পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bQəbr বঙ্গভাষা ও সাহিত্য তখন লহনা, তাহাকে পূর্বের ন্যায় আদর ও যত্ন করিতে লাগিল ; ধনপতির চরিত্ৰবল বেশী কিছু ছিল না ; সে গৌড়ে যাইয়া অসঙ্গত সুখে মত্ত হইয়া বাড়ী ভুলিয়াছিল; সেই রাত্ৰিতে খুল্লনাকে স্বপ্নে দেখিয়া বাড়ী যাওয়ার কথা মনে হইল। ধনপতি বাড়ী আসিলেন, তঁাহার আগমন । সংবাদে লহনা স্বীয়-শিথিল সৌন্দৰ্য্যকে যথাসাধ্য টানিয়া বুনিয়া নূতন বেশভূষায় সজ্জিত করিতে বসিল, “শুয়াঠিটি” খোপা বড় সুন্দর করিয়া ধাধিল কিন্তু-“মাছিতা বদনে দেখি দর্পণে চাপড়।” দর্পণ ভাঙ্গিলে সুন্দরীগণের মুখের মাছিতা ঘোচে কি ? লহনা, “মেঘ ডুম্বুবা” কাপড় পরিয়া পত্নী সাজিয়া স্বামীর সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা বলিতে গেল। এদিকে সেদিন অনেক লোক সাধুর ঘরে নিমন্ত্ৰিত ; দুর্বল দাসী বিস্তর পয়সা চুরি করিয়াও বাজার হইতে অনেক আয়োজনপত্র সংগ্ৰহ করিয়াছে; সাধু খুল্লনাকে রাধিতে বলিলেন ; লহনা, তাহাতে আপত্তি করিয়া বলিল, -খুল্লনা কোন কাজের মেয়ে নহে, উহাকে পাক করিতে দিলে সব নষ্ট করিয়া ফেলিবে, খুল্পনা কেবল পাশা খেলিতে জানে“নাহি রাধে, নাহি বাড়ে, নাহি দেয় ফুক। পরের রাধান খেয়ে চান্দ পােনা মুখ।” কিন্তু এই আপত্তিতে কোন ফল হইল না, খুল্লনাই রাধিতে গেল ; দেবীর রূপায় পাক বড় উত্তম হইল, নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণ ধন্য TD BBBSBBYSgDg KD DDD DDD D DDD SBBBBSS DD DDBB DDB DDBD OD S BBBBBBB খাওয়াইয়া দেবীরূপিণী লক্ষ্মীবউ খুল্পনা লহনার নিকটে গেল,-“সৰ্গমে খুলনা আদি ধরিল চরণে। ঘুচিল কোন্দল দেহে বসিল ভোজনে৷”—খুল্লনা এইরূপ ক্ষমাশীল ছিল। তার পর খুল্লনা সাধুর শয্যাগৃহে যাইবে । লহনা, তাহাকে নানা যুক্তি দেখাইয়া নিবারণ করিল ; अशांशृंtश्द्र ཨ་ལས། ། কিন্তু খুল্লনা সেই সব যুক্তিপ্রবর্তৃক অভিসন্ধি বেশ বুঝিতে পারিল, ও গল্পচ্ছলে যুক্তিগুলির অসারতা দেখাইয়া হাসিতে হাসিতে পতিগৃহে গেল। শয্যাগৃহে বড় কৌতুকের অভিনয় হইয়াছিল। খুল্পনা শয্যার নীচে পলাইয়া ছিল, তখন ধনপতির মুখে অনাহূত অনেক কবিত্বের কথা নিঃসৃত হইয়াছিল,- “কহ থাট্টা কোথা মোর খুলনা সুন্দরী। কহ না প্ৰদীপ কোথা মোর সহচরী। সত্য করি কহ কথা মধুকরবধূ। পুল্পনার কবরীতে পান কৈল মধু। চিত্তের পুত্তলী যত আছে চারিভিতে। সবে জিঞ্চাসিয়ে সদাগর এক চিত্তে। এতদিন SBBDB DBDB BBDBBSS BDEDSDD KEBO DD DD BBBD ELSSS BBD tLu DBDt D DD BDBSS S DDD S সুন্দরী মোরে করিলা পাগলা ॥ ক্রীড়াময়ী খুল্লনা ধরা দিল, স্বামীর বুকে মুখ লুকাইয়া কঁাদিতে কঁাদিতে লহনা যত কষ্ট দিয়াছে, তাহা বলিতে লাগিল। শুনিয়া সাধু ব্লাগে, দুঃখে জর্জরিত হইল, কিন্তু সে লাহনার নিকট নিজে অপরাধী-খুল্লনাকে পাইয়া লহনার প্রতি তাহার ভালবাসার হ্রাস হইয়াছিল। আর এদিকে রাত্রিশেষে যখন সাধু খুল্লনার ঘব হইতে বাহির হইয়াছিল, তখন ঈর্ষা ও ক্রোধের প্রতিমূৰ্ত্তি লহনা দ্বারে