঘোর দারিদ্র্যদুঃখ লজ্জায় কাহাকেও বলিত না, কিন্তু এই রূপসী কামিনীকে উহা না জানাইলে সে ত গৃহ ছাড়ে না। ফুল্লরার নীরব পতিপ্রেমের এই সুন্দর বিকাশে আমরা প্রীত হই-কিন্তু তাহার অকারণ কাতরতায় ঈষৎ হাস্য সম্বরণ করিতে চণ্ডীর স্বমূৰ্ত্তিগ্রহণ। ফুল্লারার দুশ্চিন্তা ও দেবীর 颈枣刃1 সন্দেহে সৌন্দৰ্য্য।